Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents
মহা বিবাদ - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First
    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents

    মুখবন্ধ:

    ব্যবস্থার কাছে ও সাক্ষ্যের কাছে (অন্বেষনকর) ইহার অনুরূপ কথা যদি তাহারা না বলে তবে তাহাদের পক্ষে আলো নাই। যিশাইয় ৮:২০।GCBen 5.1

    বর্তমান অবস্থায় ২১শ শতাব্দীর প্রারম্ভেতে, প্রত্যেকেই এক ভাববাদী হয়ে পড়েছি বলে মনে হয়। ইন্টারনেটের’ ওপরে এমন কি ভবিষ্যদ্বক্তা-সম্বন্ধীয় ‘ওয়েব রিং’ রয়েছে। তবে সেসব কতগুলি এমন সব বিষয় বলে যা একটু অদ্ভুত মনে হয়। তারা যা বলে সেগুলি ব্যবস্থা ও সাক্ষ্যে সঙ্গে তুলনার দ্বারা, নিশ্চিতরূপে কি করে আমরা জানব যে তারা যা বলে জাহির করে — ঈশ্বরের বাক্য সকলের তত্বাবধায়ক —তারা সত্যিই তাই? নিশ্চিত রূপে সেই একই ঈশ্বর যিনি অতীতে লোকদের কাছে তার বাক্যসমূহ প্রদান করেন ও যেগুলি লিপিবদ্ধ করান। যা পরে বাইবেলে কতিপয় পুস্তকে পরিণত হয়) নিজের বিরুদ্ধাচারী হবেন না।GCBen 5.2

    এটা জেনে যে শেষের দিন গুলিতে বাস করা লোকদের জন্যে ভাববানীর বিচার্য বিষয় এক বড় পরীক্ষা হবে, যীশু এই বিষয়ে প্রত্যক্ষ ভাববানীর করেনঃ “অনেক ভাক্ত ভাববাদী উঠিয়া অনেককে ভুলাইবে।”মথি ২৪:১১। বাড়তি ভাবে জোরালো করার জন্যে, যোহনকে ঈশ্বর এই বাক্যগুলি প্রদান করেনঃ “প্রিয়তমেরা, তোমরা সকল আত্মাকে বিশ্বাস করিও না, বরং আত্মা সকলের পরীক্ষা করিয়া দেখ, তাহারা ঈশ্বর হইতে কি না, কারণ অনেক ভাক্ত ভাববাদী জগতে বাহির হইয়াছে।”১ যোহন ৪:১। স্বভাবতঃ এলেন হোয়াইট ব্যতিক্রম নন, এই পুস্তকখানি নিন ও পবিত্র শাস্ত্রলিপির সঙ্গে তুলনা করুন তা কি কষ্টিপাথরে যাচাই হয় না? স্বর্গে আমাদের করুণাময় পিতার কাছে প্রার্থণা করুন, আর আমাদেরকে সকল সত্যে পথ প্রদর্শন করতে তিনি তার আত্মা প্রেরণ করবেন।GCBen 5.3

    এক্ষণে তা প্রায় অবিধাস্য মনে হয়, কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষ যুগ্ম (কতিপয়) বছর পর্যন্ত, প্ৰায় সকলে যারা আপনাকে ‘খৃষ্টান বলে অভিহিত করে তারা তেমন যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে দৃঢ় থাকে যারা ঈশ্বর হতে প্রত্যাদেশসমূহ ধারণ করে বলে দাবি করে। তাদের বিবেচ্য বিষয়টি প্রমাণ করতে সচরাচর প্রকাশিত বাক্য ২২:১৮-১৯ উদ্ধৃত করেঃ “যাহারা এই গ্রন্থের ভাববানীর বচন সকল শুনে, তাহাদের প্রত্যেক জনের কাছে আমি সাক্ষ্য দিয়া বলিতেছি, যদি কেহ ইহার সহিত আর কিছু যোগ করে, তবে ঈশ্বর সেই ব্যক্তিকে এই গ্রন্থে লিখিত আঘাত সকল যোগ করিবেন। আর যদি কেহ এই ভাববানী গ্রন্থের বচন হইতে কিছু হরণ করে তবে ঈশ্বর এই গ্রন্থে লিখিত জীবন বৃক্ষ হইতে ও পবিত্র নগর হইতে তাহার অংশ হরণ করিবেন।GCBen 5.4

    তবে এটা কেমন উক্তি যে যোহনের মৃত্যুর পরে ঈশ্বর হতে আর কোনো ভাববাদী হবে না? যদি তা হয়, তাহলে যীশু কেন চাইবেন যে আমরা ভাক্ত ভাববাদিগণ থেকে সাবধান হই? কেন পবিত্র আত্মা যোহনের মাধ্যমে বলবেন আত্মাসমূহ যাচাই করতে? এ সমস্ত কি অনেক বেশী সহজতর হবে না যদি আমরা জানি তাদের সবাইকে উপেক্ষা করতে হবে যোহনের পরে যারা ঈশ্বর হতে বাক্যকলাপ প্রাপ্ত হয় বলে দাবি করে? কিন্তু সেটা ঈশ্বরের পরিকল্পনা নয়। যখন প্রয়োজন হয় তিনি নতুন সত্য প্রদান করেন, এবং তার ইচ্ছে জ্ঞাত করেন, আর হৃদয়ে বিশ্বাসী ব্যক্তি তা সত্য কিনা তা দেখতে পরীক্ষা করবে, ও পরে আনন্দের সঙ্গে তা গ্রহণ ও অনুসরণ করবে। অবশ্য শয়তানকে ও কাজ করতে দেয়া হবে। তাকে তা করতে না দিলে ঈশ্বরকে সে নিরপেক্ষ নয় বলে অভিযুক্ত করতে পারে।GCBen 5.5

