Go to full page →

ধর্মের প্রভাব MYPBen 32

জ্ঞানীশ্রেষ্ঠ বলেন, “তুমি যৌবনকালে আপন সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ কর।” কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য মনে কর না যে, ধর্ম তােমাদের দুঃখার্ত এবং বিষন্ন করবে এবং তােমাদের কৃতকার্যতার পথ রুদ্ধ করবে । খ্রীষ্ট ধর্ম তােমাদের একটি কর্ম শক্তিকেও দুর্বল করে না। এটি কোনাে প্রকারেই প্রকৃত সুখ উপভােগের জন্য তােমাদের অনুপযােগী করবে না; এটা তােমাদের জীবনের আগ্রহ হ্রাস করার জন্য পরিকল্পিত নয়; অথবা তােমাদের বন্ধুদের এবং সমাজের কাছে তােমাদের দাবী সমূহের প্রতি উদাসীন করবে না। এটি চট বস্ত্রে জীবনটাকে আবৃত করে রাখে না; এটি গভীর অমিমাংসিত লজ্জা এবং আর্তনাদের মধ্যে ব্যক্ত করা হয় না। না, না; যারা প্রত্যেক ব্যাপারে ঈশ্বরকে প্রথমে, শেষে এবং সর্বোত্তম স্থানে রাখে, তারাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সুখি লােক। হাসি এবং সূর্যকিরণ তাদের মুখমণ্ডল থেকে দূরীভূত হয় না; বরং এটি তাকে উন্নত এবং সমর্থ করে তােলে, তাকে পরীক্ষা সিদ্ধ করে এবং তার বিচার খাটি করে, এবং তাকে স্বর্গীয় দূত সমাজে এবং যীশু যে বাটী প্রস্তুত করতে গেছেন, তার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তােলে। MYPBen 32.3

আমরা একথা যেন কখনও ভুলে না যাই যে, যীশু আনন্দের একটি প্রস্রবণ। তিনি মানব জাতির দুঃখ-কষ্টে আনন্দ করেন না, কিন্তু দেখতে চান যেন তারা সুখি হয়। খ্রীষ্টিয়ানদের সুখের অনেক উৎস রয়েছে, আর তারা সঠিক ভাবে বলতে পারে যে, কি প্রকার আনন্দ আইন সম্মত এবং সঠিক। তারা এরূপ আনন্দ উপভােগ করতে পারে যা মনকে এলােমেলাে এবং আত্মাকে হীন বা নিরুৎসাহিত করবে না এবং আত্মসম্মান খর্ব করার জন্য প্রভাবের ওপর একটি দুঃখের ছাপ এঁকে দিবে না অথবা উপকারের পথে বাধা সৃষ্টি করবে না। যদি তারা যীশুকে তাদের সঙ্গে নিতে পারে এবং প্রার্থনার আত্মা বজায় রাখতে পারে, তবে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ...। MYPBen 33.1