স্বর্গীয় অনুগ্রহের মাধ্যমে হৃদয়ের মধ্যে নতুনত্ব সৃষ্টি করতে হবে। যে খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ছাড়াই চরিত্রবান হতে চেষ্টা করে, সে বালুচরে ঘর বাঁধে । প্রলোভনের প্রচন্ড ঝড়ে এটি নিশ্চয়ই ধ্বসে পড়বে। দায়ূদের প্রার্থনা প্রত্যেক আত্মার কাম্য হওয়া প্রয়োজন: “হে ঈশ্বর, আমাতে বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ সৃষ্টি কর, আমার অন্তরে সুস্থির আত্মাকে নূতন করিয়া দেও।” গীতসংহিতা ৫১:১০। PPBeng 327.1
তবুও প্রলোভনকে বাঁধা দানের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে । যারা শয়তানের ফাঁদে পা রাখতে চান না তারা আত্মার অলিগলিতে সতর্ক প্রহরায় রাখবেন; যে সমস্ত জিনিষ পড়লে, দেখলে, অথবা শুনলে মনের মধ্যে অপবিত্র চিন্তা ও কুচিন্তার সৃষ্টি হয়, সে সমস্ত এড়িয়ে চলুন। এর জন্য প্রয়োজন একাগ্র প্রার্থনা ও অবিরাম সতর্কতা। পবিত্র আত্মার প্রভাবের চিরন্তন উপস্থিতি, পবিত্র বিষয়ে চিন্তা করার জন্য মনকে ঊর্ধ্বে আকর্ষণ করবে। “যুবক কেমন করিয়া নিজ পথ বিশুদ্ধ করিবে? তোমার বাক্যানুসারে সাবধান হইয়াই করিবে।” “তোমার বচন আমি হৃদয় মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি, যেন তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।” গীতসংহিতা ১১৯:৯, ১১। PPBeng 327.2
বাল্-পিয়োরে ইস্রায়েলের পাপ সমস্ত জাতির উপর ঈশ্বরের বিচার নিয়ে এসেছিল । একই পাপ বর্তমানে এত তাৎক্ষণিক ভাবে দন্ড-প্রাপ্ত না হতে পারে, কিন্তু প্রকৃতিতে ভয়ঙ্কর শাস্তির ব্যবস্থা স্থাপিত রয়েছে, যে শাস্তি, আজ হোক, কাল হোক, প্রত্যেক পাপীকেই ভোগ করতে হবে। অন্য যে কোন কারণের চেয়ে এই পাপ সমূহই আমাদের জাতির ভয়ঙ্কর অবক্ষয় ঘটিয়েছে, ও সমস্ত পৃথিবীর রোগ ও দুঃখ কষ্টের শাপ বয়ে এনেছে। মানুষ তার পাপ অন্য মানুষ হতে গোপন করতে পারে, কিন্তু এর ফলে তারা ভোগ করবে দুঃখ-কষ্ট, ব্যাধি, অথবা মৃত্যু । আর এই জীবনের পরে রয়েছে শেষ বিচার। “যাহারা এই সমস্ত করে তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না,” কিন্তু শয়তান ও তার সাথী খারাপ দূতগণের সাথে “অগ্নিহ্রদ” লাভ করবে যা হল “দ্বিতীয় মৃত্যু”।- গালাতীয় ৫:২১ ; প্রকাশিত বাক্য ২০:১৪। PPBeng 327.3