২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
মহা বিবাদ
- Contents-
- পাঠকের উদ্দেশে
- মুখবন্ধ:
- ১ম অধ্যায় - শয়তানের পতন
- ২য় অধ্যায় - মানবের পতন
- ৩য় অধ্যায় - পরিত্রাণ পরিকল্পনা
- ৪র্থ অধ্যায় - খৃষ্টের প্রথম আগমন
- ৫ম অধ্যায় - খৃষ্টের পরিচর্যা কার্য
- ৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
- ৭ম অধ্যায় - খৃষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
- ৮ম অধ্যায় - খৃষ্টের বিচার
- ৯ম অধ্যায় - খৃষ্টের ক্রুশারোপ
- ১০ম অধ্যায় - খৃষ্টের পুনঃউত্থান
- ১১শ অধ্যায় - খৃষ্টের স্বর্গারোহণ
- ১২শ অধ্যায় - খৃষ্টের শিষ্যগণ
- ১৩শ অধ্যায় - স্তিফানের মৃত্যু
- ১৪শ অধ্যায় - শৌলের মনপরিবর্তন
- ১৫শ অধ্যায় - যিহূদীরা পৌলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়
- ১৬শ অধ্যায় - পৌল যিরূশালেম পরিদর্শন করেন
- ১৭শ অধ্যায় - মহা ধর্মভ্রষ্টতা
- ১৮শ অধ্যায় - অধৰ্ম্মের নিগূঢ়তত্ব
- ১৯শ অধ্যায় - দুর্দশায় অনন্ত জীবন নয়, মৃত্যু
- ২০ অধ্যায় - ধর্মসংস্কার
- ২১শ অধ্যায় - মন্ডলী ও জগৎ মিলিত হয়।
- ২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
- ২৩শ অধ্যায় - প্রথম দূতের বার্তা
- ২৪শ অধ্যায় - দ্বিতীয় দূতের বার্তা
- ২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
- ২৬শ অধ্যায় - আরেকটি দৃষ্টান্ত
- ২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
- ২৮শ অধ্যায় - তৃতীয় দূতের বার্তা
- ২৯শ অধ্যায় - এক দৃঢ় মঞ্চ
- ৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
- ৩১শ অধ্যায় - লোভ
- ৩২শ অধ্যায় - বিচলিত হওন
- ৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
- ৩৪শ অধ্যায় - উচ্চ রব (ঘোষণা)
- ৩৫শ অধ্যায় - তৃতীয় বার্তাটির সমাপ্তি
- ৩৬শ অধ্যায় - যাকোবের সঙ্কট-সময়
- ৩৭শ অধ্যায় - ধার্মিকগণের উদ্ধার
- ৩৮শ অধ্যায় - সাধুগণের পুরস্কার
- ৩৯শ অধ্যায় - পৃথিবী জনশূন্য হয়
- ৪০শ অধ্যায় - দ্বিতীয় পুনঃউত্থান
- ৪১শ অধ্যায় - দ্বিতীয় মৃত্যু
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
