Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents
সুষম শিক্ষা - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First
    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents

    ১৫ - ব্যবসায়ী নীতি এবং পদ্ধতি সমূহ

    ” যে সিদ্ধতায় চলে, সে নির্ভয়ে চলে।”

    বৈধ ব্যবসার এমন কোন শাখা নেই যার জন্য বাইবেল একটি আবশ্যকীয় প্রস্তুতি সমর্থন করে না। এর অধ্যবসায়, সততা, মিতব্যয়িতা, মিতাচার পবিত্রতার নীতিমালাই প্রকৃত কৃতকার্যতার রহস্য। হিতােপদেশ পুস্তকে বিন্যস্ত এই নীতিমালা দ্বারা ব্যবহারিক জ্ঞানের একটি ধনাগার গঠিত। ব্যবসায়ী, কারিগর, ব্যবসায়ের যেকোন বিভাগের পরিচালক, তার নিজের জন্য এবং তার কর্মচারীর জন্য জ্ঞানী ব্যক্তির এসব বাক্যের চেয়ে কার্যকর বাণী কোথায় খুঁজে পাবে?EdBen 123.1

    “তুমি কি কোন ব্যক্তিকে তাহার ব্যাপারে তৎপর দেখিতেছ? সে রাজগণের সাক্ষাতে দাড়াইবে, সে নীচ লােকদের সাক্ষাতে দাঁড়াইবে না। হিতােপদেশ ২২:২৯।EdBen 123.2

    “সমস্ত পরিশ্রমেই সংস্থান হয়, কিন্তু ওষ্ঠের বাচালতায় কেবল অভাব ঘটে।” হিতােপদেশ ১৪:২৩।EdBen 123.3

    “অলসের প্রাণ লালসা করে, কিছুই পায় না; কিন্তু পরিশ্রমীদের প্রাণ পুষ্ট হয়। কারণ মদ্যপায়ী ও পেটুকের দৈন্যদশা ঘটে, এবং ঢুলু ঢুলু ভাব মনুষ্যকে নেকড়া পরায়। হিতােপদেশ ১৩:৪; ২৩:২১।EdBen 123.4

    যে কর্নেজপ হইয়া বেড়ায় সে গুপ্ত কথা ব্যক্ত করে; যাহার মুখ আলগা, তাহার সহিত ব্যবহার করিও না।” হিতােপদেশ ২০:১৯।EdBen 123.5

    “যে বাক্য সম্বরণ করে, সে জ্ঞানবান; আর যে শীতলাত্মা, সে বুদ্ধিমান।” “বিবাদ হইতে নিবৃত্ত হওয়া মনুষ্যের গৌরব, কিন্তু মূখমাত্রই বিবাদ করিবে।” হিতােপদেশ ১৭:২৭; ২০:৩।EdBen 123.6

    “দুর্জনের মার্গে প্রবেশ করিও না;” কেহ যদি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়া চলে, তবে তাহার পদতল কি পুড়িয়া যাইবে না?” হিতােপদেশ ৪ :১৪; ৬:২৮।EdBen 123.7

    “তানীদের সহচর হও, জ্ঞানী হইবে।” হিতােপদেশ ১৩:২০ । EdBen 124.1

    “যাহার অনেক বন্ধু, তাহার সর্বনাশ হয়।” হিতােপদেশ ১৮:২৪।EdBen 124.2

    একে অন্যের প্রতি আমাদের কর্তব্যের সমগ্র পরিধি খ্রীষ্টের ঐ বাক্য দ্বারা আচ্ছাদিত হয়, “অতএব সর্ব বিষয়ে তােমরা যাহা যাহা ইচ্ছা। কর যে, লােকে তােমাদের প্রতি করে, তােমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও।” মথি ৭:১২।EdBen 124.3

    কত লােকেই না সতর্কবাণীর প্রতি মনােযােগ প্রদান করে আর্থিক ব্যর্থতা এবং ধ্বংস এড়িয়ে চলতে পারত, কতবারই না শাস্ত্রে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।EdBen 124.4

    “কিন্তু যে ধনবান হইবার জন্য তাড়াতাড়ি করে, সে অদণ্ডিত থাকিবে না। হিতােপদেশ ২৮:২০।EdBen 124.5

