Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents
সুষম শিক্ষা - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First
    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents

    ১৮ - বাইবেলের নিগূঢ় রহস্য

    “তুমি কি অনুসন্ধান করিয়া ঈশ্বরকে পাইতে পার?”

    কোনাে সসীম মন অসীম ব্যক্তির চরিত্র অথবা কাজ সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারে না। আমরা অনুসন্ধান করে ঈশ্বরকে পেতে পারি না। সুদৃঢ় এবং সুশিক্ষিত মন এবং সবচেয়ে দুর্বল ও একেবারে মুখ ব্যক্তির কাছে পবিত্র ব্যক্তি, এবং পবিত্র ব্যক্তি দুর্বল এবং অতীব মুখ ব্যক্তির কাছে সব সময় নিগূঢ় রহস্যাবৃত থাকবেন। কিন্তু যদিও, “মেঘ ও অন্ধকার তার চারিদিকে বিদ্যমান; ধর্মশীলতা ও বিচার তাঁর সিংহাসনের ভিত্তি মূল।” গীতসংহিতা ৯৭:২। আমরা কেবল অসীম শক্তির সঙ্গে সীমাহীন অনুগ্রহ সংযুক্ত হওন সম্পর্কে আমাদের সঙ্গে তাঁর আচরণ বুঝতে পারি । আমরা তাঁর উদ্দেশ্য যতটুকু বুঝতে সক্ষম, ততটুকুই চেষ্টা করব; তার পরে সর্ব ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তির উপর ভরসা করতে পারিEdBen 158.1

    ঈশ্বরের বাক্য গ্রন্থকারের চরিত্রের মত নিগূঢ় রহস্য উপস্থাপন করে, যা সসীম মানব কখনো সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারবে না। কিন্তু ঈশ্বর শাস্ত্রে এর ঐশ্বিক ক্ষমতার পর্যাপ্ত প্রমাণ রেখেছেন। তাঁর নিজের অস্তিত্ব, তার চরিত্র, তাঁর বাক্যের সত্যতা সাক্ষ্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, যা আমাদের যুক্তির প্রতি আবেদন রাখে; এবং এই সাক্ষ্যই পর্যাপ্ত। একথা সত্য, তিনি সন্দেহের। সম্ভাবনা দূর করেন নি; প্রমাণের উপরই বিশ্বাস নির্ভরশীল, কোন অস্পষ্টতার উপর নয়। যাদের সন্দেহ করার সুযােগ রয়েছে; কিন্তু যারা সত্য জানতে ইচ্ছা করে তাদের যথেষ্ট বিশ্বাসের কারণও রয়েছে ।EdBen 158.2

    ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি আমাদের সন্দেহ পােষণের কোন কারণ নেই, যেহেতু আমরা তার উপায় সমূহের নিগূঢ় রহস্য বুঝতে অক্ষম। প্রকৃতি জগতে আমরা অবিরত আমাদের বােধের অগম্য আশ্চর্য কাজ দ্বারা। পরিবেষ্টিত রয়েছি। একইভাবে আত্মিক বিশ্বেও আমাদের পরিমাপের। বাইরে নিগূঢ় রহস্য দেখে অবাক হব? মানব মনে দুর্বলতা এবং সংকীর্ণতা রয়েছে, সমস্যা সেখানেই।EdBen 158.3

    বাইবেলের নিগূঢ় রহস্য এর বিরুদ্ধে একটি বিতর্কের বিষয়ই বটে, কিন্তু তা যে ঈশ্বর অনুপ্রাণিত তার জোরালাে প্রমাণ রয়েছে। যদি এতে ঈশ্বরের বিষয় কোন নজিরই না থাকত, কিন্তু আমরা যা বুঝতে পারি কেবল তাই থাকত; যদি তাঁর মহত্ত সসীম মন বুঝতে পারত, তবে বাইবেল এখন যেমন ঠিক তেমনি ঈশ্বরের নির্ভুল প্রমাণ বহন করত না। ঈশ্বরের বাক্যের মহত্ত এতে মূল বিষয়বস্তুর বিশ্বাসকে অনুপ্রাণিত করত ।EdBen 159.1

