মনের ওপর অবস্থান করার জন্য পবিত্র শাস্ত্রে কোন বিষয়গুলাে উপস্থাপন করা হয়েছে! ধ্যানের জন্য উচ্চতর চিন্তা কোথায় পাওয়া যায়? কোথায় গভীর কৌতূহলজনক চিন্তার বিষয়গুলাে পাওয়া যায়? কোন অর্থে মানব বিজ্ঞানের সব গবেষণা উৎকর্ষ এবং মহত্ত্বে বাইবেলের সঙ্গে তুলনামূলক । কোথায় কোন বিষয়ে গভীর এবং একান্ত চিন্তায় শক্তি আহ্বান করে। MYPBen 248.1
যদি আমরা এটিকে আমাদের কাছে কথা বলার সুযােগ দেই তাহলে বাইবেল আমাদেরকে যে শিক্ষা দেবে, তা অন্য কেউ শিক্ষা দিতে পারে। না। কিন্তু হায়! ঈশ্বরের বাক্য ছাড়া সব কিছুই অধিকক্ষণ চিন্তা করা হয়। অমূলক সাহিত্য, ফালতু গল্প, অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করা হয়, পক্ষান্তরে বাইবেল, যা সব পবিত্র সত্য, আমাদের টেবিলে তুচ্ছ করা হয়। পবিত্র বাক্যকে, যদি জীবনের নিয়ম করা হয়, তবে তা জীবন নির্মল করবে, উন্নত করবে এবং পবিত্র করবে। এটা হল মানুষের কাছে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর। আমরা কি তাঁর প্রতি মনােযােগ প্রদান করব? “তব বাক্য সমূহের বিকাশ আলােক প্রদান করে, তাহা অমায়িকদিগকে বুদ্ধিমান করে।” (গীত ১১৯:১৩০)। মনকে প্রভাবিত এবং আলােকিত করার জন্য দূতগণ শাস্ত্রানুসন্ধানকারীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। অদ্য খ্রীষ্টের আদেশ আমাদের কাছে একই শক্তিতে উপস্থিত হয় যেমনটি আঠারশ বছর আগে সর্ব প্রথম শিষ্যদের কাছে এসেছিল: “তােমরা শাস্ত্র অনুসন্ধান করিয়া থাক, কারণ তােমরা মনে করিয়া থাক যে, তাহাতেই তােমাদের অনন্ত জীবন রহিয়াছে; আর তাহাই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়” যােহন ৫:৩৯।- Review and Herald, January-11, 1884. MYPBen 248.2