    “অলীকতায় অর্জিত ধন ক্ষয় পায়, কিন্তু যে ব্যক্তি হস্ত দ্বারা সঞ্চয় করে, সে অধিক পায়।” হিতােপদেশ ১৩:১১।EdBen 124.6

    “মিথ্যাবাদী জিহ্বা দ্বারা যে ধনকোষ লাভ, তাহা চপল বাষ্পবৎ, তদন্বেষীরা মৃত্যুর অন্বেষী।” হিতােপদেশ ২১:৬ ।EdBen 124.7

    “আর ঋণী মহাজনের দাস হয়।” হিতােপদেশ ২২:৭।EdBen 124.8

    “যে অপরের জামিন হয়, সে নিশ্চয় ক্লেশ পায়; কিন্তু যে জামিনের কর্ম ঘৃণা করে, সে নিরাপদ।” হিতােপদেশ ১১:১৫।EdBen 124.9

    “সীমার পুরাতন চিহ্ন স্থানান্তর করিও না, পিতৃহীনদের ক্ষেত্রে প্রবেশ করিও না। কেননা তাহাদের মুক্তিকর্তা বলবান; তিনি তােমার বিরুদ্ধে তাহাদের পক্ষ সমর্থন করিবেন।” “নিজের ধন বৃদ্ধির জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি উপদ্রব করে, আর যে ধনবানকে দান করে, উভয়েরই অভাব ঘটে।” “যে খাত খােদে, সে তাহার মধ্যে পতিত হইবে; যে প্রস্তর গড়াইয়া দেয়, তাহারই উপরে তাহা ফিরিয়া আসিবে।” হিতােপদেশ ২০:১০,১১; ২২:১৬; ২৬:২৭।EdBen 124.10

    এই সেই নীতিমালা যা সমাজের কল্যাণের জন্য ঘনিষ্ট সম্পর্কযুক্ত জাগতিক মেলামেশার ক্ষেত্রে যেমন, তেমনি ধর্মীয় ব্যাপারেও। এই নীতিমালা যা সম্পদ এবং জীবনের নিরাপত্তা দান করে। যারা দৃঢ় বিশ্বাস এবং সহযােগিতা সম্ভব করে তােলে তাদের জন্য জগৎ ঈশ্বরের ব্যবস্থার কাছে ঋণী যা তাঁর বাক্যে দেয়া হয়েছে এবং এখনাে তা চিহ্নিত রয়েছে, যা প্রায়ই অস্পষ্ট এবং যেন প্রায় মানুষের হৃদয় হতে মুছে ফেলা হয়েছে।EdBen 124.11

    গীতসংহিতাকরের বাণী, “তােমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম, সহস্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম” (গতিসংহিতা ১১৯:৭২), এখানে ধর্মীয় দিক থেকে সত্য তাই বলে। ঐ সব একটি নিশ্চিত সত্য কথা বলে এবং যা ব্যবসায়ী বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এমন কি অর্থ লাভের প্রচণ্ড আসক্তির এই যুগে যখন প্রতিযােগিতা এমন তীব্র এবং পদ্ধতি সমূহ এত বিবেকবর্জিত, এটি এখনও ব্যাপকভাবে মেনে নেয়া যায় যে, একজন যুবকের সূচনালগ্নে, ন্যায়পরায়ণতা, অধ্যবসায়, মিতাচার, পবিত্রতা, এবং মিতব্যয়িতা যে কোন পরিমাণ অর্থ অপেক্ষা সব চেয়ে ভালাে মূলধন গঠন করে।EdBen 125.1

    তবুও যারা ঐ সব গুণাবলীর প্রশংসা করে এবং বাইবেল তাদের উৎস বলে উপলব্ধি করে, তাদের মধ্যে অল্প লােকই, যে নীতির ওপরে নির্ভরশীল, সেই নীতি ভালােভাবে বুঝতে পারে EdBen 125.2