    বাইবেল, সরল ভাবে সত্য প্রকাশ কওে, এবং মানবান্তঃকরণের চাহিদা ও বাসনার সঙ্গে সমন্বয় রাখে, যা অতি উচ্চ শিক্ষিত মনকে আশ্চর্যান্বিত এবং মুগ্ধ করেছে, নম্র এবং অশিক্ষিত লােকদের কাছে জীবনে। চলার পথ সরল ও সহজ করে দিয়েছে। “সে পথে পথিকগণ, জ্ঞানেরাও পরিভ্রমণ করিবে না।” যিশাইয় ৩৫:৮। কোন শিশু পথভ্রান্ত হবে না। একজন ভীত ও দুর্বল অন্বেষণকারী নিখুঁৎ এবং পবিত্র আলােতে পথ চলতে ব্যর্থ হবে না। তবুও খুব সহজভাবে বর্ণিত সত্য যা মূল চিন্তাধারাকে উচ্চ তুলে ধরেছে, যা সুদূর প্রসারী, যা সীমাহীন ভাবে মানুষের বােধগম্যের বাইরে—নিগূঢ় রহস্য, যা মনকে এর গবেষণায় প্রবলতর ভাবে শক্তি প্রয়ােগ করে, এবং ঐ সব সরল সত্যান্বেষীকে ভক্তি ও বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত করে । আমরা যত বেশি বাইবেল পড়ব, আমরা তত গভীর ভাবে নিশ্চিত হব যে, এটি জীবন্ত ঈশ্বরের বাক্য, এবং মানব যুক্তি-তর্ক ঐশ্বরিক প্রকাশের সামনে নতি স্বীকার করে।EdBen 159.2

    ঈশ্বর চান সরল সত্যান্বেষীর কাছে তাঁর বাক্য যেন কখনাে অনুন্মোচিত না থাকে। তবে “নিগূঢ় বিষয় সকল আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অধিকার; কিন্তু প্রকাশিত বিষয় সকল আমাদের ও যুগে যুগে আমাদের সন্তানদের অধিকার।” দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:২৯। বাইবেলের কোনাে কোনাে অংশ বুঝে ওঠা দুষ্কর, যা কোনাে কোনাে লােককে এর অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য পরিত্যাগ করতে পরিচালিত করেছে। বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরােপ করে তা পুনঃপুনঃ আবৃতি করতে এবং অধ্যয়ন করতে হবে। বাইবেলের নিগূঢ় রহস্য এমন নয় যে, ঈশ্বর সত্য অবরুদ্ধ রেখেছেন, কিন্তু আমাদের নিজেদের দুর্বলতা অথবা মুখতার কারণে আমরা সত্য বুঝে উঠতে পারি না। কিছু সীমিত রাখা- ঈশ্বরের উদ্দেশ্য নয়, কিন্তু তা আমাদের ক্ষমতার বাইরে। এ কারণে, শাস্ত্রের যে অংশ আমরা না বুঝে এড়িয়ে যাই, ঈশ্বর চান যেন, আমাদের মনের সাধ্যানুসারে তা বুঝবার চেষ্টা করি। “ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশােধনের, ধাৰ্মিকর্তা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী।” ২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭ ।EdBen 159.3

    যে কোনাে মানুষের পক্ষে বাইবেলের একটি সত্য অথবা বাইবেলের প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ বােঝা কঠিন। একজন ব্যক্তি হয় ত এর বৈশিষ্ট্য এক ভাবে বুঝবে, অন্য জন অন্য দিক থেকে বুঝবে; তবুও আমরা কেবল আধাে আধাে বুঝতে পারি। পূর্ণ জ্যোতি আমাদের জ্ঞানের বাইরে।EdBen 160.1