    পৌলের মাধ্যমে ১ করিন্থীয় ১২ অধ্যায়ে পবিত্র আত্মা কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শঃ উপেক্ষা করা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন। সকলেই কি প্রেরিত ? সকলেই কি ভাববাদী ? সকলেই কি পরাক্রমী কার্যকারী? সকলেই কি আরোগ্যসাধক অনুগ্ৰহ-দান পাইয়াছে? সকলেই কি বিশেষ বিশেষ ভাষা বলে ? তারপরে তিনি বিবৃত করেন যে তিনি আমাদের প্রতি এক “আরও উৎকৃষ্ট পথ দেখাবেন, এই বলে যে যদি আমাদের প্রেম না থাকে তাহলে অনুগ্রহ-দানসমূহ আমাদের কাছে লাভহীন। ১৪ অধ্যায়ে আমাদেরকে তিনি এই বলে এক ধাপ আগে যান। “তোমরা প্রেমের অনুধাবন কর, আবার আত্মিক বর সকলের জন্য উদ্যোগী হও, বিশেষতঃ যেন ভাববাদী বলিতে পার। অতএব হে আমার ভ্ৰাতৃগণ, তোমরা ভাববাণী বলিবার জন্য উদ্যোগী হও এবং বিশেষ বিশেষ ভাষা কহিতে বারণ করিও না। আত্মাকে নিৰ্ব্বাণ করিও না। ভাববানী তুচ্ছ করিও না। সৰ্ব বিষয়ে পরীক্ষা কর, যাহা ভাল তাহা ধরিয়া রাখ। ১ থিষলনীকীয় ৫:১৯-২১।GCBen 5.6

    ১৮৫৮ সালের বসন্ত কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহায়োর লভেটস্ গ্রোভেতে এলেন হোয়াইটকে গ্রেট কন্ট্রোভার্সির (মহাবিবাদ) দর্শন দেয়া হয়। ১১ বছর পূর্বে এর অধিকাংশ তিনি দর্শনে দেখেছিলেন, তবে এবার তাকে তা লিখতে নির্দেশ দেয়া হয় যদিও তাকে বাধা দিতে শয়তান জোরালো প্রচেষ্টা সমূহ চালাবে। কিছু কিছু অংশ, বিশেষতঃ ৩০শ অধ্যায়, ১৮৪৭ সালে “লিটিল ফ্লক”এ, ১৮৫১ সালে “ক্রিশ্চিয়ান এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড ভিউস”এ ও ১৮৫৪ সালে “সা-প্লিমেন্ট” পুস্তিকা গুলিতে প্রকাশিত হয়। এর সমস্ত টুকু পবিত্ৰ আত্মা দ্বারা অনুপ্রাণিত, এক দুর্বল অথচ ঈশ্বরভক্ত নারীর দ্বারা লিখিত, ও ১৮৫৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। শয়তানও, যে জগৎকে বাইবেল-মুক্ত করার ও পরে তাকে বিকৃত সংস্করণ গুলির দ্বারা বিকৃত করতে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, এই পুস্তক খানিকে নষ্ট ও বিকৃত করার চেষ্টায় কার্যরত রয়েছে যেমন এটি ঈশ্বরের সন্তানের জন্যে সমগ্র জগতে দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান পুস্তক। তবে ঈশ্বর তার বাক্য রক্ষা করেছেন।GCBen 5.7

    তেমন ব্যক্তিরা রয়েছে যারা প্রশ্ন করে যুদ্ধ, অপরাধ, অপবিত্র যৌনতা নিয়ে, আর হা, ধর্মীয় বিধাসসমূহ নিয়ে কেন এত অধিক সমস্যাবলি। এসব প্রশ্নে উত্তরের ভিত্তি পাওয়া যেতে পারে খৃষ্ট ও শয়তানের মধ্যে সেই মহা বিবাদ বুঝতে পারায় যা আমাদের মন মানবগণের কখনো কারো অস্তিত্ব থাকার পূর্ব হতে চলে আসছে।GCBen 6.1

    পাঠক, আপনার ওপরে সদাপ্রভু তাঁর সর্বোৎকৃষ্ট বরসমূহ প্রদান করুণ যেমন আপনি সৰ্ববিষয়ে পরক্ষা করেন যা ঈশ্বরের বাক্য — বাইবেল দ্বারা এই পুস্তকে লিখিত হয়েছে।GCBen 6.2

    ______________________________________
    * সংক্ষিপ্ত মন্তব্য - সংক্ষিপ্ত জীবনী, মুখবন্ধ, শব্দ তালিকা ও প্রত্যেক অধ্যায়ের শেষে বাইবেল পদোল্লেখ গুলি মূল পুস্তকে এলেন হোয়াইটের দ্বারা লিখিত হয় নি।
    GCBen 6.3

    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents