৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
-
- পাঠকের উদ্দেশে
- মুখবন্ধ:
- ১ম অধ্যায় - শয়তানের পতন
- ২য় অধ্যায় - মানবের পতন
- ৩য় অধ্যায় - পরিত্রাণ পরিকল্পনা
- ৪র্থ অধ্যায় - খৃষ্টের প্রথম আগমন
- ৫ম অধ্যায় - খৃষ্টের পরিচর্যা কার্য
- ৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
- ৭ম অধ্যায় - খৃষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
- ৮ম অধ্যায় - খৃষ্টের বিচার
- ৯ম অধ্যায় - খৃষ্টের ক্রুশারোপ
- ১০ম অধ্যায় - খৃষ্টের পুনঃউত্থান
- ১১শ অধ্যায় - খৃষ্টের স্বর্গারোহণ
- ১২শ অধ্যায় - খৃষ্টের শিষ্যগণ
- ১৩শ অধ্যায় - স্তিফানের মৃত্যু
- ১৪শ অধ্যায় - শৌলের মনপরিবর্তন
- ১৫শ অধ্যায় - যিহূদীরা পৌলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়
- ১৬শ অধ্যায় - পৌল যিরূশালেম পরিদর্শন করেন
- ১৭শ অধ্যায় - মহা ধর্মভ্রষ্টতা
- ১৮শ অধ্যায় - অধৰ্ম্মের নিগূঢ়তত্ব
- ১৯শ অধ্যায় - দুর্দশায় অনন্ত জীবন নয়, মৃত্যু
- ২০ অধ্যায় - ধর্মসংস্কার
- ২১শ অধ্যায় - মন্ডলী ও জগৎ মিলিত হয়।
- ২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
- ২৩শ অধ্যায় - প্রথম দূতের বার্তা
- ২৪শ অধ্যায় - দ্বিতীয় দূতের বার্তা
- ২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
- ২৬শ অধ্যায় - আরেকটি দৃষ্টান্ত
- ২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
- ২৮শ অধ্যায় - তৃতীয় দূতের বার্তা
- ২৯শ অধ্যায় - এক দৃঢ় মঞ্চ
- ৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
- ৩১শ অধ্যায় - লোভ
- ৩২শ অধ্যায় - বিচলিত হওন
- ৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
- ৩৪শ অধ্যায় - উচ্চ রব (ঘোষণা)
- ৩৫শ অধ্যায় - তৃতীয় বার্তাটির সমাপ্তি
- ৩৬শ অধ্যায় - যাকোবের সঙ্কট-সময়
- ৩৭শ অধ্যায় - ধার্মিকগণের উদ্ধার
- ৩৮শ অধ্যায় - সাধুগণের পুরস্কার
- ৩৯শ অধ্যায় - পৃথিবী জনশূন্য হয়
- ৪০শ অধ্যায় - দ্বিতীয় পুনঃউত্থান
- ৪১শ অধ্যায় - দ্বিতীয় মৃত্যু
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
আমি দেখি যে রূপান্তরেতে শিষ্যদের বিশ্বাস প্রচুররূপে সবল হয়। ঈশ্বর যীশুর অনুগামীদেরকে জোরালো প্রমাণ দিতে ইচ্ছে করেন যে তিনি প্রতিজ্ঞাত মসীহ ছিলেন, যে তাদের নির্মম দুঃখ ও হতাশায় তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস নিক্ষেপ করা উচিত হবে না। রূপান্তরের ঘটনাকে তাঁর দুঃখভোগ ও মৃত্যুর সম্পর্কে যীশুর সঙ্গে কথাবার্তা করতে সদাপ্রভু মোশি ও এলয়কে প্রেরণ করেন। তাঁর পুত্রের সঙ্গে কথোপকথন করতে দূতগণকে মনোনয়ন করার পরিবর্তে ঈশ্বর তাদেরকে মনোনয়ন করেন জগতের দুঃখ-ক্লেশের সঙ্গে যাদের এক অভিজ্ঞতা ছিল। তাঁর অনুগামীদের অল্প কয়েক জনকে তাঁর সঙ্গে থাকতে ও ঐশ্বরিক প্রতাপের দ্বারা তাঁর চেহারা দীপ্ত হওয়া দেখতে, ও তাঁর বস্ত্র শুভ্র ও জ্বলজ্বল করা স্বচক্ষে দেখতে ও ভয়াবহ মহিমায়, ইনি আমার প্রিয় পুত্র, ইহার কথা শুন, বলতে ঈশ্বরের, কণ্ঠ শুনতে অনুমতি দেয়া হয়।GCBen 18.1
