Go to full page →

সঙ্গীতের ভুল ব্যবহার-৯৭ MYPBen 287

দূতগণ আবাসের অদূরে চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছেন। সেখানে যুবকযুবতিরা সমবেত হয়েছে; কণ্ঠস্বর এবং বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শােনা যাচ্ছে। খ্রীষ্টিয়ানগণ সেখানে আছে, কিন্তু তােমরা যা শুন তা কি? একটি গান, একটি মুখতাপূর্ণ ক্ষুদ্র সাদাসিধা গান ঐ নৃত্যশালার জন্য উপযুক্ত। দেখ, পবিত্র দূতগণ সেখানে একত্রিত, তাদের কাছে, চর্তুদিকে আলােকিত করে আছে, কিন্তু ঐ আবাসের মধ্যে অন্ধকার ঘিরে আছে। দূতগণ সেই দৃশ্য থেকে সরে যাচ্ছেন। তাদের মুখমণ্ডল দুঃখময়। দেখ, তারা ক্রন্দনরত। এসব আমি বিশ্রামবার পালনকারীদের মধ্যে বার বার দেখেছি আর বিশেষ করে যে সময়টি প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত ছিল, সেই সময় গান-বাজনা অধিকার করে আছে । মুখে স্বীকারকারী অনেক শাব্বাথ পালনকারী খ্রীষ্টিয়ান গান-বাজনাকে প্রতিমা হিসেবে পূজা করে । গানবাজনার প্রতি শয়তানের কোনাে আপত্তি নেই, যদি সে যুবক-যুবতিদের মনে প্রবেশ পথ করে নিতে পারে। যা কিছু তার উদ্দেশ্যের সঙ্গে মানান সই, তা মনকে ঈশ্বরের কাছ থেকে অন্য দিকে নিয়ে যাবে, এবং সময়টি এমন কিছুর দিকে নিয়ােজিত করবে যে সময় তার সেবায় উৎসর্গীকৃত হওয়া উচিৎ। সে এমন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে কাজ করে যার একটি শক্তিশালী প্রভাব বৃহৎ সংখ্যক লােকদের সম্মােহন করে রাখে এবং তারা তার শক্তি দ্বারা বিকল হয়ে পড়ে। যখন ভালাে কিছু করা হয়, তখন গান বাজনা একটি আশীর্বাদ স্বরূপ, কিন্তু প্রায়ই শয়তানের একটি অতীব আকর্ষণকারী প্রতিনিধি আত্মাগণকে ফাদে আটকাবার চেষ্টা করে। যখন এর অপব্যবহার করা হয়। যখন অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করা হয়, তখন এটি অপবিত্র ব্যক্তিকে অহংকার, আত্মশ্লাঘা, মুখকর দিকে নিয়ে যায়। যখন উপাসনা এবং প্রার্থনার স্থান অধিকার করে, তখন তা একটি ভয়াবহ অভিশাপ স্বরূপ হয়। যুবক-যুবতিগণ সংগীতের জন্য সমবেত হয়, যদিও তারা বলে তারা খ্রীষ্টিয়ান, তথাপি তারা বারবার তাদের মূর্খতাপূর্ণ আলাপ, এবং গান বাজনা মনােনয়ন দ্বারা ঈশ্বরকে এবং তাদের বিশ্বাসকে অবজ্ঞা করে। পবিত্র গান বাজনা তাদের পছন্দ নয়। আমাকে ঈশ্বরের বাক্যের সরল সহজ শিক্ষামালার প্রতি পরিচালিত করা হয়েছিল, যার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করা হয়নি। যারা ওসবের প্রতি মনােযােগ প্রদান করেনি বিচারে এ সব অনুপ্রেরণার বাণী তাদেরকে দোষী করবে। ” Testimonies for the Church,” vol. 1, p. 506. MYPBen 287.1