Go to full page →

বিশ্বের সম্পদ অন্বেষণ LDEBeng 212

সেখানে যখন আমাদের দৃষ্টি অন্ধকার করা পর্দা সরানো হইবে, আমাদের চক্ষু তখন সেই সৌন্দর্যের পৃথিবী দেখিতে পাইবে এখন আমরা যাহা অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা দেখি, এখন টেলিস্কোপ দ্বারা যাহা দেখি সেই আকাশীয় মহিমা দেখিব, যখন পাপের ক্ষতি দূরীভূত হইবে তখন সমগ্র পৃথিবী আমাদের প্রভু ঈশ্বরের সৌন্দর্য্যে প্রকাশিত হইবে, আমাদের অধ্যয়নের নিমিত্ত কিরূপ একটি ক্ষেত্র উন্মুক্ত হইবে! বিজ্ঞানের ছাত্রগণ সৃষ্টির দলিলাদি পাঠ করিতে পারিবে এবং মন্দাত্মার নিয়মের কোন তাগিদ অনুভব করিবে না। সে প্রকৃতির আওয়াজ শ্রবণ করিতে পারিবে কিন্তু কোন বিলাপ বা শোকের কোন অনুচ্চ স্বর শুনিতে পাইবে না। LDEBeng 212.3

ঈশ্বরের সন্তানগণের নিকটে বিশ্বের সকল সম্পদ অধ্যয়ন করিবার নিমিত্ত উন্মুক্ত থাকিবে। অব্যক্ত উল্লাসে আমরা অপতিত ব্যক্তিবর্গের জ্ঞান ও আনন্দে প্রবেশ করিব। আমরা ঈশ্বরের হস্তকৃত কার্যের ধ্যানের নিমিত্ত ব্যয়িত যুগযুগ ব্যাপী লব্ধ সম্পদ সহভাগ করিব। — Ed303, 307 (1903). LDEBeng 212.4

তাহারা মরণ শীলতা মুক্ত হইয়া অক্লান্ত উড়ানে দূরদূরান্তের পৃথিবী সমূহে যাইবে- যে পৃথিবী মনুষ্য দুর্দশা দেখিয়া শোকে রোমাঞ্চিত হয়; এবং মুক্তিপ্রাপ্ত আত্মার সুসংবাদে আনন্দ গানে মুখরিত হয়। ..বিস্ফারিত নেত্রে তাহারা সৃষ্টির মহিমা দর্শন করে-সূর্য্যেরা ও তারকারাজি ও সমগ্র পদ্ধতি তাহাদের নির্দিষ্ট নিয়মে ঈশ্বরের সিংহাসনের চতুর্দিকে ভ্রমণ করে ক্ষুদ্র কি বৃহৎ সমস্ত বস্তুর উপরে সৃষ্টিকর্তার নাম লিখিত এবং সকলের উপরে তাহার পরাক্রমের সম্পদ প্রদর্শিত। —GC677, 678 (1911). LDEBeng 212.5