পাপ স্বীকার । (CONFESSION)
- সূচীপত্র।
-
- মানুষের প্রতি ঈশ্বরের প্রেম । ( GOD’S LOVE FOR MAN )
- দ্বিতীয় অধ্যায়
- পাপীর খ্রীষ্টে প্রয়োজন । (The SINNER’S NEED OF CHRIST)
- তৃতীয় অধ্যায়
- অনুতাপ । (REPENTANCE)
- চতুর্থ অধ্যায়
- পাপ স্বীকার । (CONFESSION)
- পঞ্চম অধ্যায়
- আত্ন-সমর্পণ |(CONSERATION)
- ষষ্ঠ অধ্যায়
- বিশ্বাস ও পরিগ্রহন |(FAITH AND ACCEPTANCE)
- সপ্তম অধ্যায়
- শিষ্যত্বের লক্ষন |(THE TEST OF DISCIPLESHIP)
- অষ্টম অধ্যায়
- খ্রীষ্টে শ্রীবৃদ্ধি লাভ |(GROWING UP INTO CHIRST)
- নবম অধ্যয়
- কার্য্য ও জীবন । (THE WORK AND LIFE)
- দশম অধ্যায়
- ঈশ্বর সন্মন্ধে জ্ঞান|(A KNOWLEDGE OF GOD)
- একাদশ অধ্যায়
- প্রার্থনা করিবার অধিকার। (THE PRIVILIEGE OF PRAYER)
- দ্বাদশ অধ্যায়
- সন্দেহ ভঞ্জন। (WHAT TO DO WITH DOUBT)
- ত্রয়োদশ অধ্যায়
- আনন্দ সাধনা । (REJOICING IN THE LORD)
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
চতুর্থ অধ্যায়
পাপ স্বীকার । (CONFESSION)
“যে আপন অধর্ম্ম সকল ঢাকে, সে কৃতকায্য হইবে না ; কিন্ত যে তাহা স্বীকার করিয়া ত্যাগ করে , সে করুনা পাইবে ।” হিতো ২৮ :১৩ SC 37.1
যে সমুদয় পন্থা দ্বারা ঈশ্বরের করুনা লাভ করিতে হইবে,তাহা অতেশয় সহজ , ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত । পাপের ক্ষমা পাইবার জন্য আমরা কোন গুরতর ব্যাপার সম্পন্ন করি, ঈশ্বরের এইরূপ ইচ্ছা নহে । স্বর্গস্থ ঈশ্বরের সম্মুখে আমাদিগকে উপযোগী করিয়া তুলিবার , অথবা আমাদের পাপের প্রায়শ্চিও করিবার জন্য, কষ্টসাধ্য তীর্থযাত্রা, অথবা ক্লেশকর নানাবিধ কঠোর অভ্যাস করিবার কোনই প্রয়োজন নাই; কিন্তু যে কেহ পাপ স্বীকার ও পাপ ত্যাগ করিবে, সে-ই করুণা লাভ করিতে পারিবে।SC 37.2
শাস্ত্রে লিখিত আছেঃ- “তোমরা একজনের অন্য জনের কছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর,ও এক জন অন্য জনের নিমিও প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পারে” (যাকোব ৫:১৬)। ঈশ্বরের নিকটে তোমার পাপসমুহ স্বীকার কর , কারন একমাত্র তিনি উহা ক্ষমা করিতে পারেন,এবং একজন অন্যজনের কাছে নিজ নিজ অপরাধ স্বীকার করিও।তুমি যদি তোমার বন্ধু বা প্রতিবেশির প্রানে আঘাত দিয়া থাক, তবে তাঁহার নিকটে তোমার অপরাধ স্বীকার করিতে হইবে এবং সে তোমাকে স্বচ্ছন্দে ক্ষমা করিবে, ইহাই তাঁহার কওব্য । তারপর তোমাকে ঈশ্বরের ক্ষমা ভিক্ষা কারন যে ভ্রাতার প্রানে আঘাত দিয়াছ সে ঈশরের সম্পওি এবং তাহাকে আঘাত দিয়া তুমি তাঁহার সৃষ্টিকর্ত্তা ও ত্রানকর্ত্তার বিরদ্ধে পাপ করিয়াছ । “যিনি সর্ব্ববিষয়ে আমাদের ন্যায় পরীক্ষিত হইয়াছেন বিনাপাপে,” “যিনি আমাদের দুর্ব্বলতা ঘটিত দুঃখে দুঃখিত “এবং যিনি পাপের প্রতি কালিমা রেখা হইতে শুচি করিতে পারেন সেই একমাত্র মধ্যস্থ, আমাদের মহা-যাজকের সম্মুখে সমুদয় অপরাধ উপস্থিত হইবে।SC 38.1
