COLBen 331
- মুখবন্ধ
- ভূমিকা
- দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা
-
- “প্রথমে অঙ্কুর, পরে শীষ”
- শ্যামাঘাস
- “একটি সরিষা দানার তুল্য”
- বীজবাপকের দৃষ্টান্ত থেকে অন্যান্য শিক্ষা
- তাড়ীর তুল্য
-
- মুক্তা
- জাল
- নূতন ও পুরাতন দ্রব্য
- দেয়ার জন্য যাচ্ঞা করা
- দুজন উপাসক
- “ঈশ্বর কি আপনার সেই মনোনীতদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন না?”
-
- “হারাইয়া গিয়াছিল, এখন পাওয়া গেল”
- “এই বৎসরও ওটা থাকিতে দিউন”
- “রাজপথে রাজপথে ও গলিতে গলিতে যাও”
- ক্ষমার পরিমাণ
- যে অর্জন হারিয়ে যাওয়ার
-
- বলা ও করা
-
- বিবাহ বস্ত্রহীন
-
-
- “আমার প্রতিবেশী কে?”
- অনুগ্রহের পুরস্কার
- “বরের সহিত সাক্ষাৎ কর”
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
আমরা ঈশ্বরকে ভালবাসব, কেবল সমস্ত অন্তর দিয়ে নয়, সমস্ত মন এবং সমস্ত প্রাণ দিয়ে নয়, কিন্তু সমস্ত শক্তি দিয়েও ভালবাসব। শারীরিক শক্তির বুদ্ধিপূর্বক ব্যবহার এই ভালবাসার সাথে পরিপূর্ণতা লাভ করবে। COLBen 331.1
খ্রীষ্ট যেমন আত্মিক বিষয়ে প্রকৃত কার্যকারী ছিলেন, ঠিক তেমনি জাগতিক বিষয়ের ক্ষেত্রেও তিনি প্রকৃত কার্যকারী ছিলেন। আর তিনি সমস্ত কাজ তাঁর পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী করার জন্য সঙ্কল্প বদ্ধ ছিলেন। খ্রীষ্টের তত্ত্বাবধানের ফলে স্বর্গ এবং জগতের বিষয়গুলো আরো ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত হয়েছে এবং আরও স্পষ্ট হয়েছে। এটি অনেকে উপলব্ধি করতে পারবে। যিনি সর্ব প্রথম জাগতিক মন্দিরের প্রতিষ্ঠার জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি হলেন খ্রীষ্ট। তিনি শলোমনের মন্দিরের বিষয়ে বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন। মন্দির সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। একজন মানুষ, যিনি জাগতিক জীবনে নাসরত নামক গ্রামের একজন কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছিলেন, তিনি ছিলেন স্বর্গীয় স্থপতি, যিনি একটি পবিত্র ভবনের জন্য নকশা প্রণয়ন করেছিলেন, যেখানে তাঁর নাম গৌরবান্বিত হবে। তিনি হলেন খ্রীষ্ট, যিনি মন্দিরের নির্মাতাকে অত্যন্ত দক্ষতাপূর্ণ এবং চমৎকার ভাবে শিল্প কার্য করে মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পাদন করার জন্য প্রজ্ঞা দান করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “দেখ, আমি যিহূদা-বংশীয় হূরের পৌত্র ঊরির পুত্র বৎসলেলের নাম ধরিয়া ডাকিলাম। আর আমি তাহাকে ঈশ্বরের আত্মায়- জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, বিদ্যায় ও সর্বপ্রকার শিল্প-কৌশলে- পরিপূর্ণ করিলাম; যাহাতে সে কৌশলের কার্য কল্পনা করিতে পারে, স্বর্ণ, রৌপ্য ও পিত্তলের কার্য করিতে পারে, খচনার্থক মণি কাটিতে, কাষ্ঠ খুদিতে ও সর্বপ্রকার শিল্পকার্য করিতে পারে। আর দেখ, আমি দান-বংশজাত অহীষামকের পুত্র অহলীয়াবকে তাহার সহকারী করিয়া দিলাম, এবং সকল বিজ্ঞমনা লোকের হৃদয়ে বিজ্ঞতা দিলাম; অতএব আমি তোমাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত তাহারা নির্মাণ করিবে।” যাত্রাপুস্তক ৩১:২-৬। COLBen 331.2
ঈশ্বর চান যেন তাঁর কর্মীরা সমস্ত কিছুর দাতা রূপে তাঁর উপরে নির্ভর করে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় আশীর্বাদ লাভ করতে পারে। তাদের সমস্ত উদ্ভাবন এবং উন্নতির উৎস হলেন তিনি, যিনি আশ্চর্য পরামর্শ দাতা এবং চমৎকার কার্য সাধক। চিকিৎসকের দক্ষতা পূর্ণ হাতের স্পর্শ, তার স্নায়ু এবং মাংসপেশীর ক্ষমতা, দেহের সূক্ষ্ম অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সম্পর্কে জ্ঞান, এই সকল হল ঈশ্বরের ক্ষমতার জ্ঞান, যেন যারা রোগে কষ্ট ভোগ করছে তাদের উপকারের জন্য এই সব জ্ঞান ব্যবহার করতে পারে। কাঠমিস্ত্রি তার দক্ষতা দিয়ে যে হাতুরি ব্যবহার করে, কামার তার শারীরিক শক্তি ব্যবহার করে যে সব লোহার জিনিস তৈরি করে, এই সব কিছুই ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে। তিনি মানুষকে বিশ্বাস করে তালন্ত দিয়েছেন এবং তাদের কাছ থেকে তিনি এই প্রত্যাশা করছেন যেন তারা তাঁরা কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য তাঁর কাছে আসে। যা কিছু আমরা করি, যে কোন বিভাগে যে কোন পদে আমরা কাজ করি, তিনি চান আমরা যেন আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রিত রাখি, যাতে আমরা সঠিক কাজ করতে পারি। ধর্ম এবং পেশাগত কাজ দুটো আলাদা বিষয় নয়; এই দুটো বিষয় এক। আমরা যা কিছু করি এবং যা কিছু বলি তা বাইবেলের নির্দেশত ধর্ম এক সূত্রে গাঁথা। স্বর্গীয় এবং মানবীয় কাজ যেমন জাগতিক কাজ সম্পাদন করে, তেমনি আত্মিক কাজও যুক্ত ভাবে সম্পাদন করে। এগুলো সমস্ত মানবীয় কাজে সংযুক্ত থাকে: যান্ত্রিক এবং কৃষিগত কাজে, ব্যবসা সংক্রান্ত, এবং বিজ্ঞান সংক্রান্ত কম প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে। খ্রীষ্টিয় কার্যক্রমের সব কিছুর মধ্যে পরস্পর সহযোগিতা থাকা প্রয়োজন। COLBen 332.1
