৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
-
- পাঠকের উদ্দেশে
- মুখবন্ধ:
- ১ম অধ্যায় - শয়তানের পতন
- ২য় অধ্যায় - মানবের পতন
- ৩য় অধ্যায় - পরিত্রাণ পরিকল্পনা
- ৪র্থ অধ্যায় - খৃষ্টের প্রথম আগমন
- ৫ম অধ্যায় - খৃষ্টের পরিচর্যা কার্য
- ৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
- ৭ম অধ্যায় - খৃষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
- ৮ম অধ্যায় - খৃষ্টের বিচার
- ৯ম অধ্যায় - খৃষ্টের ক্রুশারোপ
- ১০ম অধ্যায় - খৃষ্টের পুনঃউত্থান
- ১১শ অধ্যায় - খৃষ্টের স্বর্গারোহণ
- ১২শ অধ্যায় - খৃষ্টের শিষ্যগণ
- ১৩শ অধ্যায় - স্তিফানের মৃত্যু
- ১৪শ অধ্যায় - শৌলের মনপরিবর্তন
- ১৫শ অধ্যায় - যিহূদীরা পৌলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়
- ১৬শ অধ্যায় - পৌল যিরূশালেম পরিদর্শন করেন
- ১৭শ অধ্যায় - মহা ধর্মভ্রষ্টতা
- ১৮শ অধ্যায় - অধৰ্ম্মের নিগূঢ়তত্ব
- ১৯শ অধ্যায় - দুর্দশায় অনন্ত জীবন নয়, মৃত্যু
- ২০ অধ্যায় - ধর্মসংস্কার
- ২১শ অধ্যায় - মন্ডলী ও জগৎ মিলিত হয়।
- ২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
- ২৩শ অধ্যায় - প্রথম দূতের বার্তা
- ২৪শ অধ্যায় - দ্বিতীয় দূতের বার্তা
- ২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
- ২৬শ অধ্যায় - আরেকটি দৃষ্টান্ত
- ২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
- ২৮শ অধ্যায় - তৃতীয় দূতের বার্তা
- ২৯শ অধ্যায় - এক দৃঢ় মঞ্চ
- ৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
- ৩১শ অধ্যায় - লোভ
- ৩২শ অধ্যায় - বিচলিত হওন
- ৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
- ৩৪শ অধ্যায় - উচ্চ রব (ঘোষণা)
- ৩৫শ অধ্যায় - তৃতীয় বার্তাটির সমাপ্তি
- ৩৬শ অধ্যায় - যাকোবের সঙ্কট-সময়
- ৩৭শ অধ্যায় - ধার্মিকগণের উদ্ধার
- ৩৮শ অধ্যায় - সাধুগণের পুরস্কার
- ৩৯শ অধ্যায় - পৃথিবী জনশূন্য হয়
- ৪০শ অধ্যায় - দ্বিতীয় পুনঃউত্থান
- ৪১শ অধ্যায় - দ্বিতীয় মৃত্যু
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
আমি ‘র্যাপ’এর (ঠোক্কর মারার) বিভ্রান্তি দেখি। এরূপ তাৎপর্য করে আমাদের সাক্ষাতে সেই অপচ্ছায়ার (মূর্তির) সেই সাদৃশ্যগুলি আনার ক্ষমতা শয়তানের আছে যারা নাকি আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব যারা এক্ষণে যীশুতে নিদ্ৰাগত। এরূপ বোধ করানো হবে যেন তাহা হাজির ছিল, সেই সব কথা যা তারা ব্যক্ত করে যখন ধরায় ছিল, যার সঙ্গে আমরা পরিচিত, তা বলা হবে, আর যে কণ্ঠস্বর তাদের ছিল যখন তারা জীবিত ছিল ঠিক তা-ই কৰ্ণে পতিত হবে। এর সব কিছু হচ্ছে জগৎকে প্রতারণা করতে, ও তাদেরকে এই প্রতারণাটিতে সাতে।GCBen 66.1
আমি দেখি যে সেই সত্যের এক পূর্ণাঙ্গ বোধ ধার্মিকদের থাকতেই হবে, যা শাস্ত্ৰকলাপের থেকে তাদেরকে দৃঢ়তাঁর সাথে বলতে হবে। মৃতগণের অবস্থা তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে। কারণ ভূতদের আত্মা তবুও আবির্ভূত হয়ে প্রিয় বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করবে, যারা তাদের কাছে অশাস্ত্রীয় শিক্ষাসমূহ বিবৃত করবে। সহানুভূতি উত্তেজিত করতে, ও তাদের সাক্ষাতে আশ্চৰ্যকাৰ্যসমূহ সাধন করে, তারা যা বিবৃত করে তা বহাল করতে, তাদের সাধ্যে সবকিছু তারা করবে। বাইবেলের সত্য দিয়ে ঈশ্বরের লোকদেরকে এইসব আত্মাকে প্রতিরোধ করতে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে, যে মৃতেরা কিছুই জানে না, ও যে তারা হচ্ছে ভূতরের আত্মা।GCBen 66.2
আমি দেখি যে আমাদের প্রত্যাশার ভিত্তি আমাদেরকে ভালভাবে আলোচনা-অনুসন্ধান করতে হবে, কারণ আমরা বিভ্রান্তি ছড়াতে দেখবো, আর তার সঙ্গে আমাদেরকে মুখোমুখি প্রতিযোগীতা করতে হবে। আর যদি না আমরা তার জন্যে প্রস্তুত না হই, আমরা ফেঁসে যাব ও পরাজিত হব। কিন্তু আমাদের সাক্ষাতে যে সংঘর্ষ তার জন্যে আমাদের পথে যা করার আমরা যদি তা করি, ঈশ্বর তার ভূমিকা পালন করবেন, আর তাঁর সর্ব-শক্তিমান বাহু আমাদেরকে রক্ষা করবে। তিনি তাঁর চেয়ে শ্রীঘ্র বিশ্বস্ত প্রাণীদের আশেপাশে বেড়া রচনা করতে মহিমা হতে প্রতিটি দূত প্রেরণ করবেন তারা যত শীঘ্র প্রতারিত হবে ও শয়তানের মিথ্যা অলৌকিক কার্যগুলির দ্বারা চালিত হবে। তিনি তাঁর চেয়ে তাড়াতাড়ি বিশ্বস্ত প্রাণীদের আশেপাশে বেড়ারচনা করতে মহিমা হতে প্রতিটি দূতকে প্রেরণ করবেন।GCBen 66.3
আমি সেই বেগ (ক্ষিপ্রতা) দেখি যদ্বারা বিভান্তি ছড়াচ্ছিল। মটর গাড়ীর এক শ্ৰেণী আমাকে দেখানো হয় যা বিদ্যুতের বেগে যাচ্ছে। মনোযোগের সঙ্গে আমাকে তাকাতে দূত নির্দেশ দেন। আমি শ্রেণীটির ওপরে আমার স্থিরদৃষ্টি স্থাপন করি। আমি দেখি যে সমগ্র জগৎ তাতে চড়া ছিল। তাঁরপরে তিনি আমাকে দেখান নায়ককে (ব্যবস্থাপককে), যাকে এক জমকালো সুদৰ্শন ব্যক্তির ন্যায় দেখায়, যার ওপরে সকল যাত্রী নির্ভর করে ও শ্রদ্ধা করে। আমি হতবুদ্ধি হই ও আমার সঙ্গে থাকা দূতকে জিজ্ঞেস করি সে কে ছিল। তিনি বলেন, সে হচ্ছে শয়তান। এক আলোকের দূতরূপে সে-ই হচ্ছে ব্যবস্থাপক। জগৎকে সে বিমুগ্ধ করে নেয়। তাদেরকে প্রবল বিভ্রান্তিতে রাখা হয়, এক মিথ্যে বিশ্বস করতে যে তারা নরক ভোগের দন্ড পেতে পারে। তার প্রতিনিধি, তার পরে পর্যায়ে সর্বোচ্চ, হচ্ছে যন্ত্ৰচালক, ও তার প্রতিনিধিদের অন্যান্যরা, বিভিন্ন পদে (কর্তব্যে) নিযুক্ত যেমনটি তাদেরকে তার দরকার, আর তারা সবাই বিদ্যুৎ বেগে সম্পূর্ণ মৃত্যুতে (চিরমৃত্যুতে) যাচ্ছে। আমি দূতকে জিজ্ঞেস করি কেউ বাকী ছিল কি না। তিনি আমাকে বিপরীত দিকে তাকাতে নির্দেশ দেন, আর আমি দেখি এক ক্ষুদ্র দল এক সঙ্কীর্ণ পায়ে চলা পথে যাত্রা করছে। সবাইকে একত্রিত, ও সত্যের দ্বারা একত্রে নৈতিক বন্ধনে আবদ্ধ বলে মনে। হয়।GCBen 66.4
এই ছোট্ট দলটিকে চিন্তাক্লিষ্ট (উদ্বেগপূর্ণ) দেখায়, যেন তারা ভীষণ দুঃখকষ্ট ও সংঘর্যাদির মধ্য দিয়ে পার হয়েছিল। আর এটা মনে হয় যেন মেঘের পেছনে থেকে এইমাত্র সূর্যের আগমন হয়েছিল ও তাদের মুখমন্ডলে প্রকাশিত হয়, ও তাদেরকে সফলকাম দেখানো ঘটায়, যেন তাদের সাফল্য প্রায় লাভ হয়েছিল।GCBen 66.5
আমি দেখি যে ফঁদটি আবিষ্কার করতে জগৎকে প্ৰভু সুযোগ দিয়েছিলেন। খৃষ্টানদের পক্ষে এই বিষয়টি যথেষ্ট প্রমাণ ছিল যদি আর অন্য প্রমাণ না থাকে। মহামূল্যের ও নীচ-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয় না।GCBen 66.6
থমাস পেইন, যার দেহ ধূলিতে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, আর ১০০০ বছরের শেষেতে যাকে ডেকে আনা হবে, দ্বিতীয় পুণঃউত্থানেতে তার পুরস্কার গ্রহণ করতে ও দ্বিতীয় মৃত্যু ভোগ করতে, তাকে শয়তানের দ্বারা বোধ করানো (বুঝানো) হয় স্বর্গে আছে। বলে, আর সেখানে নাকি সম্ভ্রান্তভাবে সম্মানিত। শয়তান তাকে মর্তে ব্যবহার করে যতক্ষণ সে পারে। আর এক্ষণে সে সেই থমাস পেইনকে রাখবার (পাবার) মিথ্যে দাবিগুলির মাধ্যমে এই কার্য চালিয়ে যাচ্ছে যে সে এমন প্রশংসিত ও সম্মানিত আর যেমন সে মর্তে শেখায়, শয়তান এটা বোধ করাচ্ছে যে সে স্বর্গে শেখাচ্ছে। আর পৃথিবীতে কেউ কেউ যারা তার জীবন ও মৃত্যুর পানে, ও যখন সে জীবিত ছিল তার নীতিহীন শিক্ষাসমূহের পানে ভীষণ ঘৃণা ও ভয়ের সাথে তাকিয়েছে, এক্ষণে তার দ্বারা শিক্ষাপ্রাপ্ত হতে সমৰ্পিত হচ্ছে, যে মনুষ্যদের সবচেয়ে নীচ ও নীতিহীনদের একজন ছিল, এমন একজন যে ঈশ্বর ও তাঁর ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করে।GCBen 66.7