    যেমন আমরা ঈশ্বরের বাক্যের প্রধান বিষয়গুলাে নিয়ে ধ্যান করি, তখন আমরা একটি প্রস্রবণের মধ্যে দৃষ্টিপাত করি যা আমাদের দৃষ্টিকে ধারণাতীতভাবে প্রসারিত এবং গভীর করে তােলে। এর প্রসারতা এবং গভীরতা আমাদের জ্ঞানকে অতিক্রম করে যায়। যখন আমরা স্থির দৃষ্টিতে তাকাই, তখন আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পায়; আমাদের সামনে এক সীমাহীন আকুল সাগর খুলে যায়।EdBen 160.2

    এমন অধ্যয়নের জীবনদায়ী ক্ষমতা রয়েছে। মন ও হৃদয় নতুন শক্তি, নতুন জীবন লাভ করে।EdBen 160.3

    এই অভিজ্ঞতা বাইবেলের স্বর্গীয় গ্রন্থকারের সর্বোচ্চ প্রমাণ। আমরা যেমন শরীর পালনের জন্যও খাবার খাই, ঠিক একইভাবে আত্ম৷ পালনের জন্য ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ করি। খাদ্য আমাদের শরীরের চাহিদা মেটায়; আমরা অভিজ্ঞতা দ্বারা জানতে পারি যে, এটি আমাদের রক্ত এবং অস্থি এবং মগজ বৃদ্ধি করে। একই পরীক্ষা বাইবেলের প্রতি প্রয়ােগ করুন; যখন এর নীতিমালা প্রকৃতপক্ষে চরিত্রের বিষয়বস্তু হিসেবে গণ্য হয়, তখন ফলাফল কি দাঁড়ায়? জীবনে কি পরিবর্তন এসেছে “পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেইগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে।” ২ করিন্থীয় ৫:১৭।EdBen 160.4

    ইহার বলে, নর-নারীগণ পাপপূর্ণ স্বভাবের শিকল ভেঙ্গে ফেলেছে। তারা স্বার্থপরতা ত্যাগ করেছে। অবজ্ঞাশীল শ্রদ্ধাশীল হয়েছে, মাতাল নম্র হয়েছে, অসৎচরিত্র বা লম্পট পবিত্র হয়েছে। শয়তানের প্রতিমূর্তি বহনকারী আত্মাগণ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই পরিবর্তন অলৌকিক কাজ অপেক্ষাও অনেক বেশি কিছু। একটি পরিবর্তন বাক্যের মাধ্যমে ঘটে, এটি বাক্যের একটি গভীরতম রহস্য। এটি আমাদের বােধের অগম্য; আমরা কেবল বিশ্বাস করতে পারি, যেমন শাস্ত্র বলে এটি “তােমাদের মধ্যবর্তী খ্রীষ্ট, গৌরবের আশা।” কলসীয় ১:২৭।EdBen 160.5

    এই নিগূঢ়তত্ত্বের জ্ঞান অন্যগুলাের চাবিকাঠি স্বরূপ। এই চাবিকাঠি আত্মার কছে বিশ্বের ধনাগার খুলে দেয়, অসীম উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।EdBen 161.1

    আর এই উন্নয়ন আমাদের কাছে বিরামহীনভাবে ঈশ্বরের বাক্যের গৌরব ও রহস্যের জট খুলে দেয়। ঈশ্বর এবং তাঁর বাক্য সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করা যদি আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে, তবে আমরা আর সত্য আবিষ্কার করতে পারব না, শ্রেষ্ঠতম কোন জ্ঞান লাভ করতে পারব না, আত্মিক উন্নয়নের কোন সম্ভাবনা থাকবে না। ঈশ্বরকে সবচেয়ে প্রথমে রাখতে অসম্মত হব, একটি মানুষও আর সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। ঈশ্বরের ধন্যবাদ করুন, কারণ ব্যাপারটি এমন নয় । ঈশ্বর যেহেতু অসীম, এবং তিনিই সকল জ্ঞানের ভাণ্ডার, আমরা সকলে চিরকাল অন্বেষণ করতে, শিক্ষালাভ করতে পারব, তথাপি তার জ্ঞান, উত্তম, এবং তার ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যাবে না ।EdBen 161.2

    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents