Go to full page →

অতি ক্ষুদ্র বালকবালিকাগণকে স্কুলে পাঠাইবার কুফলতা CCh 511

এদনবাসিগণ যেমন প্রকৃতি হইতে শিক্ষলাভ করিয়াছিলেন, মোশী যেমন আরব সমভূমিতে ও পর্ব্বতমালায়, শিশু যীশু যেমন নাসারতের পাহাড়াঞ্চলে ঈশ্বরের শিল্প-নৈপুণ্য সন্দর্শ্ন করিয়াছিলেন, তেমনি ভাবে বর্ত্তমান কালের বালকবালিকাগণও তাঁহারই বিষয় শিক্ষা লাভ করিতে পারে। যেহেতু দৃশ্য বিষয়ের দ্বারা বিষয়সমূহ চিত্রিত হইয়াছে। যে স্থানে এই আশ্চর্য্য পাঠ্য-পুস্তক বালকের সম্মুখে খোলা থাকিবে, যতদুর সম্ভব অতি শৈশব কাল হইতেই তাহাকে তথায় রাখিতে হইবে। 28Ed 100, 101; CCh 511.2

আপনাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালকবালিকাগণকে অতি শৈশব স্কুলে পাথাইবেন না। শিশু-মনকে গঠন করিবার ভার অন্যের হস্তে দিবার বিষয়ে মাতার সবিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা কর্ত্তব্য। সন্তানসন্ততিগণ সে পর্য্যন্ত না এত কিংবা দশ বৎসর বয়স্ক হয়, তাবৎ মাতাপিতারই তাহাদের সর্ব্বোত্তম শিক্ষকশিক্ষয়িত্রী হওয়া কর্ত্তব্য। পক্ষী ও পুষ্পাদির মধ্যে উন্মুক্ত আকাশ হওয়া উচিত তাহাদের স্কুল-গৃহ, এবং প্রকৃতির ধনভাণ্ডার হওয়া উচিত তাহাদের পাঠ্য-পুস্তক। শিশুগণের মন গ্রহণক্ষম হইলেই মাতাপিতার কর্ত্তব্য প্রকৃতি নামক ঈশ্বরের মহান্ গ্রন্থখানি বালকবালিকাগণের সম্মুখে খুলিয়া রাখা। এইরূপ পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে দত্ত শিক্ষামালা শীঘ্র ভুলিবার নহে। 29FE 156, 157; CCh 511.3

সন্তানসন্ততিগণকে অতি শৈশবে স্কুলে পাঠাইলে কেবল যে তাহাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিপন্ন হয় এমন নহে, অধিকন্তু তাহাদের নৈতিক জীবনও নষ্ট হইয়া যায়। যেহেতু অশিষ্ট বালকবালিকাগণের সহিত মেলামেশার তাহাদের সুযোগ ঘটে। তাহারা এমন অশিষ্ট ও অভদ্র বালকবালিকার সংস্পর্শে আইসে, যাহারা মিথ্যা কথা বলে, দিব্য করে, চুরি করে এবং বয়োকনিষ্ঠগণকে অসৎ শিক্ষা দান করিয়া আনন্দ উপভোগ করে। তরুণ বালকবালিকাগণকে একাকী ছাড়িয়া দিলে, ভাল অপেক্ষা মন্দগুলি অধিকতর তৎপরটা সহকারে শিখিয়া লয়। স্বাভাবিক অন্তঃকরণে সহিত মন্দ অভ্যাসগুলির বেশ খাপ্ খায় এবং শিশুকালে ও বাল্যকালে তাহারা যাহা যাহা দর্শন করে ও শ্রবণ করে, সেগুলি তাহাদের মনে গভীর ভাবে অঙ্কিত হইয়া যায় ; তাহাতে তাহাদের কোমল হৃদয়ে যে সকল মন্দ বীজ বপিত হয়, সেগুলি বদ্ধমূল হইয়া মাতাপিতার অন্তঃকরন ক্ষতবিক্ষত করণার্থে তীক্ষ্ণ কণ্টকে পরিণত হয়। 30CG 302; CCh 512.1