যাহার পাপ স্বীকার করিয়া ঈশ্বরের সম্মুখে তাহাদের আত্মা বিনীত বা অবনত করে নাই, তাঁহারা এখনও ঈশ্বর কর্ত্তৃক গৃহীত হইবার প্রথম সর্ত্ত পুরন করিতে পারে নাই। যদি আমারা যে অনুতাপের নিমিত ফিরিয়া অনুতাপ করিতে হয় ,সেইরূপ অনুতাপ না করিয়া থাকি, যদি আমরা পাপের প্রতি অতিশয় ঘৃনাভাব পোষণ করিয়া নম্র আত্মা ও ভগ্ন হৃদয় সহকারে আমাদের পাপ স্বীকার না করিয়া থাকি তবে আমরা কখনই পাপ ক্ষমার নিমিত অন্তরিক চেষ্টা করি নাই, এবং ঐ প্রকার চেষ্টা করিয়া না থাকিলে কখনও ঈশ্বরের শান্তি লাভ করিতে পারি নাই। আমাদের অতীত পাপ রাশির ক্ষমা না পাইবার কারন এই যে, আমরা আমাদের হৃদয় নত করিতে সত্য বাক্যের সর্ত্ত সমূহ পালন করিতে যত্নবান হই নাই এই বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট উপদেশ দেওয়া হইয়াছে প্রকাশ্যে, অথবা গোপনে হউক্, পাপ-স্বীকার অন্তরিক হইবে এবং উহা মুক্ত ভাবে ব্যক্ত করিতে হইবে। পাপীর নিকট হইতে উহা জোর করিয়া বাহির করিলে চলিবে না। উহা তাচ্ছিল্য ও অসতর্ক ভাবে ব্যক্ত করিলে, অথবা পাপের ভীষণতা সমন্ধে যাহাদের ধারনা জন্মে নাই তাহাদের নিকট হইতে জোর করিয়া বাহির করিলে কোনই সুফল হইবে না। অন্তরাত্না হইতে যে পাপস্বীকার বানী উৎসারিত হইয়া উঠে তাহাই অনন্ত করুনাময় পরমেশ্বরের দিকে ধাবিত হয় ।রাজর্সি দায়ুদ বলেন,” সদা প্রভু ভগ্ন চিত্তদের নিকতবত্তী, তিনি চূর্ণমনাদের পরিত্রাণ করেন”।SC 38.2
প্রকৃত পাপ-স্বীকার সর্ব্বদা নিদ্দিষ্ট পাপ লক্ষ করিয়া এবং কোন বিশেষ বিশেষ পাপের জন্য হইয়া থাকে ।সেই সমুদয় হয়ত এইরূপ পারে যে শুধু ঈশ্বরের সম্মুখেই সেই সকল পাপ উপস্থিত করা যাইতে পারে হইত বা তাহাদিগকে ঐ পাপের নিমিত ভুগিতে হইয়াছে উহা তাহাদেরই নিকটে স্বীকার করিতে হইবে; আবার হয়তো ঐ সকল এরূপ সাধারন রকমের পাপ যে প্রকাশ্য ভাবে স্বীকার করাই কওব্য ।কিন্তু সকল প্রকার পাপ স্বীকার যেন সুস্পষ্ট এবং বিষয়নুরূপ হয় অর্থাৎ যে সমুদয় পাপের নিমিও তুমি অপরাধি ঠিক তাহাই ঘোর প্যাঁচ না করিয়া স্পষ্টরূপে স্বীকার করিবে। SC 39.1
শমুয়েলের সময়ে ইস্রাইয়েলেরা ঈশ্বর হইতে দূরে সরিয়া পরিয়াছিল তাঁহার পাপের ফলভোগ করিতেছিল; কারন তাঁহারা ঈশ্বরের নির্ভরতা ,জাতি শাসন করিবার নিমিত তাঁহার শক্তি জ্ঞান সম্পর্কীয় ধারণা ,এবং তাঁহার উদ্দেশ্য সাধন ও সমর্থন করিবার উপযোগী যোগ্যতা সন্বন্ধে বিশ্বাস হারাইয়া ফেলিয়াছিল তাহারা সমগ্র বিশ্বের মহান অধিপতির বিরোধী হইল এবং তাহাদের পাপের বিকটতা সন্মন্ধে ধারণা করিতে পারে না ; এবং পবিত্র আত্মার চেতনাদায়ক শক্তির নিকটে আত্ন-সমর্পন না করিলে সে তাঁহার পাপ সন্মন্ধে অন্ধ থাকিবে । তাঁহার পাপ স্বীকার আকপট ও আন্তরিক নহে। সে তাহার প্রত্যেক অপরাধ স্বীকার করিবার সঙ্গে সঙ্গে আপনার কুপথ সন্মন্ধে একটা অজুহাত উপস্থিত করিয়া থাকে, এবং প্রকাশ করে যে, যে নিমিও সে তিরস্কৃত হইতেছে কোন বিশেষ বিশেষ কারন না থকিলে সে কখনও ঐরূপ কুকার্য্য লিপ্ত হইত না । SC 39.2
