Go to full page →

দশমাংশ পবিত্র কেন ? PPBeng 125

যখনই আমাদের কোন বিশেষ বিপদ হতে মুক্ত করা হয়, অথবা কোন নূতন ও অনাকাঙ্খিত অনুগ্রহ আমাদের দেখানো হয় আমরা ঈশ্বরের কাছে বিশেষ দান রেখে তার করুণার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত । আর যেহেতু আমারা অনবরতই ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাচ্ছি। তাই সর্বদাই আমাদের দান করতে থাকা উচিত । PPBeng 125.5

যাকোব বলেছেন, “তুমি আমাকে যাহা কিছু দিবে, তাহার দশমাংশ আমি তোমাকে অবশ্য দিব।” আমরা যারা সুসমাচারের পূর্ণ আলোকে থাকি তারা কি তাদের থেকে কম দেব যারা আগের দিনের শাস্ত্রের বিধানের ভিতরে বাস করতেন? আমাদের দায়িত্ব কি তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায় নি? কিন্তু যে প্রেম এত অপরিমেয় আর যে দান এত অকল্পনীয় তার সহিত অঙ্ক করে সময়, টাকা-পয়সা, ও প্রেম বিনিময় করা কি একটি ব্যর্থ প্রয়াস নয়? খ্রীষ্টের জন্য দশমাংশ যার মূল্য এত অধিক তার জন্য কি পরিমিত অনুতাপ ও কি লজ্জাষ্কর দান! কালভেরীর ক্রুশে থেকে খ্রীষ্ট আহবান জানাচ্ছেন যে আমরা যেন আমাদের সম্পূর্ণ একনিষ্ঠতা ও আমাদের যা কিছু আছে এবং আমরা যা কিছু তার সমস্তই তাঁর উদ্দেশে নিবেদন করি PPBeng 126.1

নূতন বিশ্বাস ও স্বর্গীয় দূতগণের উপস্থিতির নূতন নিশ্চয়তা পেয়ে যাকোব “পূর্বদিকস্থ বংশীয়দের দেশের” দিকে যাত্রা শুরু করলেন। কিন্তু প্রায় একশ বছর আগে আব্রাহামের দাসগণের আগমনের থেকে যাকোবের আগমন কতই না ভিন্ন ধরণের! দাস এসেছিল উটের পিঠে একদল পরিচারক সহকারে, প্রচুর সোনা ও রূপার উপহার সহকারে; বংশধর এল নিঃসঙ্গ, পায়ে-ফোস্কা পড়া ক্লান্ত পথিক, হাতের লাঠি ছাড়া আর কোন কিছুই তার সঙ্গে ছিল না। অব্রাহামের দাসের মত, যাকোব ও একটি কুয়ার নিকট বিশ্রাম নিচ্ছিল, এবং ঐখানেই তিনি লাবনের ছোট মেয়ে রাহেলের সাক্ষা পেয়েছিলেন। তার আত্মীয়তার পরিচয় দেবার পর তাকে তার মামা লাবনের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ জানানো হোল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তার পরিশ্রম ও দক্ষতার পরিচয় পাওয়ার পর তাকে ঐখানে থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হল । বন্দোবস্ত করা হল যে তিনি সাত বসর পরিশ্রম করলে রাহেলকে বিয়ে করতে পারবেন। PPBeng 126.2