২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
-
- পাঠকের উদ্দেশে
- মুখবন্ধ:
- ১ম অধ্যায় - শয়তানের পতন
- ২য় অধ্যায় - মানবের পতন
- ৩য় অধ্যায় - পরিত্রাণ পরিকল্পনা
- ৪র্থ অধ্যায় - খৃষ্টের প্রথম আগমন
- ৫ম অধ্যায় - খৃষ্টের পরিচর্যা কার্য
- ৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
- ৭ম অধ্যায় - খৃষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
- ৮ম অধ্যায় - খৃষ্টের বিচার
- ৯ম অধ্যায় - খৃষ্টের ক্রুশারোপ
- ১০ম অধ্যায় - খৃষ্টের পুনঃউত্থান
- ১১শ অধ্যায় - খৃষ্টের স্বর্গারোহণ
- ১২শ অধ্যায় - খৃষ্টের শিষ্যগণ
- ১৩শ অধ্যায় - স্তিফানের মৃত্যু
- ১৪শ অধ্যায় - শৌলের মনপরিবর্তন
- ১৫শ অধ্যায় - যিহূদীরা পৌলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়
- ১৬শ অধ্যায় - পৌল যিরূশালেম পরিদর্শন করেন
- ১৭শ অধ্যায় - মহা ধর্মভ্রষ্টতা
- ১৮শ অধ্যায় - অধৰ্ম্মের নিগূঢ়তত্ব
- ১৯শ অধ্যায় - দুর্দশায় অনন্ত জীবন নয়, মৃত্যু
- ২০ অধ্যায় - ধর্মসংস্কার
- ২১শ অধ্যায় - মন্ডলী ও জগৎ মিলিত হয়।
- ২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
- ২৩শ অধ্যায় - প্রথম দূতের বার্তা
- ২৪শ অধ্যায় - দ্বিতীয় দূতের বার্তা
- ২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
- ২৬শ অধ্যায় - আরেকটি দৃষ্টান্ত
- ২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
- ২৮শ অধ্যায় - তৃতীয় দূতের বার্তা
- ২৯শ অধ্যায় - এক দৃঢ় মঞ্চ
- ৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
- ৩১শ অধ্যায় - লোভ
- ৩২শ অধ্যায় - বিচলিত হওন
- ৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
- ৩৪শ অধ্যায় - উচ্চ রব (ঘোষণা)
- ৩৫শ অধ্যায় - তৃতীয় বার্তাটির সমাপ্তি
- ৩৬শ অধ্যায় - যাকোবের সঙ্কট-সময়
- ৩৭শ অধ্যায় - ধার্মিকগণের উদ্ধার
- ৩৮শ অধ্যায় - সাধুগণের পুরস্কার
- ৩৯শ অধ্যায় - পৃথিবী জনশূন্য হয়
- ৪০শ অধ্যায় - দ্বিতীয় পুনঃউত্থান
- ৪১শ অধ্যায় - দ্বিতীয় মৃত্যু
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
