যুবক যুবতিরা ঈশ্বরের সেবায় তাদেরকে আত্মোৎসর্গের দ্বারা দুর্বলমনা। অথবা অদক্ষ হবে না। অনেকের কাছে, শিক্ষা অর্থ একটি পুথিগত বিদ্যা; কিন্তু “সদাপ্রভুর ভয়ই জ্ঞানের আরম্ভ।” যে ছােট্ট শিশু ঈশ্বরকে প্রেম করে এবং ভয় করে সে, সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে অতিশয় তালন্তধারী এবং শিক্ষিত ব্যক্তি, যে ব্যক্তিগত পরিত্রাণের বিষয় অবহেলা করে শ্রেষ্ঠতর। যুবক-যুবতি যারা তাদের অন্তঃকরণ এবং জীবন ঈশ্বরের নিকট উৎসর্গ করে; তারা সকল জ্ঞান এবং চরম উৎকর্ষের সঙ্গে যােগসম্পর্ক রাখে। MYPBen 182.1
যদি যুবক-যুবতিরা স্বর্গীয় শিক্ষকের নিকট থেকে শিক্ষা লাভ করে, “যেমন দানিয়েল করেছিলেন, তারা নিজেরাই জানতে পারবে যে, নিশ্চয়ই সদাপ্রভুর ভয় জ্ঞানের আরম্ভ । এমন একটি নিশ্চিত ভিত্তি স্থাপন করে, তারা, দানিয়েলের ন্যায়, প্রতিটি সুযােগের সর্বোত্তম হিসাব দিতে পারবে, এবং যে কোনাে উচ্চ বুদ্ধিমত্তায় পৌছতে পারবে। ঈশ্বরের নিকট আত্মােৎসর্গীকৃত এবং তাঁর অনুগ্রহ এবং তাঁর পবিত্র আত্মার জীবন দানকারী প্রভাব লাভ করে, তারা গভীরতম বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন শক্তি প্রকাশ করবে যা কোনাে ঘাের সাংসারিক ব্যক্তি দিতে পারবে না। MYPBen 182.2
মনুষ্য কর্তৃর্ক স্থাপিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষা লাভ করা একটি ভ্রান্ত শিক্ষা। ঈশ্বরের বিষয়ে শিক্ষালাভ করা, এবং যাকে তিনি পাঠিয়েছেন। সেই যীশুর বিষয়ে শিক্ষালাভ করাই হল বাইবেলের বিজ্ঞান শিক্ষা। যারা নির্মল অন্তঃকরণ তারা প্রতিটি দূরদর্শীতায় প্রকৃত শিক্ষার প্রতিটি দিকে ঈশ্বরকে দেখবে। তারা জ্যোতির সর্ব প্রথম প্রবেশ উপলব্ধি করে যা ঈশ্বরের সিংহাসন থেকে নির্গত হয়। যারা আত্মিক জ্ঞানের সর্ব প্রথম আলােকরশ্মি ধারণ করবে, তাদের সঙ্গে স্বর্গ যােগাযােগ রক্ষা করবে। MYPBen 182.3
আমাদের বিদ্যালয়সমূহে ছাত্র-ছাত্রিগণ ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞানকে সব কিছুর উপরে স্থান দেবে। কেবল শাস্ত্র অন্বেষণের দ্বারা এই জ্ঞান অর্জন করা যায়। কারণ যাহার বিনাশ পাইতেছে, তাহাদের কাছে সেই ক্রুশের কথা প্রচার করা মূর্খতা, কিন্তু পরিত্রাণ পাইতেছি যে আমরা, আমাদের কাছে তাহা ঈশ্বরের পরাক্রম স্বরূপ। কারণ লিখিত আছে, আমি জ্ঞানবানদের জ্ঞান নষ্ট করিব, বিবেচক লােকদের বিবেচনা ব্যর্থ করিব। . . . কেননা ঈশ্বরের যে মূর্খতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞানযুক্ত এবং ঈশ্বরের যে দুর্বলতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক সবল। ... কিন্তু তাহা হইতে তােমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান- ধার্মিকতা ও পবিত্রতা এবং মুক্তি: যেমন লেখা আছে, যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক।”-“ The Youth’s Instructor, Nov 24, 1903. MYPBen 183.1