ভালাে হওয়া এবং ভালাে কাজ করার মধ্যে প্রকৃত সুখ খুঁজে পাওয়া । যায়। বিশুদ্ধতম, উচ্চতর আনন্দ তাদের কাছেই আসে যারা বিশ্বস্তভাবে তাদের। নির্ধারিত কর্তব্য সম্পন্ন করে। কোনাে অকপট কাজ মর্যাদাহানীকর নয়। যা মানব সত্ত্বাকে সাধারণ এবং জীবনের প্রত্যাহিক কাজকর্মের প্রতি হীন দৃষ্টি দিতে পরিচালিত করে, তা আলস্য ও ইদর বিষয়। এ সব কাজ করতে অস্বীকার করা মানসিক এবং নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করে যা একদিন তীব্রভাবে অনুভূত হবে। কখনও কখনও অলস জীবনে বিকলতা পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে। তার জীবনের ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে, ব্যবহারকারী, কিন্তু উৎপাদনকারী নয় । MYPBen 202.3
জীবনের সর্ব পেশা থেকে, কার্যকর আত্মিক শিক্ষা লাভ করা যেতে পারে। যারা জমি চাষ করে, তারা কর্মরত অবস্থায় এসব শব্দের অর্থ ধ্যান করতে পারে, “তােমরা ঈশ্বরেরই ক্ষেত্র।” মানব হৃদয়ে সত্যের বীজ বপনস করতে হবে, যেন জীবন আত্মার অতীব চমৎকার ফল ধারণ করতে পারে । মনে ঈশ্বরের ছাপ অতীব মাধুর্যময় কামনীয় ভারসাম্য গঠন করতে পারে । শারীরিক এবং মানসিক অপরিপক্ক শক্তি সমূহকে প্রভুর কাজে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।. . . . MYPBen 203.1
খ্রীষ্ট প্রত্যেককে পরিচর্যা কাজ দিয়েছেন। তিনি প্রতাপের রাজা, তথাপি তিনি ঘােষণা করেছেন, ‘মনুষ্যপুত্র পরিচর্যা পাবার জন্য আসেননি, কিন্তু পরিচর্যা করার জন্য এসেছেন। তিনি স্বর্গের মহারাজ, তথাপি তিনি স্বেচ্ছায় এই পৃথিবীতে আসতে সম্মত হলেন, যেন তার পিতা তার ওপর যে কর্মদায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তা সম্পন্ন করতে পারেন। তাঁর কাছে পদমর্যাদা সম্পন্ন কাজ রয়েছে। যেন তিনি আমাদের কাছে শ্রমশীলতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন, তিনি স্বহস্তে সূতার মিস্ত্রির কাজ করেছেন। তিনি খুব অল্প বয়সে পরিবারের ভরণ পােষণের জন্য তাঁর করণীয় কাজ করেছেন। তিনি উপলব্ধি করতেন, তিনি পরিবারের একজন অংশীদার এবং তিনি স্বেচ্ছায় তার ভার বহন করতেন। MYPBen 203.2