৩—সাফল্যের গর্ব
যখন শলোমন স্বর্গের ব্যবস্থা উচ্চে তুলে ধরেছিলেন, তখন ঈশ্বর তার সহবর্তী ছিলেন, এবং তখন তাকে পক্ষপাতশূন্য ভাবে এবং দয়ায় ইস্রায়েলের ওপরে শাসন কাজ পরিচালনা করার জন্য জ্ঞান প্রদান করা হয়েছিল প্রথমতঃ যখন ঐশ্বর্য এবং পার্থিব সম্মান তার কাছে এল, তিনি নম্র রয়ে গেলেন, এবং তার প্রভাব ব্যাপকতর ভাবে ছড়িয়ে পড়ল। আর [ফেরা] নদী অবধি পলেষ্টীদের দেশ ও মিসরের সীমা পর্যন্ত যাবতীয় রাজ্যের ওপরে শলোমন কর্তৃত্ব করতেন।” “তাঁর চারদিকে সমস্ত অঞ্চলে শান্তি ছিল। শলোমনের সমস্ত অধিকার সময়ে... যিহূদা ও ইস্রায়েল প্রত্যেক জন আপন আপন দ্রাক্ষালতার ও আপন আপন ডুমুর গাছের নীচে নির্ভয়ে বাস করত।” ১ রাজাবলি ৪:২১,২৪,২৫। PKBeng 38.1
কিন্তু কোন এক প্রাতঃকালের মহান প্রতিজ্ঞার পরে তার জীবন ধর্মদ্রোহিতা দ্বারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হল। ইতিহাস বিষণ্নতা বিষয় লিপিবদ্ধ করে যে, তিনি, যাকে যিদীদীয় নাম দেয়া হয়েছিল,- “সদাপভুর প্রিয়” (২ শমূয়েল ১২:২৫), —যিনি ঈশ্বর কর্তৃক এত অসাধারণ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দ্বারা সমাদৃত হলেন যে তার জ্ঞান এবং তার ন্যায় পরায়ণতা তার জন্য বিশ্ব-খ্যাত অর্জন করল; যিনি ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রতি সমাদর আরোপ করার জন্য অন্যান্য লোকদেরকে পরিচালিত করেছিলেন, তিনি যিহোবার আরাধনা পরিত্যাগ করে পৌত্তলিকদের প্রতিমার সামনে উবুড় হলেন । PKBeng 38.2
শলোমন সিংহাসনে আরোহণ করার শতশত বছর আগে, সদাপ্রভু সংকটকাল দেখতে পেলেন যা, যারা ইস্রায়েলের শাসকরূপে মনোনীত হবেন, তাদেরকে আক্রমণ করবে, তাদের পরিচালনার জন্য মোশিকে নির্দেশ দিলেন। এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, যে ব্যক্তি ইস্রায়েলের সিংহাসনে উপবেশন করবে সে আপনার জন্য একখানি পুস্তকে লেবীয় যাজকদের সামনে এই ব্যবস্থার অনুলিপি লিখবে।” “তা তার কাছে থাকবে” সদাপ্রভু বললেন, “এবং সে যাবজ্জীবন তা পাঠ করবে; যে সে আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করতে ও এই ব্যবস্থার সমস্ত বাক্য ও এসকল বিধি পালন করতে শেখ; যেন আপন ভাইদের ওপরে তার চিত্ত উদ্ধত না হয়, এবং সে আজ্ঞার দক্ষিণে কি বামে না ফিরে; এরূপে যেন ইস্রায়েলের মধ্যে তার ও তার সন্তানদের রাজত্ব দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।” দ্বিতীয় বিবরণ ১৭:১৮-২০। PKBeng 38.3
এই নির্দেশের সাথে সদাপ্রভু সুনির্দিষ্টরূপে একজন ব্যক্তিকে সতর্ক করে দিলেন যে হয় ত অভিষিক্ত রাজা হবে, কিন্তু “সে অনেক স্ত্রী গ্রহণ করবে না, পাছে তার হৃদয় বিপথগামী হয়; এবং সে আপনার জন্য রৌপ্য কিম্বা স্বর্ণ অতিশয় বৃদ্ধি করবে না।” PKBeng 39.1
শলোমন এসকল সতর্কবাণী জানতেন এবং একবার তিনি ঐ সকলের প্রতি মনোযোগ প্রদান করেছিলেন । তার সর্বশ্রেষ্ঠ ইচ্ছা ছিল; তিনি সীনয়ে প্রদত্ত ব্যবস্থা অনুসারে চলবেন এবং রাজ্য পরিচালনা করবেন। তার রাজ্য পরিচালনার ধরণ তার সময়ের জাতিদের প্রথার লক্ষণীয় বিপরীত ছিল- যে জাতিরা ঈশ্বরকে ভয় করত না এবং যাদের শাসনকর্তারা তাঁর পবিত্র ব্যবস্থা পদদলিত করেছিল। PKBeng 39.2
ইস্রায়েলের দক্ষিণে দিকের শক্তিশালী রাজ্যের সাথে তার সম্পর্ক জোরদার করার আশায় শলোমন নিষিদ্ধ ভূমিতে পদচারণা করার বিপজ্জনক ঝুঁকি নিলেন। সে তার আজ্ঞাবহতার পরিণতি জানতো; এবং শলোমনের শাসনামলের প্রাথমিক বছরগুলো রাজার জ্ঞান, হিতোসাধন, এবং ন্যায়পরায়ণতা হেতু বছরগুলো ছিল গৌরবময়- এরই মধ্যে শলোমন এমন প্রভাব আনয়ন করার চেষ্টা করলেন, যা নীতির প্রতি শলোমনের বিশ্বস্ততাকে প্রতারণাপূর্ণ ভাবে ধ্বংস করে দেবে এবং এটি ঈশ্বর হতে তাকে বিচ্ছিন্ন করবে। আমরা ইতিহাস হতে জানি যে শত্রু তার প্রচেষ্টায় কৃতকার্য হয়েছিল : “শলোমন মিসর-রাজ ফরৌণের সাথে কুটুম্বিতা করলেন, তিনি ফরৌণের কন্যাকে বিয়ে করলেন, এবং তাকে দায়ূদ নগরে এনে রাখলেন।” ১ রাজাবলি ৩:১। PKBeng 39.3
মানব দৃষ্টিভঙ্গি হতে এই বিবাহ, যদিও বা ঈশ্বরের ব্যবস্থার শিক্ষামালা বিরুদ্ধে; মনে হল তথাপি এটি একটি আশীর্বাদ স্বরূপ হল; কেননা শলোমনের পৌত্তলিক স্ত্রী মনপরিবন করে সত্য ঈশ্বরের আরাধনায় তার সাথে যোগ দিল । PKBeng 40.1
তাছাড়া ফরৌণ এসে গেষর দখল করে ইস্রায়েলকে সংকেত সেবা দিয়ে “কনানীয়দের বধ করেন, পরে যৌতুকরুপে আপণ কন্যাকে শলোমনের স্ত্রীকে তা দেন।” ১ রাজাবলি ৯:১৬। এই নগরটি শলোমন পুনরায় তৈরী করেন এবং এইভাবে ভূমধ্যসাগরীয় তীরের অন্চলে আপনার রাজ্য শক্তিশালী করেন। কিন্তু একটি পৌত্তলিক জাতির সাথে বন্ধুত্বসূত্রে আবদ্ধ হয়ে শলোমন দুঃসাহসিকতার সাথে জ্ঞান সম্পন্ন অভিষ্ট বস্তু তুচ্ছ করলেন যা ঈশ্বর তার প্রজাদের পবিত্রতা রক্ষা করবার জন্য দিয়েছিলেন। তার যা প্রত্যাশা ছিল মিস্ত্রীয় স্ত্রী পরিবর্তিত হইবে, তা পাপহেতু একটি দুর্বল অজুহাত স্বরুপ ছিল । PKBeng 40.2
একবার ঈশ্বর তাঁর করুণাপূর্ণ অনুগ্রহে এই ---- ভুল বাতিল করলেন; এবং রাজা বুদ্ধিপূর্বক বড় রকমের একটি মন্দতা দমন করতে পারতেন যা তার অবিচক্ষণতা প্রযুক্ত কার্যে প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্তু শলোমন তার শক্তির এবং গৌরবের উৎস হতে দৃষ্টি ভ্রষ্ট হলেন। যেমন আনুকূল্য যুক্তির ওপরে প্রভাব বিস্তার করল, আত্ম-বিশ্বাস বৃদ্ধি পেল, এবং তিনি নিজের ইচ্ছা মত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্য সাধন করার চেষ্টা করলেন। তিনি যুক্তি দেখালেন যে, চারদিকের জাতিদের সাথে রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক বন্ধুত্ব এসকল জাতিদের কাছে সত্য ঈশ্বর সম্পর্কে একটি জ্ঞান আনয়ন করবে। প্রায়ই পৌত্তলিক রাজকন্যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমেই এসকল বন্ধুত্ব স্থাপিত হত। চারপাশের লোকদের রীতিনীতির বিনিময়ে যিহোবার আদেশ মালা এক পাশে রেখে দেয়া হল । PKBeng 40.3
শলোমন নিজের খুব প্রশংসা করলেন, যদ্বারা তার জ্ঞান এবং তার আদর্শের ক্ষমতা তার স্ত্রীদেরকে পৌত্তলিকতা হতে সত্য ঈশ্বরের আরাধনার প্রতি ফিরাল, এবং এই বন্ধুত্ব চারদিকের জাতিদের ইস্রায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আনয়ন করল। বিফল প্রত্যাশা! পৌত্তলিকদের সাথে শলোমনের সংসর্গের পরিণতি ছিল, সর্বনাশা আর এটি প্রতিহত করার জন্য শলোমনের শক্তি ছিল যথেষ্ট, এরূপ মনে করাই ছিল তার ভুল। প্রতারণা যা তাকে প্রত্যাশার দিকে পরিচালিত করেছিল যে, ঈশ্বরের ব্যবস্থার প্রতি তার বিতশ্রদ্ধা সত্ত্বেও, অন্যান্যরাও এই পবিত্র ব্যবস্থার প্রতি সমাদর প্রদর্শন করতে এবং আজ্ঞাবহ হতে পারত। পৌত্তলিক জাতির সাথে রাজার সন্ধি এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে সম্পর্ক তার প্রতি খ্যাতি এবং পার্থিব, ঐশ্বর্য আনায়ন করেছিল। তিনি অফির এবং তর্শীশ হতে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ এবং রৌপ্য আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। “রাজা যিরূশালেমে রৌপ্য ও স্বর্ণকে পাথরের মত ও এরস কাঠকে নিচু জমির সুকোমর গাছের মত প্রচুর করলেন।” ২বংশাবলি ১:১৫। ধনৈশ্বর্য এটির সাথে সর্বপ্রকার প্রলোভন, শলোমনের দিনে বহু সংখ্যক লোকের কাছে বিলক্ষণ পরিমাণে এসেছিল; কিন্তু চরিত্রের নিখুঁত, চমৎকার স্বর্ণ ক্ষীণ এবং বিকৃত হয়েছিল । PKBeng 40.4
এরূপে ক্রমেই শলোমনের ধর্মোদ্রোহিতা বৃদ্ধি পেল, এবং যা তিনি পূর্বে বুঝতে পারেননি, আর তিনি ঈশ্বর হতে, অনেক দূরে চলে গেলেন। তিনি অনির্ণিত ভাবে ঐশ্বরিক পরিচালনা এবং আশীর্বাদে বিশ্বাস হারাতে লাগলেন এবং তার ক্ষমতা বলে নির্ভর করতে লাগলেন। ক্রমেই তিনি ঈশ্বরের কাছ হতে একটানা আজ্ঞাবহতা ধরে রাখলেন যা ইস্রায়েলেকে একটি নিজস্ব প্রজাবৃন্দ করত, এবং চারপাশের জাতিদের রীতিনীতিসমূহের প্রতি অধিকতররূপে আকৃষ্ট হলেন। প্রলোভনের প্রতি সম্মতি প্রদান তার সাফল্য এবং তার সম্মানিত পদের ঘটনা হেতু তিনি তার উন্নতির উৎসের কথা ভুলে গেলেন। ক্ষমতা এবং জাঁকজমকতা তাকে স্বার্থপর উদ্দেশ্য হাসিল করণার্থে পরিচালিত করল, স্বর্গীয় বরসমূহ এযাবৎ ঈশ্বরের গৌরবার্থে ব্যবহৃত হয়েছিল। যে অর্থ যোগ্য দরিদ্রদের উপকারার্থে এবং বিশ্বের সর্বত্র পবিত্র জীবন যাপনের নীতিমালা সম্প্রসারণের জন্য পবিত্র জিম্মায় রাখা হয়েছিল তা স্বার্থপরভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষিত প্রকল্পের জন্য শোষণ করা হয়েছিল । PKBeng 41.1
বাহ্যিক আকর্ষণে অন্যান্য জাতিদেরকে ছাড়িয়ে যাবার জন্য একটি বাসনার মধ্যে আচ্ছন্ন থেকে রাজা, চরিত্রের সৌন্দর্য এবং সিদ্ধতা অর্জনের আবশ্যকতা অবহেলা করলেন। জগতের সামনে নিজের গৌরব অন্বেষণে, তিনি তাঁর নিজ সম্মান এবং ন্যায়পরায়ণতা বিক্রয় করলেন। বহু ভারি কর আরোপের দ্বারা অনেক জমা-জমির অধিকারী হয়ে ব্যাপক ব্যবসাদারির মাধ্যমে লব্ধ অস্বাভাবিক রাজস্ব আদায় করেছেন। এরূপে অহংকার, উচ্চাকংঙ্ক্ষা, অপব্যায়িতা, অসংযমতা নিষ্ঠুরতা এবং অন্যায় দাবীর মাধ্যমে পরিণাম আনয়ন করল। তার রাজ্য পরিচালনার প্রাথমিক বছর গুলোতে তার বিবেক বুদ্ধি এবং বিচার বিবেচনার আত্মায় লোকদের সাথে তার আচরণ ছিল লক্ষ্যণীয়, যার এখন বদলিয়ে গিয়েছে। অতীব জ্ঞানবান এবং অতীব দয়ালু শাসনকর্তা, একজন মর্যাদাচ্যুত এবং অধঃপতিত ব্যক্তিতে পরিণত হলেন। একদা লোকদের সমবেদনাশীল, লোকদের সমবেদনাশীল, ঈশ্বর ভয়শীল অভিভাবক, তিনি তাড়নাকারী, স্বেচ্ছাকারী ও উৎপীড়করূপে পরিণত হলেন । লোকদের ওপরে করের উপর কর জোর পূর্বক চালিয়ে দিলেন, যা রাজ প্রাসাদের বিলাসিতার ইন্ধন জোগাতে লাগল । PKBeng 41.2
প্রজারা বচসা করতে আরম্ভ করল। একদা যারা রাজার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছিল এবং মুগ্ধ হয়েছিল, তা এখন অসন্তোষ এবং পরিহাসে পরিণত হল । বাহুবলের ওপরে নির্ভর করার বিরুদ্ধে নিরাপদ থাকবার জন্য সদাপ্রভু, যারা ইস্রায়েলের ওপরে শাসক হবে, তাঁদেরকে সতর্ক করে দিলেন যেন, তারা তাদের অশ্ব সংখ্যা বৃদ্ধি না করে। কিন্তু এই আদেশের প্রতি সম্পূর্ণ অশ্রদ্ধা প্রদর্শন পূর্বক, শলোমনের অশ্ব সকল মিশর হতে আনা হল । “আর লোকেরা মিসর হতে ও সকল দেশ হতে শলোমনের জন্য অশ্ব আনত।” “আর শলোমন অনেক রথ ও অশ্বারোহী সংগ্রহ করলেন; তার একহাজার চারশ রথ ও বারো হাজার অশ্বারোহী ছিল আর সেই সকল তিনি রথনগর গুলোতে, এবং যিরূশালেমে রাজার কাছে রাখতেন।” ২ বংশাবলি ১:১৬; ৯:২৮; ১রাজাবলি ১০:২৬। PKBeng 42.1
রাজা উত্তর বিলাসিতা, এবং আরাম আয়োজনের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করতে এবং মহত্ত্বের নিদর্শন রূপে জগতের অনুগ্রহ এবং সমর্থন ভালবাসতে লাগলেন। মিসর, ফেনিকিয়া, ইদোম, মোয়াব এবং অন্যান্য অনেক স্থান হতে সুন্দরী এবং প্রলুব্ধ কামনীয় রমণীরা আনিতা হল। এরা সংখ্যায় শতশত ছিল । তারা ছিল প্রতিমা পূজক এবং তাদেরকে নিষ্ঠুর এবং পদমর্যাদাহানীকর আচারানুষ্ঠান শিক্ষা দেয়া হয়েছিল। তাদের সৌন্দর্যে মোহাচ্ছন্ন হয়ে রাজা ঈশ্বর এবং তার রাজ্যের প্রতি কর্তব্যের প্রতি অবহেলা দেখালেন । PKBeng 42.2
তার স্ত্রীর তার ওপরে এক জোরালো প্রভাব বিস্তার করল এবং ক্রমে তাদের সাথে তাদের পূজায় তাকে যোগদানে রাজী করাল। ঈশ্বর তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তিনি ধর্ম-ভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক একটি বেড়া স্বরূপ হন, আর শলোমন তা তুচ্ছ করলেন এবং মিথ্যা দেবতাদের আরাধনায় নিজেকে সঁপে দিলেন। “ফলে এরূপ ঘটল, শলোমনের বৃদ্ধ বয়সে তাঁর স্ত্রীরা তাঁর হৃদয়কে অন্য দেবতাদের অনুগমনে বিপথগামী করল; তাঁর পিতা দায়ূদের অন্তঃকরণ যেমন ছিল, তাঁর অন্ত :করণ তেমনি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর ভক্তিতে একাগ্র ছিল না। কিন্তু শলোমন সীদোনীয়দের দেবী অষ্টারতের ও অম্মোনীয়দের ঘৃণার বস্তু মিল্কনের অনুগামী হলেন।” ১রাজাবলি ১১:৪৫। PKBeng 43.1
জৈতুন পর্বতের দক্ষিণ ভূখন্ডের ওপরে, মোরিয়া পর্বতের বিপরীতে, যেখানে যিহোবার মনোরম মন্দিরটি স্থাপিত, যেখানে শলোমন অনেকগুলো দেবদেবীর পূজা অর্চনার জন্য মনোরম মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। তার স্ত্রীদের সন্তুষ্ট করার জন্য চিরসবুজ লতাকুঞ্জ এবং জলপাই গাছগুলোর মধ্যে বড় বড় কাঠ ও পাথরের মূর্তি তৈরী করলেন। সেখানে, পৌত্তলিক দেবদেবীর সামনে, “কর্মোদ্দেশের জন্য ও আম্মোন সন্তানদের ঘৃণার্হ বস্তু মোলকের জন্য উচ্চস্থলী নির্মাণ করলেন এবং সেখানে পৌত্তলিকতার অতীব ঘৃণিত ধর্মীয় রীতিনীতির অনুশীলন করা হত। ৭ পদ । PKBeng 43.2
শলোমনের সময় এর নিশ্চিত শান্তি আনয়ন করল । প্রতিমাপূজকদের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে ঈশ্বর হতে। তার বিচ্ছেদই ছিল তার ধ্বংসের কারণ। তিনি ঈশ্বরের প্রতি তারা বাধ্যতা পরিহার করলেন, তিনি তার নিজের ওপরে নিজের প্রভুত্ব হারিয়ে ফেললেন। তার নৈতিক দক্ষতা হারিয়ে গেল। তার সূক্ষ্ম রোধ শক্তি লয় পেল, তার বোধশক্তি অসাড় হয়ে পড়ল। যিনি তার শাসনকালের প্রাথমিক অবস্থায় একটি অসহায় শিশুকে তার দুর্ভাগা মাতার কাছে (১ রাজাবলি ৩:১৬-২৮), ফিরিয়ে দেবার জন্য অত্যাধিক জ্ঞান এবং সহানুভূতির পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি একই PKBeng 43.3
নিম্নস্তরে নেমে গেলেন এবং একটি প্রতিমা নির্মাণ করলেন যেখানে জীবন্ত শিশুকে উৎসর্গ করা হত। যিনি তার যুবাবয়সে বিচার-বুদ্ধিসম্পন্নতা এবং জ্ঞান দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছিলেন। এবং যিনি তার সুস্থ, তেজঃপূর্ণ যৌবনে এই কথা লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন “একটি পথ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে সরল; কিন্তু তার পরিণাম মৃত্যুর পথ।” (হিতোপদেশ)। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি পবিত্রতা হতে এত দূরে চলে গেলেন লজ্জাস্কর কাম লালসার প্রতি ঝুঁকে পড়লেন। কেমোশ এর অষ্টোরথ এর আরাধনার সঙ্গে বিরক্তিকর ধর্মানুষ্ঠান আরম্ভ করলেন। যিনি মন্দির প্রতিষ্ঠার সময়ে তার প্রজাদের সামনে বলেছিলেন, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তোমাদের অন্তঃকরণ একাগ্র হোক।” ১ রাজাবলি ৮:৬১, তিনি তার অন্তঃকরণ এবং জীবনে নিজের বাক্য অস্বীকার করলেন, অপমানের পাত্র হলেন। তিনি স্বাধীনতার অসদ্ব্যবহার করলেন। তিনি অন্ধকারের সাথে আলোর, মন্দের সাথে উত্তমের, অপবিত্রতার সাথে পবিত্রতা, বলীয়ালের সাথে খ্রীষ্টের মিলন করার চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন্ মূল্যে! PKBeng 44.1
একজন অপূর্ব রাজদন্ড পরিচালনাকারী ঘোষিত মহা শ্রেষ্ঠ রাজা, শলোমন একজন লম্পট, অন্যের হাতিয়ার এবং দাস হলেন। একদা শ্রেষ্ঠ এবং মনুষ্যজনোচিত চরিত্রের অধিকারী এখন তিনি শক্তিহীন এবং কামুক রূপে গণ্য হলেন। জীবন্ত ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস নাস্তিকতারূপ সন্দেহ হেতু দূরীভূত হয়ে গেল। অবিশ্বাস তার মুখ নষ্ট করে দিল, তার নীতিমালা দুর্বল করে দিল এবং তার জীবনের মহা ক্ষতি সাধন করল। তার প্রাথমিক শাসনামলের মত বিশ্বাস এবং উদারতা স্বেচ্ছাচারপূর্ণতা এবং নিষ্ঠুরতায় পরিবর্তিত হল। দুর্বল, অক্ষম মানব চরিত্র। যারা ঈশ্বরের ওপরে তাদের নির্ভরশীলতা বোধ হারিয়ে ফেলে, তাদের জন্য তিনি খুব সামান্যই করতে পারেন। PKBeng 44.2
এই ধর্মদ্রোহিতার বছরগুলো ব্যাপী, ইস্রায়েলের আত্মিক অধঃপতন অবিচলিতভাবে বৃদ্ধি পেল। তাদের রাজার আগ্রহ যখন শয়তানের প্রতি নীতির সাথে যুক্ত তখন এটির বিরূপ হওয়া কিভাবে সম্ভব? এসকল প্রতিনিধির মাধ্যমে শত্রু, সত্য ও মিথ্যা আরাধনার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য ইস্রায়েল-সন্তানদের মন বিগড়িয়ে দিয়েছিল, আর তারা সহজেই এটির শিকার হয়ে পড়ল । অন্য জাতিদের সাথে তাদের ব্যবসা তাদেরকে, ঈশ্বর-প্রেমহীন লোকদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে আনয়ন করল। আর তাঁর জন্য তাদের বিলক্ষণভাবে হ্রাস পেল। ঈশ্বরের উচ্চ উন্নত চরিত্রের প্রতি তাদের গভীর অনুভূতি নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ল। আজ্ঞাবহতার পথ প্রত্যাখ্যান করে, তারা তাদের আজ্ঞাবহতা ধার্মিকতার শত্রুর কাছে স্থানান্তরিত হল। প্রতিমা পূজকদের সাথে আন্তঃ-বিবাহ একটি সার্বজনীন প্রথা হয়ে দাড়াল, এবং ইস্রায়েল সন্তানেরা দ্রুত প্রতিমা পূজার প্রতি তাদের ঘৃণা হারিয়ে ফেলল। বহুবিবাহ সমর্থন লাভ করল। প্রতিমাপূজক মা’রা তাদের সন্ত নিদেরকে পৌত্তলিক ধর্মানুষ্ঠান পালনের দিকে নিয়ে এল। কারও জীবনে ঈশ্বর যা কর্তৃক খাঁটি ধর্মীয়-আরাধনা প্রতিষ্ঠিত আইন অনুসারে স্থান পেয়েছিল গাঢ় তা অন্ধকারময় প্রতিমাপূজা স্থান করে নিল । PKBeng 45.1
খ্রীষ্টানেরা নিজেদেরকে জগৎ, এর নীতিমালা, এবং এর প্রভাবসমূহ হতে পৃথক রাখবেন। ঈশ্বর আমাদেরকে জগতের মধ্যে রক্ষা করতে সম্পূর্ণরূপে সমর্থ, কিন্তু আমরা জগতের হব না। তাঁর প্রেম অনিশ্চিত এবং অস্থির নহে। তিনি তাঁর সন্তানদের প্রতি অপরিমেয় এবং সযত্ন দৃষ্টি অসাড় হয়ে পড়ল। যিনি তার শাসনকালের প্রাথমিক অবস্থায় একটি অসহায় শিশুকে তার দুর্ভাগা মাতার কাছে (১ রাজাবলি ৩:১৬-২৮), ফিরিয়ে দেবার জন্য অত্যাধিক জ্ঞান এবং সহানুভূতির পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি একই PKBeng 45.2
নিম্নস্তরে নেমে গেলেন এবং একটি প্রতিমা নির্মাণ করলেন যেখানে জীবন্ত শিশুকে উৎসর্গ করা হত। যিনি তার যুবাবয়সে বিচার-বুদ্ধিসম্পন্নতা এবং জ্ঞান দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছিলেন। এবং যিনি তার সুস্থ, তেজঃপূর্ণ যৌবনে এই কথা লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন “একটি পথ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে সরল; কিন্তু তার পরিণাম মৃত্যুর পথ।” (হিতোপদেশ)। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি পবিত্রতা হতে এত দূরে চলে গেলেন লজ্জাষ্কর কাম লালসার প্রতি ঝুঁকে পড়লেন। কেমোশ এর অষ্টোরথ এর আরাধনার সঙ্গে বিরক্তিকর ধর্মানুষ্ঠান আরম্ভ করলেন। যিনি মন্দির প্রতিষ্ঠার সময়ে তার প্রজাদের সামনে বলেছিলেন, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তোমাদের অন্তঃকরণ একাগ্র হোক।” ১ রাজাবলি ৮:৬১, তিনি তার অন্তঃকরণ এবং জীবনে নিজের বাক্য অস্বীকার করলেন, অপমানের পাত্র হলেন। তিনি স্বাধীনতার অসদ্ব্যবহার করলেন। তিনি অন্ধকারের সাথে আলোর, মন্দের সাথে উত্তমের, অপবিত্রতার সাথে পবিত্রতা, বলীয়ালের সাথে খ্রীষ্টের মিলন করার চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন্ মূল্যে! PKBeng 46.1
একজন অপূর্ব রাজদন্ড পরিচালনাকারী ঘোষিত মহা শ্রেষ্ঠ রাজা শলোমন একজন লম্পট, অন্যের হাতিয়ার এবং দাস হলেন। একদা শ্রেষ্ঠ এবং মনুষ্যজনোচিত চরিত্রের অধিকারী এখন তিনি শক্তিহীন এবং কামুক রূপে গণ্য হলেন। জীবন্ত ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস নাস্তিকতারূপ সন্দেহ হেতু দূরীভূত হয়ে গেল। অবিশ্বাস তার মুখ নষ্ট করে দিল, তার নীতিমালা দুর্বল করে দিল এবং তার জীবনের মহা ক্ষতি সাধন করল। তার প্রাথমিক শাসনামলের মত বিশ্বাস এবং উদারতা স্বেচ্ছাচারপূর্ণতা এবং নিষ্ঠুরতায় পরিবর্তিত হল। দুর্বল, অক্ষম মানব চরিত্র। যারা ঈশ্বরের ওপরে তাদের নির্ভরশীলতা বোধ হারিয়ে ফেলে, তাদের জন্য তিনি খুব সামান্যই করতে পারেন । PKBeng 46.2
এই ধর্মদ্রোহিতার বছরগুলো ব্যাপী, ইস্রায়েলের আত্মিক অধঃপতন অবিচলিতভাবে বৃদ্ধি পেল। তাদের রাজার আগ্রহ যখন শয়তানের প্রতি নীতির সাথে যুক্ত তখন এটির বিরূপ হওয়া কিভাবে সম্ভব? এসকল প্রতিনিধির মাধ্যমে শত্রু, সত্য ও মিথ্যা আরাধনার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য ইস্রায়েল-সন্তানদের মন বিগড়িয়ে দিয়েছিল, আর তারা সহজেই এটির শিকার হয়ে পড়ল । অন্য জাতিদের সাথে তাদের ব্যবসা তাদেরকে, ঈশ্বর-প্রেমহীন লোকদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে আনয়ন করল । আর তাঁর জন্য তাদের বিলক্ষণভাবে হ্রাস পেল। ঈশ্বরের উচ্চ উন্নত চরিত্রের প্রতি তাদের গভীর অনুভূতি নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ল। আজ্ঞাবহতার পথ প্রত্যাখ্যান করে, তারা তাদের আজ্ঞাবহতা ধার্মিকতার শত্রুর কাছে স্থানান্তরিত হল । প্রতিমা পূজকদের সাথে আন্তঃ-বিবাহ একটি সার্বজনীন প্রথা হয়ে দাঁড়াল, এবং ইস্রায়েল সন্তানেরা দ্রুত প্রতিমা পূজার প্রতি তাদের ঘৃণা হারিয়ে ফেলল। বহুবিবাহ সমর্থন লাভ করল। প্রতিমাপূজক মা’রা তাদের সন্ত গানদেরকে পৌত্তলিক ধর্মানুষ্ঠান পালনের দিকে নিয়ে এল। কারও জীবনে ঈশ্বর যা কর্তৃক খাঁটি ধর্মীয়-আরাধনা প্রতিষ্ঠিত আইন অনুসারে স্থান পেয়েছিল গাঢ় তা অন্ধকারময় প্রতিমাপূজা স্থান করে নিল। PKBeng 47.1
খ্রীষ্টানেরা নিজেদেরকে জগৎ, এর নীতিমালা, এবং এর প্রভাবসমূহ হতে পৃথক রাখবেন। ঈশ্বর আমাদেরকে জগতের মধ্যে রক্ষা করতে সম্পূর্ণরূপে সমর্থ, কিন্তু আমরা জগতের হব না। তাঁর প্রেম অনিশ্চিত এবং অস্থির নহে। তিনি তাঁর সন্তানদের প্রতি অপরিমেয় এবং সযত্ন দৃষ্টি রাখেন। কিন্তু তিনি অবিভক্ত আনুগত্য প্রত্যাশা করেন। “কেউই দুই কর্তার দাসত্ব করতে পারে না; কেননা সে হয় একজনকে দ্বেষ করবে, আর একজনকে প্রেম করবে, নয় একজনের প্রতি অনুরুক্ত হবে, আর এক জনকে তুচ্ছ করবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করতে পার না।” মথি ৬:২৪ । PKBeng 47.2
শলোমন অপূর্ব আশীর্বাদ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছিলেন, কিন্তু জগৎ ঈশ্বর হতে তাকে আকর্ষণ করল । আজ মানুষ তা হতে অধিক শক্তিশালী নয়, তার এমন প্রভাবের প্রতি সমর্পিত হবার প্রবণতা রয়েছে, যা তার পতন ঘটাবে। ঈশ্বর যেমন শলোমনকে তার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তদ্রূপ আজও তিনি তাঁর সন্তান-সন্ততিদেরকে সতর্ক করে দেন যেন তারা তাদের আত্মাকে জগতের সাথে কুটুম্বিতা দ্বারা বিপদগ্রস্থ তিনি করে না তোলে । “অতএব তোমরা তাদের মধ্য হতে বের হয়ে এস”, অনুরোধ করলেন, তোমরা পৃথক হও, ...এবং অশুচি বস্তু স্পর্শ করো না; তাতে আমিই তোমাদেরকে গ্রহণ করব, এবং তোমাদের পিতা হব, ও তোমরা আমার পুত্র কন্যা হবে, এটি সর্বশক্তিমান, প্রভু বলেন।” ২ করিন্থীয় ৬:১৭-১৮। PKBeng 48.1
উন্নতির মধ্যেও বিপদ ওৎ পেতে থাকে। যুগ যুগ ব্যাপী, ঐশ্বর্য এবং সম্মান সর্বদা নম্রতা এবং আধ্যাত্মিকতার দুঃখ কষ্ট অনুসঙ্গী হয়ে এসেছে। এটি একটি শূণ্য পেয়ালা নয় যা আমাদের বহন করা কষ্টকর; এই পেয়ালাটি কানায় কানায় পূর্ণ যা সতর্কতার সাথে ভারসাম্য অবস্থায় রাখতে হবে। দুঃখকষ্ট এবং প্রতিকুল অবস্থা দুঃখ আনয়ন করতে পারে, কিন্তু উন্নতি এবং সাফল্য যা আত্মিক জীবনের প্রতি অতীব বিপজ্জনক । যে পর্যন্ত মানব সমাজ অবিরত ঈশ্বরের সাথে ইচ্ছার বশীভূত না হয় যে পর্যন্ত না সে সত্য দ্বারা পবিত্রীকৃত না হয়, উন্নতি নিশ্চয়ই প্রবল সম্ভাবনার প্রতি স্বাভাবিক ঝোঁক সক্রিয় হয়ে উঠবে। যেখানে মানুষ তাদেরকে শিক্ষা দেবার এবং প্রতিটি ধাপে পরিচালনা দেবার জন্য, নম্রতায় ঈশ্বরের ওপরে নির্ভর করে, সেখানেই তুলনামূলক নিরাপত্তা রয়েছে। কিন্তু যারা তাদের উচ্চপদ হেতু শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়ে থাকে, তারা মহা জ্ঞানের অধিকারী হবে- এটিই চরম দুর্দশা। ঐ রূপ ব্যক্তিরা যদি ঈশ্বরে আস্থাবান না হতে পারবে, তবে তাদের পতন অনিবার্য ।PKBeng 48.2
যখনই অহংকার এবং উচ্চাকাঙ্খা পোষণ করা হয়, তখনই জীবন বিপর্যস্ত হয়, কেননা অহংকার, অভাব বোধহীনতা, স্বর্গের সীমাহীন আশীর্বাদের বিরুদ্ধে অন্তঃকরণ রুদ্ধ করে। আত্মগৌরবই যে ব্যক্তির লক্ষ্য সে নিজেকে ঈশ্বরের অনুগ্রহহীনই রয়ে যাবে যার দক্ষতার মাধ্যমে প্রকৃতি ঐশ্বর্য এবং সর্বাধিক তৃপ্তিকর আনন্দ লাভ করবে। কিন্তু যে ব্যক্তি খ্রীষ্টের জন্য সর্বস্ব দান করে এবং সব কিছুই করে সে প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা লাভ করবে” সদাপ্রভুর আশীর্বাদই ধনবান করে, এবং তিনি তার সাথে। মনোদুঃখ দেননা।” হিতোপদেশ ১০:২২। অনুগ্রহের কোমল স্পর্শ দ্বারাই ত্রাণকর্তা হৃদয় হতে অস্থিরতা এবং অপবিত্র উচ্চাকাঙ্খা, দূর করেন, শত্রুতা প্রেমে এবং অবিশ্বাস প্রত্যাশায় রূপান্তর করেন, যখন তিনি আত্মার কাছে কথা বলেন, “আমার পশ্চাৎ এস,” তখন জগতের মোহ-মন্ত্রজাল ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। তাঁর রবে লোভ এবং উচ্চকাঙ্খার আত্মা হৃদয় হতে দূর হয়ে যায় এবং মানুষ উঠে, মুক্তি লাভ করে তাঁর অসুরণ করে-। PKBeng 49.1