গান-বাজনার উদ্দেশ্য ছিল চিন্তা-ভাবনাকে এক পবিত্র উচ্চতায় উত্তোলন করা ও হৃদয়ের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি বাধ্যতা ও কৃতজ্ঞতা সৃষ্টি করা। কতজনই না ঈশ্বরের গৌরব প্রকাশ না করে আত্ম-স্বার্থকে উন্নীত করার জন্য এই মেধার ব্যবহার করে থাকেন। প্রাচীন প্রথা ও এখনকার গানের ব্যবহারের। মধ্যে কতই না ব্যবধান। সংগীতের প্রতি আসক্তি অসতর্ক ব্যক্তিকে জগৎ-প্রেমিকের সঙ্গে আমােদ প্রমােদে একত্রিত হবার জন্য আহ্বান জানায় যেখানে ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের যেতে নিষেধ করেছেন। এভাবে যা গান যখন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয় তা মহা আশীর্বাদ স্বরূপ হয় কিন্তু অন্যথায় তা শয়তানের সবচেয়ে কার্যকর প্রতিনিধিস্বরূপ হয় যার দ্বারা শয়তান মনকে কর্তব্য থেকে এবং অনন্তকালীন বিষয় ধ্যান করা থেকে দূরে নিয়ে যায়। MYPBen 284.1
স্বর্গে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য সঙ্গীত ব্যবহৃত হয়, আর আমাদের উচিৎ আমরা যে সকল প্রশংসা ও গান রচনা করি তা যেন স্বর্গীয় গায়কদের প্রশংসা ও গানের যতদূর সম্ভব নিকটতম হয়। সঙ্গীত প্রার্থনার মতই আরাধনার একটি অংশ। কণ্ঠস্বরের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ শিক্ষাদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবয়ব, এবং এটি অবহেলা করা উচিৎ নয়।- “ Patriachs and Prophets.” p. 594. MYPBen 284.2