আমি কিছু সংখ্যক দলকে দেখি যারা মনে হয় রঞ্জুর দ্বারা বাঁধা। এই দলগুলির অনেকে সম্পূর্ণ অজ্ঞতায় ছিল। তাদের দৃষ্টি নীচের দিকে পৃথিবীর উদ্দেশে লক্ষ্যিত ছিল, আর তাদের ও যীশুর মধ্যে কোনো আত্মীয়তা ছিল না বলে মনে হয়। আমি দেখি ব্যক্তি বিশেষেরা এই দলগুলি ব্যাপী ছড়ানো যাদের মুখমন্ডল আলোক দেখায়, আর যাদের দৃষ্টি ঊৰ্দ্ধমুখে স্বর্গের দিকে ছিল। যীশুর থেকে, সূর্য থেকে আলোকের রশ্মিসমূহের মতন আলোকের কিরণরাশি তাদের উদ্দেশে অংশ প্রদান করা হয়। একজন দূত আমাকে মনোযোগের সঙ্গে দেখতে নির্দেশ দেন, আর আমি দেখি এক দূত তাদের প্রত্যেকের ওপরে নজর রাখছেন যারা এক আলোকের রশ্মি ছিল, যখন মন্দ দূতগণ তাদের ঘিরে রাখে যারা অন্ধকারে ছিল। আমি শুনি একজন দূতের কণ্ঠ ঘোষণা করে, ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাহাকে গৌরব প্রদান কর, কেননা তাঁহার বিচার-সময় উপস্থিত।GCBen 56.1
এক মহিমাময় আলোক এই দলগুলির ওপরে বিরাজ করে, তাদের সবাইকে জ্ঞান প্রদান (আলোকসম্পাত) করতে যারা তা গ্রহণ করবে। তাদের কেউ কেউ যারা অজ্ঞতায় ছিল আলোক গ্রহণ করে ও আনন্দিত হয়।যখন অন্যেরা স্বৰ্গ হতে আলোক প্ৰত্যাখ্যান করে, ও বলে যে তাদেরকে বিপথগামী করতে তা হচ্ছে প্রবঞ্চনা। তাদের কাছ থেকে আলোক পার হয়ে যায়, আর তারা অন্ধকারে পরিত্যক্ত থেকে যায়। যীশুর কাছ থেকে যারা আলোকপ্রাপ্ত হয়েছিল, আনন্দ সহকারে বহুমূল্য আলোকের বৃদ্ধি সস্নেহে ব্যবহার করে, যখন তাদের স্থির দৃষ্টি নির্দেশিত হয় ঊৰ্দ্ধমুখে যীশুর দিকে অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে, আর তাদের কণ্ঠ দূতগণের কণ্ঠের সঙ্গে সমতানে শোনা যায়, ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাহাকে গৌরব প্রদান কর। কেননা তাঁহার বিচারসময় উপস্থিত যেমন তারা এই ঘোষণা উত্তোলন করে। আমি তাদেরকে দেখি যারা অন্ধকারে ছিল। তাদেরকে পার্শ্বদেশে ও স্কন্ধ দিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। তখন তাদের অনেকে যারা আলোক ধারণ করে, সেই রজ্জু খন্ডন করে যা তাদেরকে আবদ্ধ করে রাখে, এইসব বিভিন্ন দলে অন্তর্ভুক্ত থাকা লোকেরা, যারা তাদের দ্বারা শ্ৰদ্ধাপ্রাপ্ত ছিল, দলগুলির মধ্যে দিয়ে যায়, আর কেউ কেউ প্রীতিকর বাক্যসমূহে, আবার কেউ কেউ রোষপূর্ণ দৃষ্টি ও ভয়প্রদর্শনকারী অঙ্গভঙ্গী নিয়ে রজ্জু আবদ্ধ করে যা দুর্বল হয়ে পড়ছিল, আর অবিরত বলছিল, ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমরা আলোকের মধ্যে দাঁড়িয়ে। আমাদেরই সত্য আছে। আমি জানতে চাই এইসব লোক কারা। আমাকে বলা হয় যে তারা ছিল ধর্মপরিচারক, ও নেতৃস্থানীয় লোক, যারা নিজেরা আলোক প্রত্যাখ্যান করেছিল আর অন্যেরা যে তা গ্রহণ করুক তাতে