পুরুষের সঙ্গিনী ও অনুরুপ সহকারিণী হইবার ও তাহের সহিত এক হইবার, তাহাকে আনন্দিত, উৎসাহিত ও আশির্ব্বাদযুক্ত করিবার নিমিত্ত ঈশ্বর পুরুষ হইতে এক স্ত্রী নির্ম্মান করিয়াছিলেন । আবশ্যক মতে পুরুষ তাহার বিশেষ সাহায্যকারী হইবে, ইহাই ছিল ঈশ্বরের অভিপ্রায় । পবিত্র উদ্দেশ্য লওয়া যাহারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবে,— স্বামী, স্ত্রীর হৃদয়ের বিশুদ্ধ প্রেম লাভ করে ; স্ত্রী, স্বামীর স্বভাব কোমল ও উন্নত করিয়া সিদ্ধ করিয়া তুলিবে, — তাহারা তাহাদের নিমিত্ত ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পূর্ণ করিবে । CCh 352.1
বিবাহ- বিধি লোপ করিবার নিমিত্ত যীশু এই জগতে আবির্ভূত হন্ নাই, কিন্তু ইহাকে ইহার আদিম পবিত্রতায়ন ও মর্য্যাদায় পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করিবার নিমিত্তই অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । পুরুষের মধ্যে ঈশ্বরের নৈতিক মুর্ত্তি পুনঃস্থাপনের নিমিত্তই তিনি এই জগতে আগমন করিয়া-ছিলেন, আর বৈবাহিক সম্বন্ধ সমর্থন করিয়াই তিনি পৃথিবীতে তাহার কার্য্য আরম্ভ করিয়াছিলেন । CCh 352.2
যিনি আদমের অনুরুপ সহকারিণী হইবার নিমিত্ত হবাকে সৃষ্টি করিয়াছিলেন, তিনিই এক বিবাহ উৎসবে তাহার প্রথম আশ্চর্য কার্য্য সাধন করিয়াছিলেন । যে উৎসব- গৃহে বন্ধুনান্ধব ও আত্মীয়স্বজন একত্র হইয়া আমোদ-আহ্লাদ করিতেছিল, সেই স্থানেই খ্রীষ্ট তাহার প্রকাশ্য কার্য্য আরম্ভ করেন । তিনি নিজে এই বিধি স্থাপন করিয়াছিলেন, ইহা স্বীকার করিয়া তিনি এইরুপে তিনি বিবাহ সমর্থন করিয়াছিলেন । যে পরিবারাদির সভ্যগণ সম্মানে ভূষিত হইয়া স্বর্গীয় পরিবারের সভ্যরুপে পরিগনিত হইবে, সেই পরিবারাদি গঠনের নিমিত্ত নর ও নারিগণ পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবে ইহা তাহারই নিয়োগ । CCh 352.3