ঈশ্বর এই সহযোগিতার একমাত্র কার্যকর নিয়ম প্রকাশ করেছেন। যারা তাঁর সঙ্গে একত্রে পরিশ্রম করছে তাদের সকলের এই উদ্দেশ্য থাকা উচিত যেন তাঁর নাম গৌরবান্বিত হয়। ঈশ্বরের কাছ থেকে ভালবাসা পেয়ে এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদের সমস্ত কাজ করতে হবে। যখন আমরা ভবন তৈরির মত ধর্মীয় কাজে অংশ গ্রহণ করি, তখন ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী তা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয় এবং তা অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর যদি কার্যকারীরা তাদের নিজেদের চরিত্র গঠন করার জন্য সঠিক নীতি গ্রহণ করে, তাহলে যে কোন ভবন নির্মাণে তারা অনুগ্রহ এবং জ্ঞানের দ্বারা তা করতে পারবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ নিজেকে জীবন্ত ও ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলি রূপে বেদীর উপরে উৎসর্গ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি মহা তালন্ত দান করবেন না, বা কোন সমৃদ্ধশালী কাজ গ্রহণ করবেন না। ভিত্তি অবশ্যই পবিত্র হতে হবে, নতুবা কোন ফল ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। COLBen 333.1
সদাপ্রভু ঈশ্বর দানিয়েল ও যোষেফকে বিচক্ষণ ব্যবস্থাপক করেছিলেন। তিনি তাঁদের মধ্য দিয়ে কাজ করেছিলেন, কারণ তাঁরা নিজেদের তুষ্ট করার জন্য কোন কাজ করেন নি, কিন্তু ঈশ্বরকে তুষ্ট করার জন্য সব কিছু করেছিলেন। COLBen 333.2
দানিয়েলের ঘটনা আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। এই ঘটনা আমাদের কাছে এই বিষয়টি প্রকাশ করে যে, একজন ব্যবসায়ীকে অপরিহার্য রূপে একজন তীক্ষ্ম বুদ্ধি সম্পন্ন এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। সে প্রতিটি পদক্ষেপে ঈশ্বরের কাছ থেকে পরামর্শ এবং নির্দেশনা গ্রহণ করতে পারে। দানিয়েল যখন বাবিল রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি ছিলেন ঈশ্বরের একজন ভাববাদী, যিনি স্বর্গীয় অনুপ্রেরণার আলো গ্রহণ করতেন। জাগতিক ভাবে যে সব উচ্চ পদস্থ লোকেরা অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, ঈশ্বরের বাক্য তাদের সম্পর্কে এই কথা বলে যে, তারা হল ঘাসের মত এবং ঘাসের ফুলের মত, যা বেড়ে ওঠে এবং দ্রুত শুকিয়ে যায়। তবুও ঈশ্বর চান যেন তাঁর পরিচর্যার কাজে বুদ্ধিমান লোক ব্যবহৃত হয়, তারা যেন কাজের বিভিন্ন পদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। ঈশ্বরের কাজের জন্য সেই সব কার্যকারীর প্রয়োজন, যারা তাদের সমস্ত কার্যক্রমে সত্যের প্রধান নীতিগুলোকে ব্যবহার করে। আর তাদের সমস্ত গুণাবলী গভীর অধ্যয়ন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাঁটি হতে হবে। যদি কোন মানুষ কাজের যে কোন পদে তাদের সুযোগ সমূহকে উন্নত করার প্রয়োজনের কারণে প্রজ্ঞা এবং দক্ষতা লাভ করতে চায়, এরা হল তারা যারা আমাদের এই জগতে ঈশ্বরের রাজ্য গড়ে তোলার জন্য তাদের সামর্থকে ব্যবহার করতে চায়। দানিয়েলের ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা শিখেছি যে, তাঁর সমস্ত কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে, যখন কোন প্রতিকূল অবস্থা এসেছে তখন তিনি ঐ সব বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ও অতি সূক্ষ্ম ভাবে বিচার বিশ্লেষণ করেছেন, এবং তাঁর কাজে একটি ভুল কিংবা একটি দোষ খুঁজে পাওয়া যায় নি। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ, যাতে সকল কার্যকারীরা সেই আদর্শের স্বরূপ হতে পারেন। তাঁর জীবনের ঘটনা সমূহ দেখায় যে, একজন ব্যক্তির মাধ্যমে কী কাজ সম্পাদিত হতে পারে। তিনি তাঁর বুদ্ধিমত্তা, অস্থি, মাংসপেশী, অন্তর, জীবন, সব কিছুই ঈশ্বরের সেবা কাজের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। COLBen 333.3