আমি দেখি যে তাঁর দূতকে ঈশ্বর প্রেরণ করেন সক্রিয় হতে একজন কৃষকের হৃদয়ে যিনি বাইবেল বিশ্বাস করেন নি, ও তাকে ভাববানী অন্বেষণ করতে চালিত করেন। ঈশ্বরের দূত বারংবার সেই মনোনীত ব্যক্তিকে পরিদর্শন করেন ও তার মনকে নিয়ন্ত্রিত করেন, ও তার বোধশক্তিকে সেই ভাববানী সমূহের প্রতি উন্মুক্ত করেন যা সদাই ঈশ্বরের লোকদের কাছে রহস্যময় থেকে এসেছিল। সত্যের শৃঙ্খলের আর বস্তু তার কাছে দেয়া হয়, আর তিনি আংটার পর আংটা অন্বেষণ করতে চালিত হন, যাবৎ না তিনি ঈশ্বরের বাক্যের ওপরে বিস্ময় ও শ্রদ্ধাভক্তির সঙ্গে তাকান। সেখানে তিনি সত্যের এক সিদ্ধ শৃঙ্খল দেখেন। সেই বাক্য যাকে তিনি অপ্রত্যাদিষ্ট বলে বিবেচনা করেছিলেন, এক্ষণে তার দৃষ্টিতে সৌন্দর্য ও মহিমা নিয়ে উন্মুক্ত হয়। তিনি দেখেন যে শাস্ত্রের একটি অংশ অপরটির ব্যাখ্যা করে, আর যখন একটি অংশ তার বোধশক্তিতে লুক্কায়িত ছিল, বাক্যের আরেক অংশে তিনি তা দেখতে পান যা সেটিকে ব্যাখ্যা করে। ঈশ্বরের বাক্যকে তিনি আনন্দের গভীরতম মর্যাদা ও শ্রদ্ধা-ভক্তিমিশ্ৰিত ভয়ের সঙ্গে বিবেচনা করেন।GCBen 51.1
যেমন তিনি ভাব-বাণীসমূহ ধরে অনুসরণ করেন, তিনি দেখেন যে পৃথিবীর নিবাসীগণ জগতের ইতিহাসের শেষের ঘটনাবলীতে বাস করছিল, আর তারা তা জানতো না। তিনি মন্ডলীসমূহের নীতিহীনতার প্রতি তাকান, আর দেখেন যে তাদের অনুরাগ যীশুর কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়, ও জগতের ওপরে স্থাপন করা হয়, আর যে তারা স্বর্গ থেকে যে সম্মান আসে তার পরিবর্তে জাগতিক সম্মানের খোঁজ করছে। স্বর্গে ধন-সঞ্চয় করার পরিবর্তে জাগতিক ঐশ্বর্যের জন্যে উচ্চাকাঙ্খী। কপটতা, অজ্ঞতা ও মৃত্যু তিনি সর্বত্র দেখতে পান। আপনার মাঝে তার আত্মা উত্তেজিত হয়। এলিয়ের অনুসরণ করতে ইলীশায় যেমন তার বলদ ও তার ক্ষেত্র ত্যাগ করতে আহূত হন, তার জমি ত্যাগ করতে ঈশ্বর তাকে আহ্বান করেন। কম্পিত কলেবরে উইলিয়াম মিলার লোকদের কাছে ঈশ্বরের রাজ্যের দুজ্ঞেয় বিষয়গুলি অনাবৃত করতে শুরু করেন। প্রতিটি প্রচেষ্টার সঙ্গে তিনি সামৰ্থ লাভ করেন। লোকদেরকে তিনি ভাববানীসমূহ ধরে খৃষ্টের দ্বিতীয় আগমনের কাছে নিয়ে যান। যেমন যোহন অবগাহক খৃষ্টের প্রথম আগমন ঘোষণা করেন, ও তাঁর আগমনের জন্যে পথ প্রস্তুত করেন, তেমনি উইলিয়াম মিলারও এবং যারা তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল, ঈশ্বরের পুত্রের দ্বিতীয় আগমন ঘোষণা করেন।GCBen 51.2
আমাকে ফিরে শিষ্যদের সময়ে নিয়ে যাওয়া হয় ও প্রিয় শিষ্য যোহনকে দেখানো হয়, যে সম্পাদন তার জন্যে ঈশ্বরের এক বিশেষ কাজছিল। শয়তান এই কাজটি বাধা দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল আর যোহনকে বিনষ্ট করতে সে তার দাসদেরকে চালিত করে চলে। তবে ঈশ্বর তাঁর দূতকে প্রেরণ করে ও অদ্ভুতভাবে তাকে সংরক্ষণ করেন। যারা ঈশ্বরের সেই মহান ক্ষমতা