Go to full page →

যীশু পরাক্রম ও প্রতাপের সহিত অবতরণ করেন LDEBeng 193

শীঘ্রই পূর্বাকাশে মনুষ্য হস্তের অর্দ্ধ পরিমাণ একটি ক্ষুদ্র কাল মেঘ প্রকাশিত হয়। ইহাই ত্রাণকর্তার চতুর্দিকন্ত মেঘ যাহা দূর হইতে অন্ধকারাবৃত মনে হইতেছিল, ঈশ্বরের লোকেরা জানে যে ইহা মনুষ্যপুত্রের চিহ্ন। গাম্ভীর্য্যপূর্ণ নিরবতায় তাহারা উহার উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া রাখিল এবং উহা পৃথিবীর নিকটবর্তী হইতে থাকিল, হালকা এবং প্রতাপান্বিত হইতে থাকিল ও ক্রমান্বয়ে প্রকান্ড একটি শুভ্র মেঘে পরিণত হইল, ইহার ভিত্তি গ্রাসকারী অগ্নিতুল্য এবং উপরে প্রতিজ্ঞার মেঘধনু। যীশু পরাক্রমশালী বিজয়ীর ন্যায় আরোহণ করিয়া রহিয়াছেন।...... ..বিশাল অগণিত পবিত্র দূতগণের একটি দল স্বর্গীয় সুরসঙ্গীত সহকারে তাঁহার পথে তাঁহার সেবায় নিয়োজিত। আকাশ মন্ডল মনে হইতেছিল যে, “অযুত গুণ অযুত ও সহস্র গুন সহস্র” উজ্জ্বল অবয়ব বিশিষ্টগণের দ্বারা পরিপূর্ণ। কোন মনুষ্য লেখনী দ্বারা সেই দৃশ্য অঙ্কিত করা যায় না, কোন মর্ত্যের মন ইহার মহিমা ধারণ করিবার নিমিত্ত যথেষ্ট নহে ।...... LDEBeng 193.2

রাজাগণের রাজা প্রজ্জ্বলিত অগ্নি আচ্ছাদিত হইয়া মেঘের উপরে অবতরণ করিলেন । আকাশ মন্ডল সঙ্কুচ্যমান পুস্তকের ন্যায় জড়াইয়া গেল পৃথিবী তাঁহার সম্মুখে কম্পমান হইল, প্রত্যেক পর্বত ও দ্বীপ স্ব স্ব স্থান হইতে চালিত হইল। -6C 640-642 (1911) LDEBeng 193.3