অনেক যুবক-যুবতি বলে যে, “আমার নির্ধারিত পাঠ পড়ার জন্য আমার পর্যাপ্ত সময় নাই।” কিন্তু তারা কি করছে? কেউ কেউ আরও সামান্য কিছু পয়সা বেশি রােজগারের আশায় প্রতিটি মুহূর্তে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, যে সময়টা এই বাড়তি কাজের ব্যয় করা হয়, তা যদি বাইবেল অধ্যয়নে ব্যয় করা হত, সে সময়ে যদি তারা এর শিক্ষা অনুশীলন করত, তাহলে তারা অতিরিক্ত সময় কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করতে পারে তার থেকে বেশি টাকা সঞ্চয় করতে পারত । অপ্রয়ােজনীয় অলঙ্কারের জন্য যে টাকা ব্যয় করা হয় তার চেয়ে বেশি টাকা সঞ্চয় করা যেত, এবং ধার্মিকতার গুপ্তরহস্য বােঝার জন্য প্রাণশক্তি সংরক্ষণ করা যেত। “সদাপ্রভুর ভয় জ্ঞানের আরম্ভ।” MYPBen 281.1
কিন্তু মুখে স্বীকারকারী এই খ্ৰীষ্টিয়ান যুবক-যুবতিরাই তাদের জাগতিক-মনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্য; এবং ঈশ্বর প্রদত্ত অনুগ্রহের শিক্ষানবীশ যে সময় যা তাদের বাইবেলের মহামূল্যবান সত্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য পরিচালিত করে সে জন্য ব্যয় না করে কল্পকাহিনী পড়ার জন্য সময় অপব্যবহার করে তাদের নিজেদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিচ্ছে। যদি একবার এ ধরণের অভ্যাস গঠন হয়ে যায় তাহলে তা কাটিয়ে ওঠা অনেক কঠিন; কিন্তু এটা করা সম্ভব, যারা স্বর্গী রাজ্যের প্রজা হতে চায় তাদের অবশ্যই করতে হবে। MYPBen 281.2
যে মন অসার গল্প পড়া দিয়ে মনােনিবেশ করে, সেই মনের অধঃপতন ঘটে। কল্পনাশক্তি কলুষিত হয়ে পড়ে; ভাবাবেগ প্রাধান্য পায়, এবং অস্পষ্ট অস্থিরতা, ক্ষতিকর মানসিক খাদ্য খাবার জন্য একটি বিচিত্র ক্ষুধা অনুভূত হয়, যা অবিরত মনকে ভারসাম্যহীন করে তােলে। বর্তমান সময়ে হাজার হাজার লােক আশ্রয়ের জন্য উন্মাদ, যাদের মন উপন্যাস পড়ার কারণে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে, যার ফলে তারা বায়বীয় দূর্গ তৈরি করছে, প্রেমকাতুরে হয়ে পড়ছে ও ভাবাবেগের জোয়ারে ভাসছে।— The Signs of the Times, February 10, 1881. MYPBen 281.3