Go to full page →

দুর্যোগে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য LDEBeng 22

একমূহুর্তের সতর্কবাণী না দিয়া সমুদ্রে ভয়ানক দূর্যোগে নৌকা-জাহাজের অনন্ত বিনাশের অর্থ কি? দরিদ্রদের নিষ্পষণ করিয়া যে ধন সম্পদের অধিকাংশ লইয়া লোকেরা পাহাড় গড়িয়াছে, তাহা যখন স্থলভাগের দূর্ঘটনায়, অগ্নিকান্ডে ভষ্মীভূত হইবার অর্থ কী? যাহারা শাব্বাথ কে অবমাননা করিয়া ইহার পরিবর্তে নকল বিশ্রাম দিন গ্রহণ করিয়াছে, তাঁহার আজ্ঞা লংঘন করিয়াছে, তাঁহার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিয়াছে, তাহাদের সম্পত্তি রক্ষা করিতে ঈশ্বর হস্তক্ষেপ করিবেন না। ঈশ্বরের আঘাত পতিত হইতে আরম্ভ হইতেছে, অতিমূল্যবান অট্টালিকাসমূহ বিনষ্ট হইতেছে, মনে হইতেছে যেন আকাশ হইতে অগ্নির নিঃশ্বাস পড়িতেছে। এই সকল দন্ডাজ্ঞা কি প্রকাশ্যে স্বীকারকারী খ্রীষ্টিয়ানগণের সুমতি ফিরাইয়া আনিবে না? পৃথিবী যেন সচেতন হয় এবং পাপীরা যেন ভীত এবং তাঁহার সম্মুখে কম্পমান হয়, এই কারণ ঈশ্বর এই সকল দুৰ্য্যোগ ঘটিতে অনুমতি প্রদান করেন ৷ -3 MR 311 (1902) LDEBeng 22.5

এই সকল দুর্যোগ ঘটিতে দিবার পশ্চাতে ঈশ্বরের একটি উদ্দেশ্য রহিয়াছে। নর-নারীগণের জ্ঞান ফিরাইবার নিমিত্ত ইহা তাঁহার একটি পদ্ধতি। প্রকৃতিতে অস্বাভাবিক ক্রিয়া সাধন করিয়া ঈশ্বর সন্দেহপূর্ণ মানব সংস্থা সমূহের নিকট তাহাই প্রকাশ করিতে চাহেন যাহা তিনি তাঁহার বাক্যে অতি পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করিয়াছেন। -19 MR 279 (1902) LDEBeng 23.1

ভূমিকম্প ও ঘূর্ণীঝড়, অগ্নি ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতিতে বহু প্রাণ ও সম্পত্তির বিনষ্টের কথা আমরা কত ঘন ঘনই না শুনিয়া থাকি। আপাতদৃষ্টিতে এই সকল দূৰ্য্যোগকে অসংগঠিত অনিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের খামখেয়ালী বর্হিপ্রকাশ যাহা মনুষ্যের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে, কিন্তু ইহাদের মধ্যে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য দেখিতে পাওয়া যায় । ইহারা সেই সকল মাধ্যমের অন্তর্ভূক্ত যদ্বারা তিনি নরনারীগণকে তাহাদের বিপদ সংক্রান্ত বোধকে জাগরিত করিতে চাহেন। —PK 277 (C. 1914) LDEBeng 23.2