অনিচ্ছুক ছিল। আমি তাদেরকে দেখি যারা আলোক পোষণ করে আগ্রহ ও একাগ্র বাসনা নিয়ে ঊর্ধ্বপানে তাকিয়ে, যীশু আসবেন ও তাদেরকে তাঁর কাছে নিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছে। শীঘ্রই একখানি মেঘ তাদের ওপর দিয়ে চলে যায় যারা আলোকে আনন্দ প্রকাশ করে, আর তাদের মুখসমূহ বিষন্ন দেখায়। আমি এই মেঘের কারণ জিজ্ঞাসা করি। আমাকে দেখানো হয় যে তা ছিল তাদের নিরুৎসাহ৷ সেই সময় যখন তারা তাদের ত্রাণকর্তার প্রত্যাশা করেন অতিত্রান্ত হয়েছিল, আর যীশু এলেন না। হতাশা তাদের ওপরে দৃঢ় হয়, আর সেই লোকেরা পূর্বে আমি যাদেরকে দেখি, ধর্মপ্রচারক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা আনন্দিত হয়। যারা আলোক প্রত্যাখ্যান করেছিল, ভীষণভাবে সাফল্যের আনন্দে মাতে, যখন শয়তান এবং তাঁর দূতেরাও তাদের চারিপাশে উল্লসিত হয়।GCBen 56.2
তখন আমি আরেক দূতের কণ্ঠকে বলতে শুনি, পড়িল, পড়িল সেই মহতী বাবিল! সেই হতাশ ব্যক্তিদের ওপরে এক আলোক প্রকাশ পায়, আর তাঁর আবির্ভাবের জন্যে এক উদ্দীপনাময় বাসনা নিয়ে, তারা আবার যীশুর ওপরে তাদের দৃষ্টি সংলগ্ন করে। তখন আমি দেখি কিছু সংখ্যক দূত দ্বিতীয় দূতের সঙ্গে কথাবার্তা করতে, যিনি ঘোষণা করেছিলেন, পড়িল, পড়িল সেই মহতী বাবিল! আর এই দূতেরা দ্বিতীয় দূতের সঙ্গে তাদের কণ্ঠ তোলেন, ও ঘোষণা করেন, দেখ, বর! তাঁহার সহিত সাক্ষ্যৎ করিতে বাহির হও! এই দূতগণের সঙ্গীতময় কণ্ঠ সর্বত্র পৌঁছায় বলে মনে হয়। এক অতিশয় উজ্জ্বল ও মহিমাময় আলোক তাদের চারিপাশে প্ৰকাশ পায় যারা আলোক লালনপালন করে যার অংশ তাদের কাছে প্রদান করা হয়ে এসেছিল। তাদের চেহারা চমৎকার মহিমায় প্রকাশ পায়, আর তারা দূতগণের সঙ্গে ঘোষণায় মিলিত হয়, দেখ, বর! আর যেমন তারা সমতানে ঘোষণাটি তোলেন এই বিভিন্ন দলের মাঝে, যারা আলোক প্রত্যাখ্যান করে, তাদেরকে ঠেলতে থাকে, আর রোষপূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে, তাদেরকে বিদ্রপ-উপহাস ও ঘৃণা অবজ্ঞা করে। কিন্তু ঈশ্বরের দূতেরা অত্যাচারিত লোকেদের ওপরে তাদের পক্ষ সমূহ মৃদু ঝাপ্টা মারেন, যখন শয়তান ও তার দূতেরা তাদের চারিপাশে তাদের অন্ধকার চালাতে চায়, স্বর্গ থেকে আলোক প্ৰত্যাখ্যান করতে তাদেরকে চালিত করতে।GCBen 56.3
তখন আমি এক কণ্ঠ শুনি তাদেরকে বলতে যাদেরকে ঠেলা মারা ও ঠাট্টা বিদ্রুপ করা হয়েছিল, তোমরা তাহাদের মধ্য হইতে বাহির হইয়া আইস, এবং অশুচি বস্তু স্পৰ্শ করিও না। এক বৃহৎ সংখ্যক লোক সেই রজ্জু ছিন্ন করে যা তাদেরকে বেঁধে রাখে। আর তারা। রবে কর্ণপাত করে, আর তাদেরকে পরিত্যাগ করে যারা অন্ধকারে ছিল, আর তাদের সঙ্গে মিলিত হয় যারা পূর্বেই রজ্জু খন্ডন করেছিল, আর তারা আনন্দের সঙ্গে তাদের সঙ্গে তাদের কন্ঠ মেলায়। আমি একাগ্ৰ, দুঃখদায়ক প্রার্থনা অল্প কিছু লোকেদের কাছ থেকে শুনতে পাই যারা তখনো সেই দলগুলির সাথে থেকে যায় যারা অন্ধকারে ছিল। ধর্মপরিচারকেরা ও নেতৃস্থানীয়েরা এইসব বিভিন্ন দলের চারিদিক দিয়ে অতিক্রম করছিল, তাদের রজ্জু গুলিকে শক্ত করে আবদ্ধ করতে। কিন্তু তবুও আমি এই একাগ্র প্রার্থনার রব শুনতে পাই। তখন আমি দেখি তাদেরকে যারা প্রার্থনা করে আসছিল, যারা মুক্ত থেকে ঈশ্বরের আনন্দ করছিল সেই মিলিত দলটির দিকে সাহায্যের জন্যে হস্ত প্রসারিত করতে। তাদের কাছ থেকে উত্তর, যেমন তারা আগ্রহের সঙ্গে স্বর্গের দিকে তাকায় ও উদিকে নির্দেশ করেছিল, তাহাদের মধ্য হইতে বাহির হইয়া আইস, ও পৃথক হও। আমি দেখি ব্যক্তিবিশেষকে মুক্তির জন্যে চেষ্টা করছে, আর অবশেষে তারা রজ্জু ছিড়ে ফেলে যা তাদেরকে বেঁধে রাখে। রজ্জু আটোসাটো করে বাঁধতে যা করা হয় তারা সেই চেষ্টাগুলির প্রতিরোধ করে, আর সেই বারংবার করা দৃঢ় কথনগুলি অবধান করে না, ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন, আমাদের সঙ্গে সত্য আছে। ব্যক্তিবিশেষেরা সেই দলগুলি ছেড়ে আসতে থাকে যারা অন্ধকারে ছিল, আর মুক্ত দলটিতে যোগ দেয়, যাদেরকে মনে হয় এক মুক্ত ভূমিতে রয়েছে যা পৃথিবীর ঊৰ্দ্ধে ওঠানো। তাদের স্থিরদৃষ্টি ছিল ঊৰ্ধমুখী, আর ঈশ্বরের মহিমা তাদের ওপরে বিরাজ করে, আর তারা ঈশ্বরের প্রশংসাবলী উচ্চধ্বনিতে ঘোষণা করে। তারা সংযুক্ত ছিল, আর মনে হয় স্বর্গের আলোকে মোড়া ছিল। এই দলটির চারিদিকে কেউ কেউ ছিল যারা আলোকের প্রভাবের বশে আসে, কিন্তু তারা বিশেষভাবে দলটির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তাদের ওপরে পতিত আলোকের যারা সযত্নে ব্যবহার করে তারা গভীর মনোযোগের সঙ্গে ঊৰ্দ্ধমুখে স্থিরদৃষ্টি রাখছিল। মধুর অনুমোদন নিয়ে যীশু তাদের ওপরে দৃষ্টি রাখেন। যীশু আসবেন বলে তারা প্রত্যাশা করে। তারা সাগ্রহে তাঁর আবির্ভাব প্রতীক্ষা করে। পৃথিবীর দিকে তারা একটিও গরিমসি করা দৃষ্টি দেয় নি। আবার আমি দেখি একখানি মেঘ প্রতীক্ষাকারীদের ওপরে স্থির হয়। আমি দেখি তারা নিম্নদিকে তাদের ক্লান্ত দৃষ্টি ফেরায়। আমি এই পরিবর্তনের কারণ জানতে চাই। আমার সহচর দূত বলেন, তারা আবার তাদের প্রত্যাশাসমূহে হতাশ হয়। যীশু তখনো পৃথিবীতে আসতে পারেন না। তারা অবশ্যই তখনো যীশুর জন্যে দুঃখভোগ করবে ও আরো অধিক দুঃখকষ্ট সহ্য করবে। মনুষ্যদের কাছ থেকে গ্রহণ করা ভ্রান্তিগুলি ও পরম্পরাসমূহ তাদেরকে ত্যাগ করতেই হবে, ও সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বর ও তাঁর বাক্যের দিকে অবশ্য ফিরতে হবে। তাদেরকে বিশুদ্ধিকৃত হতে হবে, তেকৃত ও পরীক্ষিত হতে হবে। আর যারা সেই তীব্র দুঃখকষ্ট সহ্য করে তারা এক অনন্ত বিজয় লাভ করবে।GCBen 56.4
অগ্নি দ্বারা পৃথিবীকে শুদ্ধিকরণের দ্বারা, ধর্মধাম শুচি করতে যেমন প্রতীক্ষাকারী, হৰ্ষোৎফুল্ল দলটি প্রত্যাশা করে, যীশু পৃথিবীতে আসেন নি। আমি দেখি যে ভাববানী-সম্পর্কিত তাদের নিরূপণে তারা ঠিক ছিল। ভাববানী-সম্বন্ধীয় সময়কাল ১৮৪৪ সালে শেষ হয়। তাদের ভুল ধর্মধাম কি ছিল তা বুঝায় ও তার শুদ্ধিকরণের প্রকৃতিতে ছিল না। দিনগুলির শেষেতে ধর্মধাম শুচি করতে যীশু মহাপবিত্র স্থানেতে প্রবেশ করেন। আমি আবার প্রতীক্ষাকারী হতাশ দলটি দিকেতে তাকাই। তাদেরকে বিষন্ন দেখায়। তারা মনোযোগের সঙ্গে তাদের বিশ্বাসের প্রমাণগুলি পরীক্ষা করে, আর ভাববানী-সম্বন্ধীয় সময়কালের নিরূপণে ধরে তারা আদ্যোপান্ত অনুসরণ করে আর কোনো ভুল আবিস্কার করতে পারে না। সময় পূর্ণ ছিল, কিন্তু ত্রাণকর্তা কোথায়? তাঁকে তারা হারিয়েছিল।GCBen 57.1
আমাকে তখন দেখানো হয় শিষ্যদের নিরুৎসাহ যেমন তারা কবরের কাছে আসেন ও যীশুর দেহখানি দেখতে পান না। মরিয়াম বলেন, লোকে প্রভুকে কবর হইতে তুলিয়া লইয়া গিয়াছে তাহাকে কোথায় রাখিয়াছে, আমি জানিনা। দূতেরা দুঃখ প্রকাশকারী শিষ্যদেরকে বলেন যে তাদের প্রভু উঠেছেন, ও তাদের পূর্বে গালীলে যাবেন।GCBen 57.2
আমি দেখিয়ে যেমন যীশু গভীরতম অনুকম্পা নিয়ে শিষ্যদের ওপরে তাকান, তিনি তাদের মনকে নির্দেশিত করতে তাঁর দূতগণকে পাঠান যাতে তারা তাঁকে খুঁজে পান, তিনি যেখানে ছিলেন সেখানে তাঁর অনুসরণ করেন, যাতে তারা বুঝতে পারেন যে পৃথিবী ধর্মধাম নয়। যে তা শুচি করতে তাকে স্বর্গের ধর্মধামে মহাপবিত্র স্থানেই প্রবেশ করা প্রয়োজন ইস্রায়েলের জন্যে বিশেষ প্ৰায়শ্চিত্ত করতে, ও তাঁর পিতার রাজ্যটি গ্রহণ করতে, ও তাঁরপরে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করতে তাঁর সঙ্গে চিরকাল বাস করতে তাদেরকে