৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
-
- পাঠকের উদ্দেশে
- মুখবন্ধ:
- ১ম অধ্যায় - শয়তানের পতন
- ২য় অধ্যায় - মানবের পতন
- ৩য় অধ্যায় - পরিত্রাণ পরিকল্পনা
- ৪র্থ অধ্যায় - খৃষ্টের প্রথম আগমন
- ৫ম অধ্যায় - খৃষ্টের পরিচর্যা কার্য
- ৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
- ৭ম অধ্যায় - খৃষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
- ৮ম অধ্যায় - খৃষ্টের বিচার
- ৯ম অধ্যায় - খৃষ্টের ক্রুশারোপ
- ১০ম অধ্যায় - খৃষ্টের পুনঃউত্থান
- ১১শ অধ্যায় - খৃষ্টের স্বর্গারোহণ
- ১২শ অধ্যায় - খৃষ্টের শিষ্যগণ
- ১৩শ অধ্যায় - স্তিফানের মৃত্যু
- ১৪শ অধ্যায় - শৌলের মনপরিবর্তন
- ১৫শ অধ্যায় - যিহূদীরা পৌলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়
- ১৬শ অধ্যায় - পৌল যিরূশালেম পরিদর্শন করেন
- ১৭শ অধ্যায় - মহা ধর্মভ্রষ্টতা
- ১৮শ অধ্যায় - অধৰ্ম্মের নিগূঢ়তত্ব
- ১৯শ অধ্যায় - দুর্দশায় অনন্ত জীবন নয়, মৃত্যু
- ২০ অধ্যায় - ধর্মসংস্কার
- ২১শ অধ্যায় - মন্ডলী ও জগৎ মিলিত হয়।
- ২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
- ২৩শ অধ্যায় - প্রথম দূতের বার্তা
- ২৪শ অধ্যায় - দ্বিতীয় দূতের বার্তা
- ২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
- ২৬শ অধ্যায় - আরেকটি দৃষ্টান্ত
- ২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
- ২৮শ অধ্যায় - তৃতীয় দূতের বার্তা
- ২৯শ অধ্যায় - এক দৃঢ় মঞ্চ
- ৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
- ৩১শ অধ্যায় - লোভ
- ৩২শ অধ্যায় - বিচলিত হওন
- ৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
- ৩৪শ অধ্যায় - উচ্চ রব (ঘোষণা)
- ৩৫শ অধ্যায় - তৃতীয় বার্তাটির সমাপ্তি
- ৩৬শ অধ্যায় - যাকোবের সঙ্কট-সময়
- ৩৭শ অধ্যায় - ধার্মিকগণের উদ্ধার
- ৩৮শ অধ্যায় - সাধুগণের পুরস্কার
- ৩৯শ অধ্যায় - পৃথিবী জনশূন্য হয়
- ৪০শ অধ্যায় - দ্বিতীয় পুনঃউত্থান
- ৪১শ অধ্যায় - দ্বিতীয় মৃত্যু
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
আমি বিভিন্ন মন্ডলীর অবস্থা দেখি তাদের পতন দ্বিতীয় দূতের ঘোষণা করার পর থেকে। তারা আরো আরো অধিকনীতিহীন হচ্ছিল।তথাপি তারা খৃষ্টের অনুগামী হবার নাম বহন করে। জগৎ থেকে তাদেরকে পৃথক করা কষ্টকর। তাদের ধর্মপরিচারকেরা বাক্য (বাইবেল) থেকে তাদের শাস্ত্রংশ নেয়, তবে স্নিগ্ধ-কোমল বিষয়সমূহ প্রচার করে। স্বাভাবিক হৃদয় এর প্রতি কোনো কর্তব্য অনুভব করে না। এটা শুধু সত্যের মনোভাব (আত্মা) ও ক্ষমতা, এবং খৃষ্টের পরিত্রাণ যা জাগতিক হৃদয়ের কাছে ঘৃণাজনক। প্রচলিত (জনপ্রিয়) পরিচর্যাকার্যে কিছুই নেই যা শয়তানের রোষ উত্তেজিত করে, পাপীকে কম্পিত করে, বা হৃদয়ে ও বিবেকে শীঘ্রই আগত এক বিচারের ভয়াবহ বাস্তবতা প্রয়োগ করে। দুষ্ট লোকেরা সাধারণতঃ প্রকৃত ঈশ্বর ভক্তি ছাড়া এক প্রচালিত ধর্মানুষ্ঠান নিয়ে সন্তুষ্ট, আর তারা তেমন এক ধর্ম সাহায্য ও সমর্থন করবে। দূত বলেন, ধার্মিকতার সমগ্র যুদ্ধসজ্জার থেকে কম কিছুই পরাজিত করতে পারে না, ও অন্ধকারের ক্ষমতাগুলির ওপরে জয় ধরে রাখতে পারে না। এক দলরূপে শয়তান মন্ডলীসমূহের পূর্ণ দখল নিয়েছে। মনুষ্যদের কথনগুলি ও কার্যকলাপের ওপরে ঈশ্বরের বাক্যের স্পষ্ট উগ্র সত্যসমূহের পরিবর্তে ধ্যান-চিন্তন করা হয়। দূত বলেন, জগতের মিত্রতা ও মনোভাব ঈশ্বরের সহিত শত্ৰুতা! যখন সত্য তার সরলতায় ও সামর্থে, যেমনটি তা যীশুতে রয়েছে, জগতের মনোভাবের বিরুদ্ধে বহন করতে আনিত হয়, তা অমনি তাড়নার মনোভাব জাগায়। অনেকে, অত্যন্ত অনেকে, যারা খৃষ্টান হওয়া প্রকাশ্যে ঘোষণা করে, ঈশ্বরকে জানে নি, স্বাভাবিক হৃদয়ের চরিত্র পরিবর্তিত হয় নি। আর মানুষের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্ৰুতা! তাদের আরেকটি নাম নেবার ভান করা সত্বেও তারা শয়তানের আপন বিশ্বস্ত সেবক।GCBen 72.1
আমি দেখি যে স্বর্গীয় ধর্মধামে যীশুর পবিত্র স্থান ত্যাগ করার, এবং দ্বিতীয় যবনিকার মধ্যে প্রবেশ করার পর থেকে মন্ডলীসমূহ পরিত্যক্ত হয় যেমনটি যিহূদীরা ছিল।আর সেগুলি সর্বপ্রকার অশুচি ও ঘৃণাজনক লোকের দ্বারা পূর্ণ হচ্ছিল। আমি দেখি মন্ডলীগুলিতে মহা দুষ্টতা (পাপাচার) ও নীচতা তবুও তারা খৃষ্টান হবার ভান করে। তাদের ভান করা, তাদের প্রার্থনাসমূহ ও তাদের উপদেশ-পরামর্শ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে এক অত্যন্ত ঘৃণার বিষয়। দূত বলেন, ঈশ্বর তাহাদের পর্ব দিনগুলির আঘ্রান লইবেন না। স্বার্থপরতা, ছলনা ও প্রতারণা বিবেকের ভৎসনা ছাড়া তাদের দ্বারা চর্চা করা হয়, ও তাদের এই সব মন্দ বৈশিষ্ঠের ওপরে তারা ধর্মের আচ্ছাদন নিক্ষেপ করে। আমাকে নামীয় মন্ডলীগুলির অহংকার দেখানো হয়। তাদের চিন্তনসমূহে ঈশ্বর ছিলেন না,পরন্তু তাদের জাগতিক মন আপনাদের ওপরে ধ্যান-চিন্তন করে। তারা তাদের বেচারা নশ্বর দেহ অলঙ্কৃত করে, ও তারপরে আপনার ওপরে সন্তোষ ও আনন্দ নিয়ে তাকায়। যীশু ও দূতগণ ক্রোধের সঙ্গে তাদের ওপরে তাকান। দূত বলেন, তাদের পাপরাশি ও অহংকার স্বৰ্গ পর্যন্ত পৌঁছোয়। তাদের উত্তরাধিকার (যৌতুক) প্রস্তুত আছে। ন্যায়পরতা ও (ন্যায় ) বিচার দীর্ঘকাল ঘুমিয়ে আছে, তবে শীঘ্রই জেগে উঠবে। প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব। ইহা প্রভু বলেন। তৃতীয় দূতের ভয়াবহ ভয় প্রদর্শনসমূহ বাস্তবে পরিণত হবে, আর তারা ঈশ্বরের রোষ পান করবে। মন্দ দূতগণের অসংখ্য বাহিনী আপনাকে সমগ্র দেশের ওপরে ছড়াচ্ছে। মন্ডলীসমূহ ও ধর্মীয় দলগুলি তাদের নিয়ে ভিড় করা। আর তারা উল্লাসের সঙ্গে ধর্মীয় দলগুলির ওপরে দেখে( কারণ ধর্মের আচ্ছাদন প্রধানতম অপরাধসমূহ ও পাপাচার ঢাকে।GCBen 72.2
সমগ্র স্বৰ্গ ঘৃণার সঙ্গে ঈশ্বরের নৈপুণ্য মনুষ্যজাতিকে দেখে, অবনয়নের নীম্নতম গভীরে নেমে গিয়েছে, ও তাদের সহ মানবদের দ্বারা পশুসদৃশ প্রাণীর স্তরে স্থাপিত হয়েছে। ও সেই প্রিয় ত্রাণকর্তার স্বীকৃত অনুগামীরা, যার অনুকম্পা সদাই বিচালিত হয় যেমন তিনি মানব দুঃখকষ্ট স্বচক্ষে দেখেন, আন্তরিকতার সঙ্গে এই প্রচুর ও শোকাবহ পাপে ব্যাপৃত হয়, ও মনুষ্যদের আত্মাসমূহের ও ত্রীতদাসের কারবার করে। দূতগণ এর সবকিছু লিপিবদ্ধ করেছেন। তা পুস্তকে লেখা হয়েছে। ধার্মিক বন্দি লোকদের, পিতাদের মাতা ও সন্তানদের, ভ্রাতা ও ভগ্নিদের অশ্রু, সমস্তই স্বর্গে বোতলে পূর্ণ করে রাখা হয়েছে। মনস্তাপ, মানব মনস্তাপ, স্থান থেকে স্থানান্তরে নিয়ে যাওয়া হয়, কেনা হয় ও বিক্রী করা হয়। ঈশ্বর তাঁর রোষ দমন করবেন শুধু আর অল্প সময়ের জন্যে। তার ক্রোধে এই জাতির বিরুদ্ধে জ্বলে, ও বিশেষভাবে সেই ধর্মীয় দলগুলির বিরুদ্ধে যারা সমর্থন করেছে, ও আপনারা এই ভয়াবহ পণ্যে ব্যাপৃত হয়েছে। এমন অন্যায়, এমন উৎপীড়ন, এমন কষ্টভোগ, নম্র ও বিনীত যীশুর স্বীকৃত অনুগামীরা নির্দয় উদাসীনতায় স্বচক্ষে দেখতে পারে। আর তাদের অনেক বিদ্বেষপূর্ণ সন্তোষে, নিজেরাই সব অবর্ণনীয় মনস্তাপ আরোপ করে, আর তবুও ঈশ্বরকে ভৎসনা করার স্পৰ্ধা করে। এটা ভাবগম্ভীর বিদ্ৰুপ আর শয়তান এর ওপরে উল্লসিত হয়, ও যীশুকে এবং তাঁর দূতগণকে এমন অসামঞ্জস্যের জন্যে এই বলে নারকীয় সাফ্যলো, নিন্দা ভৎসনা করে, এরূপ হচ্ছে খৃষ্টের অনুগামীরা!GCBen 72.3
এই স্বীকৃত খৃষ্টানেরা শহীদদের দুঃখ-দুর্দশা ভোগের বিষয়ে পাঠ করে, এবং তাদের গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে। তারা আশ্চর্য বোধ করে যে লোকেরা কখনো এমন হৃদয় ধারণ করতে পারে যা এতই কঠিন যে তাদের সহমানবদের ওপরে এমন অমানবীয় নিষ্ঠুরতা প্রয়োগ করতে পারে, যখন একই সময়ে তাদের সহমানবকে তারা দাসত্বে ধরে রাখে। আর এটাই সব নয়। তারা প্রকৃতির বন্ধনগুলি পৃথক করে, আর নিষ্ঠুরভাবে তাদের সহমানবদেরকে দিনের পর দিন অত্যাচার করে। তারা নির্দয় নিষ্ঠুরতার সঙ্গে অত্যন্ত অমানবীয় উৎপীড়ন আরোপ করতে পারে, তা পোপবাদীরা ও বিধর্মীরা খৃষ্টের অনুগামীদের প্রতি যে নিষ্ঠুরতা অনুশীলন করে তার সঙ্গে ভালভাবেই তুলনা হতে পারে। দূত বলেন, এমন লোকদের ব্যাপারের চেয়ে ঈশ্বরের বিচারের প্রাণদন্ডের দিনে বিধর্মী ও পোপবদিদের জন্যে অধিকতম সহনীয় হবে। তাড়িতদের ক্রন্দন ও দুদর্শাভোগ স্বর্গের পানে পৌঁছেছে, আর যে কঠিন হৃদয় অবর্ণনীয়, অত্যধিক যন্ত্রণাদায়ক দৈহিক, মানসিক দুঃখ-কষ্ট, তাঁরস্রষ্টার প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে, তার সহমানবকে ঘটায় তাতে দূতগণ বিস্মিত হন। তেমন লোকদের নাম রক্তে, বেত্ৰাঘাতের দাগে আড়াআড়ি হয়ে, যন্ত্রণাভোগের অত্যন্ত বেদনাদায়ক, তপ্ত অশ্রুর প্লাবনে লিখিত আছে। ঈশ্বরের ক্ৰোধ শান্ত হবে না যাবৎ না আলোকের দেশকে তাঁর রোষের পেয়ালার তলানিগুলি পান করানো না ঘটান, এবং যাবৎ না বাবিলের পানে দ্বিগুণ প্রতিফল দেন। সে যেরূপ ব্যবহার করিত, তোমরাও তাহার প্রতি সেরূপ ব্যবহার কর। আর তাহার ক্রমানুসারে দ্বিগুণ, দ্বিগুণ প্রতিফল তাহাকে দাও, সে যে পাত্রে পেয় প্রস্তুত করিত, সেই পাত্রে তাহার জন্য দ্বিগুণ পরিমাণ পেয় প্রস্তুত কর।GCBen 72.4
আমি দেখি যে ত্রীতদাস-মালিককে তার দাসের আত্মার জন্যে জবাবদিহি হতে হবে যাকে সে অজ্ঞতায় রেখেছে। আর দাসের সমস্ত পাপ মালিকের ওপরে বর্তাবে। দাসকে ঈশ্বর স্বর্গে নিতে পারেন না, ঈশ্বরের কিম্বা বাইবেলের সম্বন্ধে কিছুই না জেনে তাঁর প্রভুর চাবুক ছাড়া কিছুই ভয় না করে, এবং তেমন উন্নত এক অবস্থা না ধারণ করে, যাকে অবনয়ন ও অজ্ঞায় রাখা হয়েছে। তবে তিনি তার জন্যে সর্বোত্তম বিষয়টি করেন যা এক সদয় ঈশ্বরই করতে পারেন। তিনি তার বিষয়ে এমন করেন যে সে ছিলইনা, যখন মালিককে শত অন্তিম আঘাত ভোগ করতে হবে, ও তারপরে দ্বিতীয় পুনঃত্থানে উঠে আসতে হবে, ও দ্বিতীয়, সবচেয়ে ভয়ানক মৃত্যু ভোগ করতে হবে। তখন ঈশ্বরের ক্ৰোধ তুষ্ট হবে।GCBen 73.1
______________________________________
আমোষ ৫:২১( রোমীয় ১২:১৯( প্রকাশিত বাক্য ১৪:৯,১০( ১৮:৬ দেখুন।GCBen 73.2