যখন ঈশ্বরের বাক্য আমাদের পরামর্শদাতা হিসেবে স্থান পায়, আর আমরা আলাের জন্য শাস্ত্র অন্বেষণ করি, তখন মনকে গভীর ভাবে অনুপ্রাণিত করতে স্বর্গের দূতগণ আসেন, যেন এটি প্রকৃত পক্ষে বলা যেতে পারে “তব বাক্যসমূহের বিকাশ আলােক প্রদান করে, তাহা অমায়িকদিগকে বুদ্ধিমান করে।” এটি আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, যখন ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি খুব অল্পই মনােযােগ প্রদান করা হয়, তখন যে যুবকেরা খ্রীষ্ট ধর্ম স্বীকার করে, তার চেয়ে স্বর্গীয়মনা তরুণ আর দেখা যায় না। স্বর্গীয় পরামর্শ মান্য করা হয়নি; সতর্কবাণীর আজ্ঞাবহ হয়নি; অনুগ্রহ এবং স্বর্গীয় জ্ঞানের অন্বেষণ করা হয়নি, যেন অতীতের পাপসমূহ এড়িয়ে চলা যায় এবং ভ্রষ্টতার প্রতিটি খুঁত চরিত্র থেকে পরিষ্কৃত হয়। দায়ূদের প্রার্থনা ছিল, “তােমার নির্দেশ-পথ আমাকে বুঝাইয়া দেও, আমি তােমার আশ্চর্য কর্ম সকল ধ্যান করিব।” MYPBen 418.2
তরুণদের মন, এবং যারা পরিপক্ক মানুষ তারা যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, যখন তারা একসঙ্গে চলে, তাদের আলােচনা হবে উন্নত বিষয়ের উপরে । মন যখন নিলক, এবং চিন্তারাশি ঈশ্বরের সত্য দ্বারা উন্নত হয়, তখন বাক্যগুলাে হয় এই প্রকৃতির, “রৌপ্যের ডালিতে সুবর্ণ নাগরঙ্গ ফলের তুল্য।” কিন্তু বর্তমান জ্ঞান, বর্তমান অনুশীলন, অনুন্নত অভ্যাস, অনুন্নত মান যা এমন কি নামধারী খ্রীষ্টানরা এতে পৌছতে পেরেই সন্তুষ্ট, এগুলাে আলাপ আলােচনা অসার, উপকার বিহীন। এটি “পৃথিবীর, পৃথিবী, এবং সত্যের অথবা স্বর্গের স্বাদগন্ধ বিহীন, এবং আরও অধিক কৃষ্টিগত বিষয়ীগত শ্রেণীর মান অনুযায়ী হয় না। MYPBen 418.3