এলিয় ঈশ্বরের সঙ্গে বিচরণ করেন। তাঁর কার্যটি সুখকর ছিল না। ঈশ্বর তাঁর মাধ্যমে, পাপের ভৎসনা করেছিলেন। তিনি ঈশ্বরের একজন ভাববাদী ছিলেন, ও তাঁর জীবন রক্ষা করতে স্থান থেকে স্থানান্তরে পলায়ন করতে হয়েছিল। তাকে বন্য পশুর মত অনুসরণ করা হয় যাতে তারা তাকে বিনষ্ট করতে পারে। ঈশ্বর এলিয়কে রূপান্তরিত করেন, দূতগণ তাকে মহিমা ও সাফল্যের আনন্দে স্বর্গে বহন করে নিয়ে যান।GCBen 18.2
মোশি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি ঈশ্বরের সম্বন্ধে প্রচুর পরিমাণে সম্মানিত ছিলেন। তাঁর পূর্বে যারা জীবিত ছিলেন তাদের যে কোনো ব্যক্তির চেয়ে তিনি মহত্তর ছিলেন। কোনো ব্যক্তি যেমন এক বন্ধুর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলে ঈশ্বরের সঙ্গে তিনি কথা বলতে তেমনি বিশেষ সুযোগ প্রাপ্ত ছিলেন। পিতাকে আচ্ছাদিত করে রাখা উজ্জ্বল আলোক ও চমৎকার মহিমা তাকে দেখতে দেয়া হয়। মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভু ইস্রায়েল সন্তানগণকে মিস্রীয় দাসত্ব থেকে উদ্ধার করেন। ইস্রায়েল সন্তানদের জন্যে মোশি এক মধ্যস্থ ছিলেন। তিনি প্রায়শঃ তাদের ও ঈশ্বরের রোষের মাঝে দাঁড়ান। তাদের অবিশ্বাস, তাদের বচসা, ও নিদারুণ পাপরাশির জন্যে যখন ঈশ্বরের ক্রোধ প্রচুর পরিমাণে প্রজ্জ্বলিত হয়, তাদের জন্যে মোশির ভালবাসা পরীক্ষিত হয়। ঈশ্বর তাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে যদি তিনি ইস্রায়েলকে যেতে দেন, তাদের বিনষ্ট হতে দেন, তিনি তাঁর চেয়ে এক শক্তিশালী জাতি উৎপন্ন করবেন। তাঁর অকপট অনুনয়ের দ্বারা ইস্রায়েলের জন্যে তিনি তাঁর প্রেম দর্শান। তাঁর অত্যন্ত ক্লেশে তাঁর ভয়ানক ত্রোধ হতে ফিরতেও ইস্রায়েলকে ক্ষমা করতে, নতুবা তাঁর পুস্তক থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলতে ঈশ্বরের কাছে তিনি প্রার্থনা জানান।GCBen 18.3
যখন ইস্রায়েল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ও মোশির বিরুদ্ধে বচসা করে, কারণ তাদের কোনো জল ছিল না, তাদেরকে ও তাদের সন্তান দেরকে মেরে ফেলতে তিনি তাদেরকে বের করে নিয়ে আসেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। ঈশ্বর তাদের বচসা শুনতে পান, ও পর্বতে আঘাত করতে মোশীকে আদেশ করেন, যাতে ইস্রায়েল সন্তানেরা জল পেতে পারে। মোশি ক্রোধে পর্বতে আঘাত করেন, ও আপনার উদ্দেশে গৌরব গ্রহণ করেন। অবিরত একগুঁয়েমি ও বচসা তাঁর তীব্রতম দুঃখ ঘটায় আর ক্ষণেকের জন্যে তিনি ভুলে যান তাদের সঙ্গে ঈশ্বর কতখানি সহ্য করেছিলেন, আর যে, তাদের বচসা মোশির বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ছিল। তিনি শুধু আপনার বিষয়ে ভাবেন, কেমন গভীরভাবে তাঁর সঙ্গে অন্যায় ব্যবহার করা হয়, আর তাদের জন্যে তাঁর গভীর ভালবাসার জন্যে প্রতিদানে কত সামান্য কৃতজ্ঞতা তারা প্রকাশ করে।GCBen 18.4
যখন মোশি দুখানি প্রস্তর ফলক নিয়ে পর্বত থেকে নেমে আসেন, দেখেন ইস্রায়েল স্বর্ণ গোবৎসের পূজো করছে, তাঁর ক্ৰোধ প্রচুররূপে প্রজ্জ্বলিত হয়, আর তিনি প্রস্তর ফলকগুলি নীচে নিক্ষেপ করেন, ও সেগুলি ভেঙ্গে ফেলেন। আমি দেখি যে মোশি এতে পাপ করেন নি। তিনি ঈশ্বরের নিমিত্তে রুষ্ট হন, তাঁর গৌরবের জন্য শঙ্কিত হন। কিন্তু যখন তিনি হৃদয়ের স্বাভাবিক অনুভূতিসমূহের প্রতি বশীভূত হন, ও আপনার উদ্দেশে সেই গৌরব নেন, যা ঈশ্বরের প্রাপ্য ছিল, তিনি পাপ করেন, আর সেই পাপের জন্যে প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করতে ঈশ্বর তাকে অনুমতি দেবেন না।GCBen 18.5
দূতগণের সাক্ষাতে মোশিকে দোষারোপ করার উদ্দেশে শয়তান কিছু একটা খুঁজে পাবার চেষ্টা করে আসছিল। শয়তান এই মর্মে জয়ী হয় যে ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করতে সে তাকে ঘটায়। আর সে উল্লসিত হয় আর দূতগণকে বলে যে যখন জগতের ত্রাণকর্তা মনুষ্যকে উদ্ধার করতে আসবেন সে তাকে পরাজিত করতে পারবে। এই সত্যলঙ্ঘনের জন্য মোশি শয়তানের সেই ক্ষমতাঁর অধীনে আসেন যা হচ্ছে মৃত্যুর চরম ক্ষমতা। তিনি যদি অটল থাকতেন, আপনার উদ্দেশে গৌরব নিয়ে পাপনা করতেন, সদাপ্রভু তাকে প্রতিজ্ঞাত দেশে আনতেন, ও মৃত্যু না দেখে তাকে রূপান্তরিত করতেন। আমি দেখি যে মোশি মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেন। তবে মীখায়েল নেমে আসেন ও তাঁর দ্বারা পচন ক্ষয় দেখার পূর্বে তাকে জীবন প্রদান করেন, তাঁর বলে শয়তান দেহখানি দাবি করে। কিন্তু মীখায়েল মোশিকে পুনঃউত্থিত করেন, ও তাকে স্বর্গে নিয়ে যান। দিয়াবল তাঁর দেহ ধরে রাখার চেষ্টা করে, ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তিক্তভাবে গালি-গালাজের ভাষা প্রয়োগ করে। তাঁর কাছ থেকে তাঁর শিকার নিয়ে নেবার জন্যে তাকে অন্যায্য বলে দোষারোপ করে। কিন্তু মীখায়েল দিয়াবলকে দোষারোপ করেন না, যদিও সে ছিল তাঁর প্রলোভন ও ক্ষমতা যার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবক পতিত হয়েছিলেন। খৃষ্ট মৃদুভাবে এই বলে তাকে পিতার উদ্দেশ্যে বিবেচনার জন্য সমর্পণ করেন, সদাপ্ৰভু তোমাকে ভৎসনা করেন।GCBen 18.6
যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে বলেন যে তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের কেউ কেউ মৃত্যুর আস্বাদন করবে না যাবৎ তারা ঈশ্বরের রাজ্যকে কর্তৃত্বের সঙ্গে দেখবে। রূপান্তরের সময়েতে এই প্রতিশ্রুতিটি পূর্ণ হয়। যীশুর মুখমন্ডলের গঠন বদলে যায়, ও সূর্যের ন্যায় প্রকাশিত হয়। তাঁর বস্ত্র শুভ্র, ও জ্বলজ্বল করছিল। মোশি বর্তমান ছিলেন, ও তাদেরকে প্রতিনিধিত্ব করেন যারা যীশুর দ্বিতীয় আর্বিভাবেতে মৃত গণের মধ্য হতে উঠবেন। আর এলিয় যিনি মৃত্যু না দেখে রূপান্তরিত হন, তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা খৃষ্টের দ্বিতীয় আগমনের সময়ে অমরত্বে পরিবর্তিত হবে, ও মৃত্যু না দেখে স্বর্গের উদ্দেশে রূপান্তরিত হবে। শিষ্যরা ভয় ও আতঙ্ক ও বিস্ময়ে যীশুর চমৎকার মহিমা দেখেন ও যে মেঘ তাদেরকে ছায়া করে রেখেছিল তা দেখেন ও ভীষণ মহিমায় ঈশ্বরের কণ্ঠকে বলতে শোনেন, ইনি আমার প্ৰিয় পুত্ৰ, হঁহার কথা শুন।GCBen 19.1
______________________________________
যাত্ৰা পুস্তক ৩২ অধ্যায়( গণনা পুস্তক ২০: ৭-১২ দ্বিতীয় বিবরণ ৩৪ : ৫(২ রাজাবলি ২: ১১ মার্ক ৯ অধ্যায় ( যিহূদা ৯ দেখুন।GCBen 19.2