আমাদের প্রকৃতির আবেগ, মনের একটি কর্মশক্তি বা অন্তঃকরণের ইচ্ছা নয়, কিন্তু প্রতিক্ষণে ঈশ্বরের আত্মার বশীভূত থাকতে হবে। এমন কোনাে আশীর্বাদ নেই যা ঈশ্বর মনুষ্যের উপর বর্ষণ করেন না, বা একটি পরীক্ষাও নেই যা তিনি তার ওপর আসতে অনুমতি দেন, কিন্তু যদি আমরা সামান্য সুযােগটুকুও দিই, শয়তান দুটোই করতে পারে এবং মানুষের ওপর পরীক্ষা আনয়ন করতে পারে, আত্মাকে হয়রান করে বিনষ্ট করতে পারে। সুতরাং মানুষের আত্মিক জ্যোতি যত বড়ই হােক না কেন, সে ঐশ্বরিক দয়া এবং আশীর্বাদ যত বেশিই উপভােগ করুক না কেন, তাকে প্রভুর সামনে নত ও নম্রভাবে গমনাগমন করতে হবে, বিশ্বাসে অনুরােধ করতে হবে যেন ঈশ্বর, সরাসরিভাবে প্রতিটি চিন্তা ও প্রতিটি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করেন। MYPBen 56.1
যারা নিজেদের ধার্মিক বলে মুখে স্বীকার করে, তাদের অতীব পবিত্র দায়িত্ব হবে তাদের আত্মাকে পাহারা দেওয়া এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ উত্তেজনার মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করা। মােশির ওপরে যে বােঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, তা খুবই বড়; খুব অল্প লােকেই তার ন্যায় পরীক্ষিত হয়েছিল; তবুও এটি তার পাপের ওজুহাতের বিষয়ে বলে না। ঈশ্বর তার লােকদের জন্য পর্যাপ্ত উপায় করে রেখেছেন; আর তারা যদি তার শক্তির উপর নির্ভর করে, তবে তারা কখনও পরিস্থিতির শিকার হবে না। শক্তিশালী প্রলােভন কখনওই পাপের অজুহাত হতে পারে না। যত বড় চাপই আসুক না কেন, আজ্ঞা লঙ্ঘন আমাদের নিজেদের কাজ। কোনাে ব্যক্তিকে দিয়ে অন্যায় কাজ করানাের ক্ষমতা পথিবী বা নরকের নেই। শয়তান আমাদের দুর্বল স্থানে আঘাত করে, কিন্তু আমরা পরাস্ত হব না। প্রবল আক্রমণ যতই তীব্র বা অপ্রত্যাশিত হােক না কেন, ঈশ্বর আমাদের জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন, আর তার শক্তিতে আমরা জয়ী হতে পারি।- “ Patriarchs and Prophets ” p. 421. MYPBen 56.2