সন্তানেরা অবাধ্য হইলে, তাহাদিগকে শাসন করা কর্ত্তব্য। শাসন করিবার পূর্ব্বে আপনি একাকী যাইয়া ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিবেন, যেন তিনি আপনার সন্তানগণের হৃদয় কমল ও বশীভূত করেন এবং তাহাদের সহিত কিরূপ ব্যবহার করিতে হইবে, তদ্বিষয়ে আপনাকে বিজ্ঞতা দান করেন। এই প্রণালীটী যে ব্যর্থ হইয়াছে, ইহা আমি কখনও কোন একটী ঘটনায়ও দেখি নাই। হৃদয় (মাতাপিতার হৃদয়) ক্রোধোদীপ্ত হইলে সন্তানকে আধ্যাত্মিক বিষয় বুঝান যায় না। CCh 489.1
সন্তানসন্ততিগণকে প্রেমে শাসন করা উচিত। আপনি যে পর্য্যন্ত না রাগান্বিত হইয়া উঠেন ও পরিশেষে তাহাদিগকে শান্তি দেন তাবৎ সন্তানসন্ততিগণকে তাহাদের নিজের ইচ্ছা মত চলিতে দিবেন না। এইরূপ শাসনে ভাল তো কিছুই হয়-ই না, অধিকন্তু কেবল মন্দের প্রশ্রয় দেওয়া হয়। বিপথগামী সন্তানের ক্রোধ দেখাইলে, মন্দই বাড়িয়া চলে। কারণ ইহাতে সন্তানের ক্রোধ চরমে উঠিয়া যায়, আর সে মনে করে যে, আপনি তাহাকে গ্রাহ্য করেন না বা তাঁহার কোন যত্ন ল্ন না। সে মনে মনে ভাবে যে, আপনি যদি তাঁহার যত্ন লইতেন বা তাহাকে গ্রাহ্য করিতেন, তবে কখনই এইরূপ ব্যবহার করিতেন না। আপনি কি মনে করেন যে, আপনি যে ভাবে আপনার সন্তানগণকে শাসন করিতেছেন, ঈশ্বর ইহার কিছুই অবগত নহেন ? হাঁ, তিনি জানেন, তিনি ইহাও জানেন যে, সন্তানগণকে তাড়াইয়া না দিয়া, যে উপায়ে তাহাদিগকে লাভ করা যাইত, সেই উপায়ে যদি তাহাদিগকে শাসন করা হইত, তবে কি সুন্দর ফল-ই না লাভ করা যাইত। 24CG 244, 245; CCh 489.2