    যা ব্যবসা সংক্রান্ত সততা এবং প্রকৃত কৃতকার্যতার ভিত্তিতে অবস্থান করে, তা-ই ঈশ্বরের মালিকানার নিদর্শন। সব কিছুর স্রষ্টাই আদি মালিক। আমরা তার ধনাধ্যক্ষ। আমাদের যা কিছু আছে, তা তার কাছ থেকে পাওয়া সম্পদ, এবং তার নির্দেশ অনুসারে ব্যবহার করতে পারি।EdBen 125.3

    এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব যা প্রত্যেক মানুষের উপরে ন্যস্ত রয়েছে। এটি মানব কর্মকাণ্ডের সমগ্র ক্ষেত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে। আমরা তা উপলব্ধি করতে পারি বা না পারি, আমরা ধনাধ্যক্ষ, আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে তালন্ত এবং সুযােগ-সুবিধা লাভ করেছি, এবং আমাদের পৃথিবীতে রাখা হয়েছে যেন আমরা তার নির্ধারিত কাজ করি ।EdBen 125.4

    প্রত্যেক মানুষকে “তাহার কার্য” (মার্ক ১৩:৩৪) ঠিক করে দেয়া হয়েছে, যার জন্য সে দক্ষ বা উপযােগী, সেই কাজ যা তার সহমানবের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ মঙ্গল, এবং ঈশ্বরের প্রতি সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান নিয়ে আসবে।EdBen 125.5

    এভাবে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আহ্বান ঈশ্বরের মহান সংকল্পের একটি অংশ, এবং যতদিন এটি তার ইচ্ছা অনুসারে পরিচালিত হয়, ততদিন তিনি নিজেই এর পরিণামের জন্য দায়ী। “ঈশ্বরের সহিত সহকার্যকারীগণ” (করিন্থীয় ৩:৯), আমাদের কাজ বিশ্বস্ত ভাবে তাঁর নির্দেশ মেনে চলা উচিৎ। এভাবে করলে উদ্বেগ-দুশ্চিন্তার কোন স্থান নেই। আমাদের আহ্বান করা হয়েছে যেন আমরা অধ্যাবসায়ী, বিশ্বস্ত ও অনুগত, যত্নকারী, মিতব্যয়ী, এবং বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন হই। প্রতিটি কর্মশক্তি এর সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অনুসারে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের কর্ম প্রচেষ্টার কৃতকার্যপূর্ণ ফলাফলের ওপরে নয় কিন্তু ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার ওপরে নির্ভর করতে হবে। যে বাক্য প্রান্তরে ইস্রায়েল সন্তানদের খাবার দিয়েছিল এবং দুর্ভিক্ষের সময় এলিয়কে রক্ষা করেছিল, আজও তার একই ক্ষমতা রয়েছে। “অতএব ইহা বলিয়া ভাবিত হইও না যে, কি ভােজন করিব?’ বা ‘কি পান করিব?’ ...কিন্তু তােমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তােমাদিগকে দেওয়া হইবে।” মথি ৬:৩১-৩৩ ।EdBen 125.6

    যিনি মানুষকে ধনী হবার ক্ষমতা দিয়েছেন, ঐ ক্ষমতার সঙ্গে তিনি একটি নৈতিক দায়িত্বও দিয়েছেন। আমরা যা কিছু লাভ করেছি, তার নির্দিষ্ট একটি অংশ তিনি দাবী করেন। দশমাংশ সদাপ্রভুর। “আর ভূমির শস্য কিম্বা বৃক্ষের ফল হউক, ভূমির উৎপন্ন দ্রব্যের দশমাংশ সদাপ্রভুর।” “আর গােমেষপালের দশমাংশ পাঁচনির নীচে দিয়া যাহা কিছু যায়, তাহার মধ্যে প্রত্যেক দশম পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র হইবে।” লেবীয় ২৭:৩০, ৩২। বৈথেলে যাকোব কর্তৃক কৃত অঙ্গীকার নৈতিক দায়িত্বের ব্যাপকতা প্রমাণ করে। “আর তুমি আমাকে যাহা কিছু দিবে, তাহার দশমাংশ আমি তােমাকে অবশ্য দিব।” আদিপুস্তক ২৮:২২।EdBen 126.1