সে যে হচ্ছে গিয়ে মিথ্যার আদিপিতা, প্রেরিতদের হয়ে কথা বলতে তার দূতগণকে প্রেরণ করার দ্বারা জগৎকে বিচার-বুদ্ধিহীন ও প্রতারিত করে ও এটা বোধ করায় যে পৃথিবীর ওপরে থাকা কালে তারা যা লেখেন, যা পবিত্র আত্মার দ্বারা আদিষ্ট হয়, তা তারা প্রতিবাদ করেন। এই জীবন্ত দূতেরা প্রোতিতগণকে তাদের নিজ নিজ শিক্ষা নীতিহীন করায় ও সেগুলিকে বিকৃত বলে বিবৃত করায়। তা করে সে ভান করা খৃষ্টানদেরকে, যাদের বাঁচবার জন্যে এক নাম আছে কিন্তু মৃত, আর সমগ্র জগৎকে ঈশ্বরের বাক্যের বিষয়ে অনিশ্চয়তায় নিক্ষেপ করে।কারণ তা সরাসরি তাঁর পদচিহ্নের ভেতর দিয়ে যায়, ও সম্ভবতঃ তার পরিকল্পনাগুলি ব্যর্থ করবে। তাই সে তাদেরকে বাইবেলের ঐশ্বরিক ব্যুৎপত্তি (মূল) সন্দেহ করায়, আর তখন সংশয়বাদী থমাস পেইনকে স্থাপন করে, যেন সে স্বর্গে অভ্যর্থিত হয় যখন সে মারা যায়, আর সেই পবিত্র প্রেরিতদের সঙ্গে পৃথিবীতে যাদেরকে সে ঘৃণা করে, মিলিত হয়, জগৎকে শিক্ষা দিচ্ছে বলে মনে হয়।GCBen 67.1
তার দূতগণের প্রত্যেকজনকে শয়তান তাদের ভূমিকা পালন করতে নির্দিষ্ট করে। তাদেরকে দক্ষ , ধূর্ত ও শঠ হতে তাদের ওপরে আদেশ দেয়। কেউ কেউকে সে প্রেরিতগণের ভূমিকা পালন করতে ও তাদের হয়ে কথা বলতে, যখন অন্যদেরকে, সেই সংশয়বাদী ও দুষ্টলোকদের ভূমিকা নির্বাহ করতে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরকে শাপান্ত করে মরে, কিন্তু এক্ষণে খুবই ধর্মপ্রাণ বলে মনে হয়। পবিত্র প্রেরিতগণের ও নীচতম সংশয়বাদীর মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখা হয় না। তাদের উভয়কে একই বিষয় শিক্ষা দেওয়ানো হয়। এটা কিছু ব্যাপার নয় কাকে শয়তান কথা বলায়, শুধু যদি তার অভিপ্রায় সম্পাদিত হয়। পৃথিবীর ওপরে পেইনের সঙ্গে সে এতই অন্তরঙ্গভাবে সংযুক্ত থাকে এমন নম্রভাবে তাকে সাহায্য করে যে, ঠিক কোন কথাগুলি সে ব্যবহার করে ও তার অনুগত সন্তানদের একজন, যে বিশ্বস্তভাবে তার সেবা করে, ও এমন ভালভাবে তারা উদ্দেশ্যগুলি সম্পাদন করে ঠিক তারই হাতে লেখা জানা তার পরে এক সহজ ব্যাপার। শয়তান তার রচনা সমূহের অনেকটাই আদেশ করে, আর এক্ষণে তার দূতগণের মাধ্যমে মত-ভাবপ্রবণতার যোগান দেয়া, ও তা সেই থমাস পেইনের মাধ্যমে আসছে বলে মনে করানো এক সহজ ব্যাপার, যে তার অনুগত দাস ছিল যখন জীবিত ছিল। অন্ততঃ এটা হচ্ছে শয়তানের শ্রেষ্ঠ অবদান। এই সব শিক্ষা প্রেরিতগণ ও ধার্মিকগণ ও দুষ্টগণের থেকে বলে বোধ করানো হয় যারা মরেছে, সরাসরি তার পৈশাচিক মহিমা থেকে আসে।GCBen 67.2
