ঈশ্বরের বিচারের সামনে সমস্ত মিসর কম্পিত হতে লাগল । ফরৌণ দ্রুত দুই ভাইকে সংবাদ দিলেন: “এই বার আমি পাপ করিয়াছি; সদাপ্রভু ধর্মময়; কিন্তু আমি ও আমার প্রজারা দোষী। তোমরা সদাপ্রভুর কাছে বিনতি কর; মেঘগর্জ্জন ও শিলাবৃষ্টি যথেষ্ট হইয়াছে? আমি তোমাদিগকে ছাড়িয়া দিব, তোমাদের আর বিলম্ব হইবে না।” PPBeng 190.2
মোশি জানতেন যে প্রতিযোগীতা শেষ হয়নি। ফরৌণের স্বীকারোক্তি তার মনের কোন আকস্মিক পরিবর্তনের ফল ছিল না কিন্তু তা ভয় ও যাতনার মাধ্যমে আদায় করা হয়েছিল। যা হোক, মোশি তাকে আর কোন একগুয়েমীর সুযোগ না দিয়ে তার অনুরোধ রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন। ঝড়-ঝঞ্ঝা অবহেলা করে ভাববাদী বেরিয়ে গেলেন, এবং ফরৌণ ও তার লোকেরা নিজ ভাববাদীকে রক্ষা করায় ঈশ্বরের ক্ষমতা দেখতে পেল। মোশি সদাপ্রভুর দিকে হাত উঠাইলেন, তাহাতে মেঘগর্জন ও শিলাপতন নিবৃত্ত হইল, এবং ভূমিতে আর জলধারা বর্ষিল না। কিন্তু রাজা যখনই ভয় মুক্ত হলেন, তখনই তার হৃদয় নিজ স্বেচ্ছাচারিতায় ফিরে গেল । PPBeng 190.3
ইস্রায়েল ও মিস্ত্রীয়দিগের মধ্যে যে পার্থক্য তিনি করেন ঈশ্বর এখন তার এক অভ্রান্ত প্রমাণ দেবেন এবং পৃথিবীর সমস্ত জাতিসমূহকে তিনি জানতে দেবেন যে যিহুদিরা স্বর্গীয় ঈশ্বরের রক্ষাকারী হাতের নীচে রয়েছে। মোশি রাজাকে সতর্ক করে দিলেন যে পঙ্গপালের একটি আঘাত আসবে, এবং এবার যা কিছু সবুজ অবশিষ্ট রয়েছে সে সমস্তই খেয়ে ফেলবে; রাজ প্রাসাদসহ সমস্ত ঘর এগুলি দ্বারা পূর্ণ হবে; তিনি বললেন, যে এ শাস্তি এমন ভয়ঙ্কর হবে যা “পৃথিবীতে তোমার পিতৃপুরুষদের ও তাহাদের পিতৃপুরুষদের জন্মাবধি অদ্য পর্যন্ত কখনও তদ্রূপ দেখা যায় নাই।” PPBeng 190.4
ফরৌণের পরিষদরা ভয়ে হতবাক হয়ে গেলেন। পশুপালের মৃত্যুতে জাতি অনেক ক্ষতির মোকাবেলা করছে। শিলা বৃষ্টিতে অনেক লোকের মৃত্যু হয়েছে। বন-জঙ্গল ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং শষ্য বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। যিহূদীদের পরিশ্রমের ফলে তারা যা কিছু লাভ করেছিল সে সকলই তারা দ্রুত হারিয়ে ফেলেছে । পুরো দেশ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখী । পরিষদবর্গ রাজার নিকটবর্তী হয়ে দাবী জানালেন, “এ ব্যক্তি কতকাল আমাদের ফাঁদ হইয়া থাকিবে? এই লোকদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করণার্থে ইহাদিগকে ছাড়িয়া দিউন; আপনি কি এখনও বুঝিতেছেন না যে, মিসর দেশ ছারখার হইল?” PPBeng 191.1
আবার মোশি ও হারোণকে ডাকা হল, এবং রাজা তাদের বলেন, “যাও, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর গিয়া; কিন্তু কে কে যাইবে?” PPBeng 191.2