    “তােমার সমস্ত দশমাংশ ভাণ্ডারে আন” (মালাখি ৩:১০), ইহা ঈশ্বরের আদেশ । কোন আবেদনেই কৃতজ্ঞতা অথবা উদারতার বিষয়ে তুলে ধরা হয় নি। এটি একটি সরল সততার ব্যাপার । দশমাংশ সদাপ্রভুর; তিনি আমাদের আদেশ করেন যেন, যা তাঁর নিজস্ব, আমরা তাকে তা ফিরিয়ে দিই।EdBen 126.2

    “আর এ স্থলে ধনাধ্যক্ষের এই গুণ চাই, যেন তাহাকে বিশ্বস্ত দেখিতে পাওয়া যায়।” ১ করিন্থীয় ৪:২। যদি সততা ব্যবসায়ী জীবনের একটি অপরিহার্য নীতি হয়ে থাকে, তাহলে ঈশ্বরের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়িত্বটি কি উপলব্ধি করা উচিত নয়—নৈতিক দায়িত্ব যা অন্যান্য সবাইকেও অধীন করে?EdBen 126.3

    আমাদের ধনাধ্যক্ষ উপাধি দেওয়া হয়েছে, এই কারণ ঈশ্বরের প্রতি যে কেবল আমাদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে, তা নয়, কিন্তু মানুষের প্রতিও রয়েছে। ত্রাণকর্তার অসীম প্রেমের কাছে জীবনের দানসমূহের জন্য প্রতিটি মানব সত্তা ঋণী। খাবার, পােষাক, বাসস্থান, আশ্রয়, দেহ-মন এবং আত্মা সবই তার রক্তে ক্রীত। আর এভাবে আরােপীত কৃতজ্ঞতার নৈতিক দায়িত্ব এবং সেবাকার্য দ্বারা খ্রীষ্ট আমাদেরকে আমাদের সহ মানবের সঙ্গে একসঙ্গে বেঁধে রেখেছেন। তিনি আমাদের আদেশ করছেন, “প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।” গালাতীয় ৫:১৩। “এই ক্ষুদ্রতমদিগের মধ্যে এক জনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমরাই প্রতি করিয়াছিলে।” মথি ২৫:৪০। “গ্রীক ও বর্বর, বিজ্ঞ ও অত্ত, সকলের কাছে আমি ঋণী।” রােমীয় ১:১৪। এইরূপে আমরাও যা কিছু আমাদের জীবনকে অন্য সবার চেয়ে বেশি আশীর্বাদযুক্ত করেছে তার সব কিছু দিয়ে আমরা প্রতিটি মানব সত্তার কাছে নৈতিক দায়িত্বে বন্দী, যাদের আমরা উপকার করতে পারি।EdBen 126.4

    এই সত্যগুলাে নিভৃত কক্ষ অপেক্ষা লেনদেনের জন্য ব্যবসায়ী অফিস কক্ষের বেশি প্রয়ােজন। আমাদের কাছে যে সম্পদ রয়েছে তা আমাদের নয়, আর এই সত্য কখনও দৃষ্টি বহির্ভূত হতে পারে না। আমরা ধনাধ্যক্ষ মাত্র, আর ঈশ্বর এবং মানুষের জন্য আমাদের দায়িত্ব পালনের উপরে আমাদের সহমানবের কল্যাণ এবং ইহজীবন এবং পরজীবনের জন্য আমাদের লক্ষ্য নির্ভর করে।EdBen 127.1

    “কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।” “তুমি জলের উপরে আপন ভক্ষ্য ছড়াইয়া দেও, কেননা অনেক দিনের পরে তাহা পাইবে।” “দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।” হিতােপদেশ ১১:২৪, ২৫; উপদেশক ১১:১।EdBen 127.2

    “ধন সঞ্চয় করিতে অত্যন্ত যত্ন করিও না।...তুমি কি ধনের দিকে চাহিতেছ? তাহা আর নাই; কারণ ঈগল যেমন আকাশে উড়িয়া যায়, তেমনি ধন আপনার জন্য নিশ্চয়ই পক্ষ প্রস্তুত করে।” হিতােপদেশ ২৩:৪,৫ ।EdBen 127.3