এটা শয়তানের সকল দুজ্ঞেয় রহস্যময় কার্যগুলির প্রতি প্রত্যেক মানস থেকে পদা অপসারণ ও আবিষ্কারের গানে যথেষ্ট হওয়া উচিত — যে সে এমন একজনকে পেয়েছে যাকে সে এত ভালবাসে, আর যে এত সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরকে, পবিত্র প্রেরিতগণ ও মহিমায়। দূতগণ সহ ঘৃণা করে কার্যতঃ জগতের ও সংশয়বাদিদের উদ্দেশে বলছে, তুমি কেমন দুষ্ট তা কোনো ব্যাপার নয়। কোনো ব্যাপারই নয় তুমি ঈশ্বর বা বাইবেলে বিশ্বাস কর, কি অবিশ্বাস কর, যেমন খুশী জীবনযাপন কর, স্বর্গ হচ্ছে তোমার আবাস — কারণ প্রত্যেকে বুঝতে পারে যে যদি থমাস পেইন স্বর্গে থাকে, ও এমন প্রশংসিত থাকে, নিশ্চয়ই তারা সেখানে হবে। এটা এমনই ডাহা (স্পষ্ট) যে তারা চাইলে সকলেই দেখতে পারে। থমাস পেইনের মতন ব্যক্তিবিশেষের মাধ্যমে তার পতনের পর থেকে সে যা করে এসেছে শয়তান এক্ষণে তাই করেছে। সে তার ক্ষমতা ও মিথ্যা আশ্চর্য আশ্চর্য বস্তু, ব্যাপার বা ঘটনার মাধ্যমে, খৃষ্টানদের প্রত্যাশার ভিত্তি চূর্ণবিচূর্ণ করছে, ও সেই সূর্য নিভিয়ে দিচ্ছে যা স্বর্গের পানে সঙ্কীর্ণ পথে তাদেরকে দীপ্তি দেবে। সে জগৎকে বিশ্বাস করাচ্ছে যে বাইবেল কোনো অপ্রত্যাদিষ্ট গল্প-বইয়ের চেয়ে আদৌ উৎকৃষ্টতর নয়, যখন তার স্থান নিতে, কোনো কিছু অধিকারে রাখে। যথা অশরীরী প্রদর্শন সমূহ!GCBen 67.3
এখানে রয়েছে একটি গমনাগমনের প্রণালী যা সম্পূর্ণভাবে তার নিজের প্রতি অনুগত, তার নিয়ন্ত্রণে, আর সে যেমনটি চায় জগৎকে বিশ্বাস করাতে পারে। যে পুস্তকখানি তাকে ও তার অনুগামীদেরকে বিচার করবে, ঠিক যেখানে সে চায়, আংশিক অন্ধকারে (অজ্ঞতায়) পেছনে রাখছে। জগতের ত্রাণকর্তাকে সে একজন সাধারণ ব্যক্তির চেয়ে অধিক কিছু বলে প্রস্তুত করে না। আর যেমন রোমীয় চৌকি যা যীশুর কবরকে পাহারা দেয়, সেই মিথ্যে জ্ঞাপন ছড়ায় যা প্রধান পুরোহিতেরা ও প্রাচীনবর্গ তাদের মুখে রাখে, তেমনি করে ঐ ভান করা অশরীরী প্রদর্শনগুলির বিভ্রান্ত অনুগামীরা, পুনরাবৃত্তি করবে, ও এটা বোধ করাবার চেষ্টা করবে, যে ত্রাণকর্তার জন্ম, মৃত্যু ও পুনঃত্থানে কিছুই অলৌকিক নেই। আর তারা বাইবেল সহ যীশুকে সেই প্রায়ান্ধকারে রাখে, যেখানে তিনি থাকেন বলে তারা চায়, তার তখন তারা জগৎকে তাদের পানে ও তাদের সেই অদ্ভুত অদ্ভুত কর্মের পানে নজর ফেরানো করায়, যা তারা বিবৃত করে খৃষ্টের কার্যগুলিকে অধিক পরিমাণে ছাড়িয়ে যায়। এভাবে জগৎকে ফাঁদে ফেলা হয়, ও নিরাপত্তায় ঘুম পাড়ানো হয়। তাদের ভয়ানক প্রতারণা খুঁজে বের না করতে, যাবৎ না সাত অন্তিম আঘাত ঢালা হয়। শয়তান হাসে যেমন সে দেখে তার পরিকল্পনা এত ভালভাবে সফল হতে, ও সমগ্র জগৎকে তার ফাঁদে রয়েছে।GCBen 67.4
______________________________________
উপদেশক ৯:৫( যোহন ১১:১-৪৫( ২ থিষলনীকীয় ২:৯-১২( প্রকাশিত বাক্য ১৩:৩-১৪ দেখুন।GCBen 67.5