স্বচক্ষে দেখে যা যোহনের উদ্ধারে প্রকাশিত হয়, তাদের সবাই বিস্মিত হয়। আর অনেকেই বিশ্বাসসিদ্ধ হয় যে ঈশ্বর তার সঙ্গে ছিলেন, এবং যে যীশুর সম্পর্কে যে সাক্ষ্য তিনি বহন করেন তা সঠিক ছিল। যারা তাকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করে তারা তার জীবন নিতে আবার চেষ্টা করতে শঙ্কিত হয়, আর তার যীশুর জন্যে কষ্টভোগ করা সহ্য করতে তাকে দেয়া হয়। তার শত্রুদের দ্বারা তিনি মিছামিছি অভিযুক্ত হন, ও দ্রুত এক নির্জন দ্বীপে নিৰ্বাসিত হন, যেখানে প্রভু তার কাছে সেই বিষয়গুলি যা পৃথিবীর ওপরে ঘটবে, এবং সমাপ্তি পর্যন্ত মন্ডলীর সেই দশা প্রকাশ করতে তার দূতকে প্রেরণ করেন। যা হচ্ছে তার বিপথগামীতা গুলি ও সেই স্থান যা মন্ডলী দখল করবে যদি সে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে ও অবশেষে জয়ী হয়। স্বর্গ থেকে দূত প্রতাপে আগমন করেন। তার মুখমন্ডল স্বর্গের চমৎকার মহিমার সাথে উজ্বল হয়। যোহনের কাছে তিনি ঈশ্বরের মন্ডলীর গূঢ় ও রোমাঞ্চকর স্বার্থের (হিতের) ঘটনাবলি প্রকাশ করেন, ও তার সাক্ষাতে সেই বিপদসঙ্কুল সংঘর্ষগুলি আনেন যা তাদেরকে সহ্য করতে হবে। যোহন দেখেন তারা অগ্নিবৎ পরীক্ষা-প্রলোভনের মধ্যে দিয়ে যায়, আর শুভ্র ও পরীক্ষিত হয়, আর, অবশেষে, সফলকাম বিজয়ী হয়, গৌরবের সঙ্গে ঈশ্বরের রাজ্যে রক্ষা পায়। দূতের মুখমন্ডল আনন্দে সমুজ্বল হয়ে ওঠে ও অতিশয় গৌরবময় হয়, যেমন তিনি ঈশ্বরের মন্ডলীর চূড়ান্ত সাফল্য যোহনকে দেখান। যোহন অত্যন্ত আনন্দিত হন। যেমন তিনি মন্ডলীর অন্তিম মুক্তি দেখেন, আর যেমন তিনি দৃশ্যটির মহিমায় অভিভূত হন, ভক্তি ও শ্রদ্ধামিশ্রিত ভয় নিয়ে তাকে ভৎসনা করতে তিনি দূতের পায়ে পতিত হন। দূত তৎক্ষনাৎ তাকে তোলেন, আর মৃদুভাবে এই বলে তাকে ভৎসনা করেন, দেখিও এমন কৰ্ম করিও না। আমি তোমার সহদাস এবং তোমার যে ভ্রাতৃগণ যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে তাহাদেরও সহদাস। ঈশ্বরেরই ভৎসনা কর কেননা যীশুর যে সাক্ষ্য, তাহাই ভাববানীর আত্মা। দূত তখন যোহনকে তার সকল প্রভা ও অতিশয় উজ্জ্বল মহিমা নিয়ে স্বর্গীয় নগরটি দেখান। নগরীর মহিমা নিয়ে যোহন অতিশয় আনন্দিত ও অভিভূত হন। দূতের কাছ থেকে তার পূর্বেকার ভৎসনা তিনি কিছুমনে নেন নি, কিন্তু আবার সেই দূতের পদযুগলের সাক্ষাতে ভৎসনা করতে পতিত হন যিনি আবার তাকে মৃদুভাবে ভৎসনা করেন, দেখিও এমন কৰ্ম্ম করিও না, আমি তোমার সহদাস, এবং তোমার ভ্রাতা ভাববদিগণের ও এই গ্রন্থে লিখিত বচন পালনকারিগণের দাস ঈশ্বরেরই ভৎসনা কর।GCBen 51.3