    “দেও, তাহাতে তােমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; ললাকে বিলক্ষণ। পরিমাণে চাপিয়া ঝকরিয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তেমাদের কোলে দিবে; কারণ তােমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তােমাদের নিমিত্তে পরিমাণ করা যাইবে।” ক ৬:৩৮ ।EdBen 127.4

    “তুমি সদাপ্রভুর সম্মান কর আপনার ধনে, আর তােমার সমস্ত দ্রব্যের অগ্রিমাংশে; তাহাতে তােমার গােলাঘর সকল বহু শস্যে পূর্ণ হইবে; তােমার কুণ্ডে নূতন দ্রাক্ষারস উথলিয়া পড়িবে।” হিতােপদেশ ৩:৯,১০।EdBen 127.5

    “তােমরা সমস্ত দশমাংশ ভাণ্ডারে আন, যেন আমার গৃহে খাদ্য থাকে; আর তােমরা ইহাতে আমার পরীক্ষা কর, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু। কহেন, আমি আকাশের দ্বার সকল মুক্ত করিয়া তােমাদের প্রতি অপরিমেয় । আশীর্বাদ বর্ষণ করি কি না। আর আমি তােমাদের নিমিত্ত গ্রাসককে ভৎসনা করিব, সে তােমাদের ভূমির ফল বিনষ্ট করিবে না, এবং ক্ষেত্রে তােমাদের দ্রাক্ষালতার ফল অকালে ঝরিবে না। আর সর্ব জাতি তােমাদিগকে ধন্য বলিবে, কেননা তােমরা প্রীতিজনক দেশ হইবে ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন।” মালাখি ৩:১০-১২।EdBen 128.1

    “যদি তােমরা আমার বিধিপথে চল, আমার আজ্ঞা সকল মান ও সে সমস্ত পালন কর, তবে আমি যথাকালে তােমাদিগকে বৃষ্টি দান করিব; তাহাতে ভূমি শস্য উৎপন্ন করিবে, ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সকল স্ব স্ব ফল দিবে। তােমাদের শস্যমর্দনকাল দ্রাক্ষাচয়নকাল পর্যন্ত থাকিবে, ও দ্রাক্ষাচয়নকাল বীজ বপনকাল পর্যন্ত থাকিবে; এবং তােমরা তৃপ্তি পর্যন্ত অন্ন ভােজন করিবে, ও নিরাপদে নিজ দেশে বাস করিবে। আর আমি দেশে শান্তি প্রদান করিব; তােমরা শয়ন করিলে কেহ তােমাদিগকে ভয় দেখাইবে না; এবং আমি তােমাদের দেশ হইতে হিংস্র জন্তুদিগকে দূর করিয়া দিব; ও তােমাদের দেশে খড়গ ভ্রমণ করিবে না।” লেবীয় ২৬:৩-৬।EdBen 128.2

    “ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লােককে শাসন কর, পিতৃহীন লােকের বিচার নিষ্পত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।” “ধন্য সেই জন, যে দীনহীনের পক্ষে চিন্তাশীল; বিপদের দিনে সদাপ্রভু তাহাকে নিস্তার করিবেন। সদাপ্রভু তাহাকে রক্ষা করিবেন, জীবিত রাখিবেন, দেশে সে আশীর্বাদ পাইবে; তুমি শত্রুগণের ইচ্ছাতে তাহাকে সমর্পণ করিও না।” “যে দরিদ্রকে কৃপা করে, সে সদাপ্রভুকে ঋণ দেয়; তিনি তাহার সেই উপকারের পরিশােধ করিবেন।” যিশাইয় ১:১১৭। গীতসংহিতা ৪১:১,২; হিতােপদেশ ১৯:১৭।EdBen 128.3

    যে ব্যক্তি এসব বিনিয়ােগ করে সে দ্বিগুণ ধন সঞ্চয় করে। তা ব্যতিরেকে যা, যত কৌশলেই উন্নতি করা হােক না কেন, তাকে তা অবশেষে রেখে যেতে হবে, সে তা অনন্তকালের জন্য রাশীকৃত করে রাখে। ঐ চরিত্ররূপ ধন যাহা পৃথিবী ও স্বর্গের অতীব মূল্যবান সম্পদ।EdBen 128.4

    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents