২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
-
- পাঠকের উদ্দেশে
- মুখবন্ধ:
- ১ম অধ্যায় - শয়তানের পতন
- ২য় অধ্যায় - মানবের পতন
- ৩য় অধ্যায় - পরিত্রাণ পরিকল্পনা
- ৪র্থ অধ্যায় - খৃষ্টের প্রথম আগমন
- ৫ম অধ্যায় - খৃষ্টের পরিচর্যা কার্য
- ৬ষ্ঠ অধ্যায় - রূপান্তর
- ৭ম অধ্যায় - খৃষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
- ৮ম অধ্যায় - খৃষ্টের বিচার
- ৯ম অধ্যায় - খৃষ্টের ক্রুশারোপ
- ১০ম অধ্যায় - খৃষ্টের পুনঃউত্থান
- ১১শ অধ্যায় - খৃষ্টের স্বর্গারোহণ
- ১২শ অধ্যায় - খৃষ্টের শিষ্যগণ
- ১৩শ অধ্যায় - স্তিফানের মৃত্যু
- ১৪শ অধ্যায় - শৌলের মনপরিবর্তন
- ১৫শ অধ্যায় - যিহূদীরা পৌলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়
- ১৬শ অধ্যায় - পৌল যিরূশালেম পরিদর্শন করেন
- ১৭শ অধ্যায় - মহা ধর্মভ্রষ্টতা
- ১৮শ অধ্যায় - অধৰ্ম্মের নিগূঢ়তত্ব
- ১৯শ অধ্যায় - দুর্দশায় অনন্ত জীবন নয়, মৃত্যু
- ২০ অধ্যায় - ধর্মসংস্কার
- ২১শ অধ্যায় - মন্ডলী ও জগৎ মিলিত হয়।
- ২২শ অধ্যায় - উইলিয়াম মিলার
- ২৩শ অধ্যায় - প্রথম দূতের বার্তা
- ২৪শ অধ্যায় - দ্বিতীয় দূতের বার্তা
- ২৫শ অধ্যায় - আগমনের আন্দোলন চিত্রিত হয়
- ২৬শ অধ্যায় - আরেকটি দৃষ্টান্ত
- ২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
- ২৮শ অধ্যায় - তৃতীয় দূতের বার্তা
- ২৯শ অধ্যায় - এক দৃঢ় মঞ্চ
- ৩০শ অধ্যায় - প্রেততত্ব
- ৩১শ অধ্যায় - লোভ
- ৩২শ অধ্যায় - বিচলিত হওন
- ৩৩শ অধ্যায় - বাবিলের পাপরাশি
- ৩৪শ অধ্যায় - উচ্চ রব (ঘোষণা)
- ৩৫শ অধ্যায় - তৃতীয় বার্তাটির সমাপ্তি
- ৩৬শ অধ্যায় - যাকোবের সঙ্কট-সময়
- ৩৭শ অধ্যায় - ধার্মিকগণের উদ্ধার
- ৩৮শ অধ্যায় - সাধুগণের পুরস্কার
- ৩৯শ অধ্যায় - পৃথিবী জনশূন্য হয়
- ৪০শ অধ্যায় - দ্বিতীয় পুনঃউত্থান
- ৪১শ অধ্যায় - দ্বিতীয় মৃত্যু
Search Results
- Results
- Related
- Featured
- Weighted Relevancy
- Content Sequence
- Relevancy
- Earliest First
- Latest First
- Exact Match First, Root Words Second
- Exact word match
- Root word match
- EGW Collections
- All collections
- Lifetime Works (1845-1917)
- Compilations (1918-present)
- Adventist Pioneer Library
- My Bible
- Dictionary
- Reference
- Short
- Long
- Paragraph
No results.
EGW Extras
Directory
২৭শ অধ্যায় - ধর্মধাম
তারপরে আমাকে দেখানো হয় ঈশ্বরের লোকদের দুঃখজনক হতাশা। প্রত্যাশিত সময়ে তারা যীশুকে দেখতে পায় নি। তারা কোনো প্রমাণ দেখতে পায়নি কেন ভাববানী-সম্পকির্ত সময় শেষ হয় নি। একজন দূত বলেন, ঈশ্বরের বাক্য কি বিফল হয়েছে? ঈশ্বর কি তাঁর প্রতিশ্রুতিসমূহ পূর্ণ করতে বিফল হয়েছেন? না তিনি যা প্রতিজ্ঞা করেন তাঁর সবই তিনি পূর্ণ করেছেন। যীশু উত্থিত হয়েছেন, এবং স্বর্গীয় ধর্মধামের পবিত্র স্থানের দ্বার বন্ধ করেছেন, ও মহাপবিত্র স্থানের পানে এক দ্বার খুলেছেন, আর ধর্মধাম শুচি করতে প্রবেশ করেছেন। মনুষ্য ভুল করেছে কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষ থেকে কোনো বিফলতা হয় নি। সবই সম্পাদিত হয় যা ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেন কিন্তু লোকেরা এটা বিশ্বাস করে পৃথিবীর উদ্দেশে তাকায়।তাকে সেই ধর্মধাম মনে করে যা ভাববানী-সম্বন্ধীয় সময়কালের শেষে শুচিকৃত হবে। মানবের প্রত্যাশাসমূহ বিফল হয়েছে,তবে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি একেবারেই নয়। হতাশ ব্যক্তিদেরকে, সেই মহাপবিত্র স্থানের মধ্যে তাদের মনকে চালিত করতে তাঁর দূতগণকে প্রেরণ করেন যেখানে ধর্মধাম শুচিকৃত করতে এবং ইস্রায়েলের জন্যে এক বিশেষ প্ৰায়শ্চিত্ত করতে তিনি গিয়েছিলেন। যীশু দূতগণকে বলেন যে যারা তাকে দেখতে পায় সেই কার্যটি বুঝতে পারবে যা তাঁকে সম্পাদন করতে হবে। আমি দেখি যে যখন যীশু মহাপবিত্র স্থানে ছিলেন তিনি নতুন যিরূশালেমের সঙ্গে বিবাহিত হবেন, ও মহাপবিত্র স্থানে তাঁর কার্য সম্পাদিত হবার পরে, তিনি রাজকীয় ক্ষমতায় পৃথিবীর অবতরণ করবেন ও অমূল্য ব্যক্তিগণকে আপনার কাছে নেবেন যারা ধৈর্যের সঙ্গে তাঁর প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষা করেছিল।GCBen 60.1
আমাকে তখন দেখানো হয় স্বর্গে কি ঘটে যেমন ১৮৪৪ সালে ভাববানী-সম্বন্ধীয় সময়কাল শেষ হয়। আমি দেখি যে পবিত্র স্থানে যেমন যীশুর পরিচর্যাকার্য শেষ হয়, আর তিনি সেই করেদ্বার বন্ধ করেন, এক মহা অন্ধকার তাদের ওপরে বসে যারা খৃষ্টের আগমনের বার্তা শোনে, ও প্রত্যাখ্যান করে, আর তারা তাকে দৃষ্টিবর্হিভূত করে। যীশু তখন আপনাকে বহুমূল্য বস্ত্রে সজ্জিত করেন। তাঁর বস্ত্রের নীচেকার চারিদিকে একটি কিঙ্কিণী (ঘন্টা) ও একটি দাড়িম্ব (ডালিম), একটি ঘন্টা ও একটি দাড়িম্ব ছিল। তাঁর স্কন্ধ থেকে ঝোলানো ছিল বুননি করা এক বুকপাটা। আর যেমন তিনি চলেন, তা হীরকের ন্যায় ঝলমল করে, সেই অক্ষরগুলিকে প্রশংসিত করে যা দেখায় বুকপাটায় লেখা, বা খোদিত নামসমূহ। তাঁর মস্তকের ওপরে কিছু নিয়ে যা কোনো মুকুটের ন্যায় দেখায়, তিনি সম্পূর্ণভাবে সজ্জিত হলে পরে, দূতগণ তাকে বেষ্টন করেন, আর এক অগ্নিবৎ রথে তিনি দ্বিতীয় যবনিকার (পর্দা) মধ্যে পার হয়ে যান। আমাকে তখন স্বর্গীয় ধর্মধামের দুটি কক্ষ লক্ষ্য করতে নির্দেশ দেয়া হয়। পদা বা দ্বার খোলা হয় আমাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। প্রথম কক্ষে আমি দেখি দীপবৃক্ষ সাতটি প্রদীপ সহ, যা মূল্যবান ও গৌরবান্বিত দেখায় মেজও যার ওপরে ছিল দর্শন-বটী আর ধূপবেদি, ও ধূপদানি। এই কক্ষের সকল পাত্রাদি নির্মল সূর্যের ন্যায় দেখায়, ও তাঁর প্রতিমূর্তি প্রতিফলিত করে যিনি সে স্থানে প্রবেশ করেন। যে যবনিকা দুটি কক্ষকে পৃথক করে গৌরবময় দেখায়, তা বিভিন্ন বর্ণের ও দ্রব্যের ছিল, এক সুন্দর মুড়া নিয়ে, তাঁর ওপরে স্বর্ণের মূৰ্তিসমূহ খচিত হয়ে, যা দূতগণকে বর্ণিত করে। যবনিকা তোলা হয়, আর আমি দ্বিতীয় কক্ষের মধ্যে দৃষ্টি ফেলি। আমি সেখানে একটি সিন্দুক দেখি যার বিশুদ্ধতম স্বর্ণের বাহ্যাকৃতি ছিল। সিন্দুকের ওপরে এক কিনারা রূপে, মুকুটসমূহ বর্ণনা করা অতি সুন্দর কার্য ছিল। তা ছিল বিশুদ্ধ স্বর্ণের। সিন্দুকের মধ্যে ছিল দশ আজ্ঞা সম্বলিত প্রস্তর ফলকদ্বয়। সিন্দুকের প্রত্যেক প্রান্তে এক সুন্দর করূব ছিল তাদের পত্রগুলি তাঁর ওপরে বিস্তারিত অবস্থায়। তাদের পত্রগুলি উচ্চে ওঠানো ছিল, ও যীশুর মস্তকের ওপরে পরস্পরকে স্পর্শ করে, যেমন তিনি সিন্দুকের পাশে দাঁড়ান। তাদের চেহারা পরস্পরের দিকে ফেরানো ছিল, আর তারা নিম্নমুখে সিন্দুকের দিকে তাকিয়ে, সমস্ত দূতীয় বাহিনীকে বর্ণনা করে যারা মনোযোগের সঙ্গে ঈশ্বরের ব্যবস্থার পানে তাকান। কারূবদের মাঝে ছিল এক স্বৰ্ণময় ধূপদানি। আর যেমন বিশ্বাসে সাধুগণের প্রার্থনাসমূহ যীশুর সমীপ পর্যন্ত আসে, আর তিনি সেগুলিকে তাঁর পিতার কাছে অর্পণ করেন, এক মিষ্ট সুগন্ধ ধূপ থেকে ওঠে আসে। তা অতি সুন্দর ধোঁয়ার রংসমূহের ন্যায় দেখায়। সেই স্থানের ওপরে যেখানে যীশু দাঁড়িয়ে, সিন্দুকের পাশে, আমি দেখি এক অতিশয় উজ্জ্বল মহিমা যার ওপরে আমি তাকাতে পারি না। তা এক সিংহাসনের মত দেখায় যেখানে ঈশ্বর বাস করেন। যেমন ধূপ পিতার কাছে ওপর দিকে উখিত হয়, সেই চমৎকার মহিমা পিতার কাছ থেকে যীশুর কাছে আসে, আর যীশুর কাছ থেকে তা তাদের ওপরে পতিত হয়, যাদের প্রার্থণাসমূহ মিষ্ট ধূপে উঠে আসে। যথেষ্ট প্রাচুর্যে আলোক ও মহিমা যীশুর ওপরে ঢালা হয়, আর পাপাবরণকে ছায়ায় ঢাকে, আর মহিমার শ্ৰেণী মন্দির পূর্ণ করে। আমি মহিমার ওপরে দীর্ঘক্ষণ তাকাতে পারি না। কোনো ভাষা তা বর্ণনা করতে পারে না। আমি বিহ্বল হই, ও দৃশ্যটির মহিমা ও প্রতাপ থেকে দৃষ্টি ফেরাই।GCBen 60.2
পৃথিবীর ওপরে দুই কক্ষ সম্বলিত এক ধর্মধাম আমাকে দেখানো হয়। তা স্বর্গেরটির অনুরূপ ছিল। আমাকে বলা হয় যে তা পাৰ্থিব ধর্মধাম, স্বর্গে যেটি তাঁর এক আকৃতি। পার্থিব ধর্মধামের প্রথম কক্ষের দ্রব্য ছিল তাই স্বৰ্গীয়টির প্রথম কক্ষে যা ছিল। পর্দা ওঠানো হয়, আর আমি পবিত্র-সকলের পবিত্রের ভেতরে (মহাপবিত্র স্থানে) তাকাই, যে দ্রব্যদি ছিল একই প্রকার যেমন স্বর্গীয় ধর্মধামে মহাপবিত্র স্থানে ছিল। পার্থিবটির উভয় কক্ষে যাজকেরা পরিচর্যা করে। প্রথম কক্ষে সে বছরের প্রত্যেক দিন পরিচর্যা করে, এবং মহাপবিত্র (স্থানে) সে শুধু বছরে একবার, সেটিকে সেখানে স্থানান্তর করা পাপসমূহ থেকে শুচি করতে, প্রবেশ করে। আমি দেখি যে স্বর্গীয় ধর্মধামের উভয় কক্ষে যীশু পরিচর্যা করেন। তাঁর আপন রক্ত-নৈবেদ্য দেবার দ্বারা তিনি স্বর্গীয় ধর্মধামে প্রবেশ করেন। পার্থিব যাজকেরা মৃত্যু দ্বারা অপসারিত হয়, তাই তারা দীর্ঘকাল স্থায়ী হতে পারে না। কিন্তু যীশু, আমি দেখি, এক চিরকালের যাজক ছিলেন। পার্থিব ধর্মধামে আনিত বলিদান ও নৈবেদ্যসমূহের মাধ্যমে, ইস্রায়েল সন্তানেরা এক ত্রাণকর্তার ভাবী গুণের ওপরে অবলম্বন রাখে। আর ঈশ্বরের বিজ্ঞতায় এই কার্যটির সুক্ষ্ম বিষয়গুলি আমাদেরকে দেয়া হয় যাতে আমরা সে সবের দিকে ফিরে তাকাতে পারি, এবং স্বর্গীয় ধর্মধামে যীশুর কার্য বুঝতে পারি।GCBen 60.3
ক্রশারোপণেতে, যেমন যীশু কালভেরীর ওপরে মরেন তিনি ঘোষণা করেন, সমাপ্ত হইল, আর মন্দিরের তিরস্করিণী দুভাগে ছিড়ে যায়, উপর থেকে নীচে পর্যন্ত। এটা এই দেখাবার জন্যে ছিল যে পার্থিব ধর্মধামের পরিচর্যাকার্য চিরকালের মত শেষ হয়, এবং যে ঈশ্বর, তাদের বলিদানাদি গ্রহণ করতে, তাদের পার্থিব ধর্মধামে তাদের সঙ্গে আর মিলিত হবেন না। যীশুর রক্ত তখন পাতিত হয়, যা স্বর্গীয় ধর্মধামে নিজেরই দ্বারা পরিচর্যা প্রাপ্ত হবে। পার্থিব ধর্মধামে যেমন পুরোহিতেরা ধর্মধাম শুচি করতে বছরে একবার মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করে, দানিয়েল ৮ অধ্যায়ের ২৩০০ দিনের শেষে, ১৮৪৪ সালে, তাঁর মধ্যস্থতার দ্বারা যারা উপকৃত হবে তাদের সবাকার জন্যে এক অন্তিম প্রায়শ্চিত্ত করতে, ও ধর্মধাম শুচি করতে, যীশু স্বর্গীয়টির মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন।GCBen 61.1
______________________________________
যাত্রা পুস্তক ২৫-২৮ অধ্যায়( লেবীয় ১৬ অধ্যায়( ২ রাজাবলি ২:১১, দানিয়েল ৮:১৪(মথি ২৭:৫০,৫১( ইব্রীয় ৯ অধ্যায় প্রকাশিত বাক্য ২১ অধ্যায় দেখুন।GCBen 61.2