আদম ও হবা নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খাইয়া লজ্জায় ও ভয়ে অভিভূত হইলেন ।কিরূপে তাঁহারা পাপের জন্য ওজর করিবেন এবং মৃত্যুর ভীষন দণ্ড হইতে নিষ্কৃতি পাইবেন, —ইহাই প্রথমে তাহাঁদের একমাত্র চিন্তা ছিল । সদাপ্রভু তাহাদের পাপ সমন্ধে প্রশ্ন করিলে পর, আদম অপরাধের ভার কতক ? ঈশ্বরের কতক তাঁহার সঙ্গিনীর উপর অর্পণ করিয়া উত্তর দিলেন “তুমি আমার সঙ্গিনী করিয়া যে স্ত্রী দিয়াছ ,সে আমাকে ঐ বৃক্ষের ফল দিয়াছিল, তাই খাইয়াছি ।” নারী আবার সর্পকে অপরাধী করিয়া বলিলেন , “সর্প আমাকে ভুলাইয়াছিল, তাই খাইয়াছি” (আদি ৩:১২,১৩)।কেন তুমি সর্প সৃষ্টি করিলে ?কেন তুমি উহাকে এদনে আসিতে দিলে ? নারী তাঁহার পাপের ওজর দেখাইবার নিমিও তাহাদের পতনে দায়িত্ব সমন্ধে ঈশ্বরকে অভিযুক্ত করিয়া এই সমুদয় প্রশ্ন উথাপিত করিলেন ।মিথ্যার জনক হইতে এইরূপ দোষক্ষালন করিবার প্রবৃওি আসিয়াছে এবং আদমের যাবতীয় পুত্র কন্যা তাহাই প্রদর্শন করিতেছে ।এই প্রকার পাপ-শিকার কখনও ঐশ্বরিক আত্মা দ্বারা অনুপ্রাণিত নহে এবং উহা কখনও ঈশ্বর কর্ত্তৃক গৃহীত হইবে না । অকপট অনুতাপ মানুষকে তাঁহার আপন পাপভার নিজের উপরে বহন করিতে চালিত করিবে এবং সে উহা কোন প্রকার প্রতারনা বা কপটতা না করিয়া মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিবে। দুর্ভাগ্য করগ্রাহির মত, সে স্বর্গের দিকে চক্ষু তুলিতে সাহসী না হইয়া চীৎকার করিয়া বলিবে, ” হে ঈশ্বর আমার প্রতি এই পাপীর প্রতি দয়া কর। যাহারা আপন আপন আপরাধ স্বীকার করে তাহারাই ধার্ম্মিক বলিয়া গনিত হইবে, কারন যীশু আপন রক্তে অনুতপ্ত আত্মার পক্ষ সমর্থন করিবেনSC 40.1
ঈশ্বরের বাক্য খাঁটি অনুতাপ ও দীনতার দৃষ্টান্ত এরূপ পাপ স্বীকারের আত্মা প্রকাশ করিয়াছে, যাহাতে পাপের নিমিত্ত কোন অজুহাত নাই, আত্মদোষ ক্ষালনের নিমিত্ত কোন চেষ্টা নাই; আপনার অপরাধের ভার হ্রাস করিবার চেষ্টা না করিয়া তিনি উহা গাঢ়তম কৃষ্ণবর্ণে রঞ্জিত করিলেন। তিনি বলিয়াছেন “প্রধান যাজকদের নিকটে ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া পবিত্রগনের মধ্যে অনেককে আমি কারাগারে বদ্ধ করিতাম , ও তাহাদের প্রান দন্ডের সময়ে সম্মতি প্রকাশ করিতাম আর সমস্ত সমাজ- গৃহে বারবার তাহাদিগকে শাস্তি দিয়া বলপূর্বক ধর্ম্মনিন্দা করাইতে চেষ্টা করিতাম,এবং তাহাঁদের বিরুদ্ধে অতিমাত্র উন্মুক্ত হইয়া বিদেশীয় নগর পর্য্যন্ত তাহাদিগকে তাড়না করিতাম (প্রেরিত ২৬:১০,১১ )।তারপর তিনি এরূপ ঘোষণা করিতেও ইতস্ততঃ করিলেন না যে “খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন তাহদের মধ্যে আমি অগ্রগন্য”(১তীম ১:১৫)।SC 41.1
আকপট অনুতাপ দ্বারা বশীভূত,ভগ্ন ও দীন হৃদয় , ঈশ্বরের প্রেম ও কালভেরির মূল্য কিয়ৎপরিমানে অনুভব করিতে পারিবে পুত্র যেরূপ স্নেহময় পিতার নিকটে আপন অপরাধ স্বীকার করে; সেই রূপ প্রকৃত অনুতপ্ত ব্যক্তিও ঈশ্বরের সম্মুখে তাঁহার সমুদয় পাপ উপস্থিত করিবে। কারন শাস্ত্রে লিখিত আছে “যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্ম্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন এবং আমাদিগকে সকল অধার্ম্মিকতা হইতে শুচি করিবেন” (১যোহন ১:৯)।SC 41.2