প্রচারকেরা ও লোকেরা রহস্যময় বলে “প্রকাশিত বাক্য” পুস্তকের ওপরে তাকিয়েছে, এবং পবিত্ৰ শাস্ত্ৰকলাপের অন্যান্য অংশগুলির চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বলে দৃষ্টি দিয়েছে। কিন্তু আমি দেখি যে এই পুস্তকখানি বাস্তবিকই এক প্রত্যাদেশ তাদের সম্বন্ধে এক বিশেষ উপকারে প্রদত্ত হয়েছে যারা শেষের দিনগুলিতে বাস করবে, তাদের প্রকৃত স্থান, ও তাদের কর্তব্য নিরূপণ করায় তাদেরকে পথ-প্রদর্শন করতে দেয়া হয়েছে। ঈশ্বর উইলিয়াম মিলারের মনকে ভাববানীসমূহের মধ্যে চালিত করেন, ও প্রকাশিত বাক্য পুস্তকের ওপরে তাকে অদ্ভুত আলোক প্রদান করেন।GCBen 51.4
যদি দানিয়েলের দর্শনগুলি বোঝা যেত, লোকেরা যোহনের দর্শনগুলি আরো ভালভাবে বুঝতে পারতো। তবে সঠিক সময়ে ঈশ্বর মনোনীত দাসের ওপরে সক্রিয় হন, যিনি স্পষ্টতায় ও পবিত্র আত্মার ক্ষমতায় ভাব-বাণীসমূহ উন্মুক্ত করেন, এবং দানিয়েল ও যোহনের দর্শন গুলির, এবং বাইবেলের অন্যান্য অংশগুলির সামঞ্জস্য দেখান, ও লোকদের হৃদয়ের ওপরে পীড়াপীড়ি করে বাক্যের পবিত্ৰ, ভয়াবহ সতর্কীকরণগুলি মনুষ্য পুত্রের আগমনের জন্যে প্রস্তুত হতে লক্ষ্যবদ্ধ করেন। গভীর ও শ্রদ্ধামিশ্রিত বিশ্বাসসিদ্ধি তাদের মনে অবস্থিত করে যারা তাঁর কথা শ্রবণ করে, আর ধর্মপরিচারক ও লোকেরা, পাপীগণ ও সংশয়বাদীরা, বিচারে দাঁড়াতে এক প্রস্তুতির চেষ্টা করতে, প্রভুর পানে ফেরে।GCBen 51.5
তার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের দূতগণ উইলিয়াম মিলারের সঙ্গে থাকেন। তিনি দৃঢ় ও নির্ভীক ছিলেন। তার জিন্মায় ন্যস্ত বার্তাটি তিনি নিৰ্ভয়ে ঘোষণা করেন। দুষ্টতায় শায়িত এক জগৎ আর এক শীতল, জাগতিক মন্ডলী, তার উদ্যমকে কার্যে আহ্বান করতে যথেষ্ট ছিল, ও তাকে স্বেচ্ছায় কঠিন শ্ৰম, প্রয়োজনীয় জিনিষের অভাব ও দুঃখ-কষ্টভোগ সহ্য করতে চালিত করে। যদিও প্রকাশ্যে ঘোষিত খৃষ্টানগণ ও জগতের দ্বারা বিরুদ্ধাচারিত, এবং শয়তান ও তার দূতগণের দ্বারা বেষ্টিত, যেখানেই তিনি আমন্ত্রিত হন জনতাসমূহের কাছে অনন্তকালীন সুসমাচার প্রচার করতে, সেই আর ঘোষণাটি প্রকাশিত করতে তিনি ক্ষান্ত হন নি, ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাহাকে গৌরব প্রদান কর, কেননা তাঁহার বিচার সময় উপস্থিত।GCBen 52.1
______________________________________
১ রাজাবলি ১৯:১৬-২১( দানিয়েল ৭-১২ অধ্যায় ( প্রকাশিত বাক্য ১ অধ্যায়( ১৪:৭( ১৯:৮-১০( ২২:৬-১০( দেখুন।GCBen 52.2