প্রভু যীশু পবিত্র আত্মার মাধ্যমে কাজ করেন; কেননা পবিত্র আত্মা তাঁর প্রতিনিধি । তার মাধ্যমে তিনি আত্মার মধ্যে আত্মার জীবন অনুপ্রবেশ করান; উত্তমের জন্য তার শক্তিকে সঞ্জীবিত করেন, অপবিত্রতা থেকে এটি পবিত্র করেন এবং তাঁর রাজ্যের যােগ্য করেন। মানুষকে দেবার জন্য যীশুর কাছে মস্তবড় আশীর্বাদ এবং অতীব মূল্যবান দানসমূহ রয়েছে। তিনি আশ্চর্য পরামর্শদাতা, অসীম জ্ঞান এবং ক্ষমতার অধিকারী; আর যদি, আমরা তাঁর আত্মার ক্ষমতা উপলব্ধি করি, এবং তার মাধ্যমে গঠিত হবার জন্য বশ্যতা স্বীকার করি, তবে আমরা সম্পূর্ণরূপে সঠিক অবস্থানে থাকব। এ কত চমৎকারই না একটি চিন্তা। “কেননা (খ্রীষ্টে) তাহাতেই ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরূপে বাস করে। এবং তােমরা তাহাতে পূর্ণীকৃত হইয়াহু, যিনি সমস্ত আধিপত্যের ও কর্তৃত্বের মস্তক।” মানব হৃদয় কখনও সুখ অবগত হতে পারবে না, যাবৎ না তা ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা গঠিত হবার জন্য বশীভূত হয়। আত্মা নবায়িত মানুষকে আদর্শের প্রতীক খ্রীষ্টের অনুরূপতায় পুনর্গঠন করে। আত্মার প্রভাবের মাধ্যমে, ঈশ্বরের বিরুদ্ধের শত্রুতা বিশ্বাস ও প্রেমে, এবং অহঙ্কার নম্রতায় পরিবর্তিত হয়। মানুষ সত্যের মাধুর্য উপলব্ধি করে, আর খ্রীষ্ট পরম উৎকর্ষ এবং চরিত্রের সিদ্ধতায় সমাদৃত হন। যেমন এগুলাের পরিবর্তন সমূহ ফলােৎপাদন করে; দূতগণ তীব্র আনন্দগানে উল্লাসিত হন, এবং ঈশ্বর এবং খ্রীষ্ট ঐশ্বরিক সাদৃশ্যে প্রচলিত রীতি অনুসারে আত্মাগণের জন্য আনন্দ করেন। MYPBen 49.2