সন্তানগণের সত্যবাদিতার আদর্শ হওয়া বিহিত, আর এই শিক্ষাটীই সন্তানের হৃদয়ে প্রতিদিন বদ্ধমূল করিয়া দেওয়া আবশ্যক। জীবনের সকল ব্যাপারে বিশেষতঃ সন্তানগণের শিক্ষায় ও বিদ্যাভ্যাসে মাতাপিতাগণ যেন অবিচলিত নীতি-পরায়ণ হন। “বস্তুতঃ বালকও কার্য্যে দ্বারা আপন পরিচয় দেয়, তাহার কর্ম্ম সিদ্ধ ও সরল কিনা জানায়।” CCh 489.3
যে মাতার বিচক্ষণতার অভাব আছে, ও যিনি প্রভুর চালনানুযায়ী চলেন না, তিনি তাঁহার সন্তানসন্ততিগণকে প্রবঞ্চক ও কপট হইতে শিক্ষা দান করিবেন ইহাতে আর বিচিত্র কি ? এইরূপে অর্জিজত চরিত্র-গুণ এরূপভাবে বদ্ধমূল হইতে পারে যে, শ্বাস-প্রশ্বাস করা যেমন একটী স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, মিথ্যা কথা বলাও তেমনি স্বভাবজাত হইয়া দাঁড়ায়। অকপটতা ও সত্যনিষ্ঠার পরিবর্ত্তে কপটতা বা ছলনার আশ্রয় লওয়া হয়। CCh 490.1
মাতাপিতাগণ আপনারা কখনও সত্যের অপলাপ করিবেন না ; উপদেশ কিংবা দৃষ্টান্তে কখনও মিথ্যা বলিবেন না। আপনারা যদি চাহেন যে, আপনাদের সন্তানগণ সত্যবাদী হইবে, তবে নিজেরা সত্য কথা বলিবেন। সরল ও অবিচলিত হইবেন। এমন কি সামান্য একটু মিথ্যা উত্তর দিবেন না। কারণ মাতারা দ্ব্যর্থক কথা বলিতে বা কথা ভাঁড়াইতে এবং অসত্য কথা বলিতে বড়ই অভ্যস্ত, শিশু অনুগামীরা তাহার দৃষ্টান্ত। CCh 490.2
মাতার জীবনের সকল ব্যাপারে সততা রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন এবং সন্তানসন্ততিগণের শিক্ষায় যেমন যুবকগণকে, তেমনি যুবতিগণকেও শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক, যেন তাহারা কণামাত্রও সত্যের অপলাপ না করে, কিংবা কাহাকেও না ঠকায়। 25CG 151, 152; CCh 490.3