নিয়ে যেতে। শিষ্যদের হতাশা ভালভাবে তাদের হতাশা বৰ্ণনা করে যারা ১৮৪৪ সালে তাদের প্রভুর প্রত্যাশা করে। আমাকে তখন সেই সময় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যখন খৃষ্ট বিজয়ের সঙ্গে পশুর পিঠে চড়ে যিরূশালেমে যান। হষোৎফুল্ল শিষ্যেরা বিশ্বাস করেন যে তিনি তখন তাঁর রাজ্য গ্রহণ করবেন, ও এক জাগতির রাজার ন্যায় রাজত্ব করবেন। তাদের রাজাকে তারা উচ্চ উচ্চ আশা নিয়ে অনুসরণ করেন। তারা সুন্দর সুন্দর খেজুর পত্র কেটে আনেন, ও তাদের বস্ত্রদি খুলে নেন, আর অত্যন্ত আগ্ৰহান্বিত উদ্যোগে পথে বিছিয়ে দেন।আর কিছু জন অগ্রে গমন করেন, আর অন্যেরা ঘোষণা করে অনুসরণ করেন, হোশান্না দায়দ সন্তান ! ধন্য, যিনি প্রভুর নামে আসিতেছেন! ঊর্ধ্বলোকে হোশান্না! উত্তেজনাটি । ফরীশীদেরকে বিরক্ত করে, আর তারা ইচ্ছে প্রকাশ করে যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে ভৎসনা করেন। কিন্তু তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ইহারা যদি চুপ করিয়া থাকে, প্রস্তর সকল চেঁচাইয়া উঠিবে। সখরিয় ৯:৯, পদের ভাববানী পূর্ণ হতেই হবে, তথাপি, আমি দেখি, শিষ্যেরা এক তীব্ৰ হতাশায় ভাগ্য-নির্দিষ্ট ছিলেন। কিছু দিনের মধ্যে তারা যীশুকে কালভেরীতে অনুসরণ করেন, ও তাকে দেখেন রক্তঝরা অবস্থায় ও নিষ্ঠুরGCBen 57.3
ক্রুশের ওপরে ছিন্ন-কলেবরে। তারা তাঁর অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু স্বচক্ষে দেখেন, ও তাঁকে কবরে শয়ন করান। শোকে তাদের হৃদয় । নিমজ্জিত হয়। তাদের প্রত্যাশাগুলির কোনো একটি যথাযথতায় উপলব্ধি হয় না। যীশুর সঙ্গে তাদের প্রত্যাশাগুলি শেষ হয়। কিন্তু যেমন তিনি মৃতগণের মধ্য হতে ওঠেন, ও তাঁর দুঃখপ্রকাশকারী শিষ্যদের কাছে আবির্ভূত হন, তাদের আশাগুলি পুনর্জীবিত হয়। তাদের ত্রাণকর্তাকে তারা হারিয়েছিলেন, কিন্তু আবার তারা তাকে খুঁজে পেয়েছিলেন।GCBen 57.4
আমি দেখি যে ১৮৪৪ সালে যারা প্রভুর আগমন বিশ্বস করে তাদের হতাশা, শিষ্যদের হতাশার সমান ছিল না। প্রথম ও দ্বিতীয় দূতগণের বার্তায় ভাব-বাণীসমূহ পূর্ণ হয়। সেগুলি যথাযথ সময়ে দেয়া হয়, আর ঈশ্বরের যে অভিসন্ধি সেগুলি সম্পাদন করবে তা করে।GCBen 57.5
______________________________________
দানিয়েল ৮:১৪(মথি ২১:৪-১৬( ২৫:৬( মার্ক ১৬:৬,৭( লূক ১৯:৩৫-৪০( যোহন ১৪:১-৩,(২০:১৩, ২ করিন্থীয় ৬:১৭( প্রকাশিত বাক্য ১০:৮-১১( ১৪:৭, ৮ দেখুন।GCBen 57.6