“সমস্ত রক্ষণীয় অপেক্ষা তােমার হৃদয় রক্ষা কর,” জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শ “কেননা তাহা হইতে জীবনের উদ্গম হয়।” মানুষ “অন্তরে যেমন ভাবে, নিজেও তেমনি।” ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দ্বারা অন্তঃকরণ নবিনীকৃত হতে হবে, তা না হলে জীবনের পবিত্রতার চেষ্টা বৃথা হবে। যে ব্যক্তি খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ছাড়া একটি আদর্শ গুণগত মানের চরিত্র গঠন করতে চান, তিনি তার গৃহ পরিবর্তনশীল বালির স্তুপে নির্মাণ করছেন। প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে এটি নিশ্চয়ই উল্টে পড়বে। প্রতিটি আত্মার আবেদন হবে দায়ূদের মত; “হে ঈশ্বর, আমাতে বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ সৃষ্টি কর, আমার অন্তরে সুস্থির আত্মাকে নূতন করিয়া দেও।” স্বর্গীয় উপহারের অংশীদার হয়ে, আমাদের সিদ্ধতার পথে অগ্রসর হতে হবে, ঈশ্বরের শক্তিতে তােমরাও “পরিত্রাণের নিমিত্ত বিশ্বাস দ্বারা রক্ষিত হচ্ছ।” MYPBen 277.1
তথাপি আমাদেরও প্রলােভন প্রতিরােধে একটি কাজ রয়েছে। যারা শয়তানের প্রলােভনে পতীত হবে না, তারা আত্মার প্রবেশ পথ কড়াকড়ি ভাবে প্রহারায় রাখবে; তারা অপবিত্র চিন্তা উদ্রেককারী পুস্তক অধ্যয়ন এবং দেখা এবং সে বিষয় শােনা এড়িয়ে চলবে। মন উদ্দেশ্যহীন ভাবে প্রতিটি বিষয়ের পাছে, বিচরণ করবে না, যেগুলাে আত্মার শত্রু। “তােমরা প্রবুদ্ধ হও,... তােমরা তােমাদের পূর্বকার অজ্ঞানতাকালের অভিলাসের অনুরূপ হইও না; কিন্তু যিনি তােমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, সেই পবিত্রগণের ন্যায় আপনারাও সমস্ত আচার ব্যবহারে পবিত্র হও।” পৌল বলেন, “অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ। যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরনীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোনাে কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।” এতে আবশ্যক একান্ত প্রার্থনা এবং অবিরত সতর্কতা। আমাদের পবিত্র আত্মার প্রভাবে চলতে হবে যা মনকে উর্ধ্বে আকর্ষণ করবে, এবং তা মানসিক এবং শারীরিক অভ্যাসে পরিণত হয়ে। খাটি এবং পবিত্র বিষয়সমূহে অবস্থান করবে। আর আমাদের মনােনিবেশ সহকারে ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করতে হবে। “যুবক কেমন করিয়া আপন পথ বিশুদ্ধ করিবে? তােমার বাক্য অনুসারে সাবধান হইয়াই করিবে।” গীতরচক বলেন, “তােমার বচন আমি হৃদয় মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি, যেন তােমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।” -“ Patriarchs and Prophets ” pp. p. 460. MYPBen 277.2