Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents
ভাববাদিগণের এবং রাজগণের কাহিনী - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First
    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents

    ১৬—আহাবের পরিবারের পতন

    প্রথম হতে ঈষেবল আহাবের উপরে যে মন্দ প্রভাব খাটিয়েছিলেন তা তার জীবনের পরবর্তী বছরগুলো ব্যাপী, লজ্জা এবং প্রচন্ডতার কাজের মধ্যে ফল ধারণ করেছিল, যার সমতুল্য পবিত্র ইতিহাসে প্রায়ই দৃষ্ট হয় না। “আহাবের তুল্য কেহ ছিলেন না, যিনি সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহা করিবার নিমিত্ত নিজেকে বিক্রয় করিয়াছিলেন, আর ঈষেবলই তাহাকে অনুপ্রেরণা যোগাইয়াছিল ।”PKBeng 168.1

    স্বভাবতঃ লোভজনক প্রবণতাবশতঃ আহাব, শক্তিশালী হয়েছিলেন। এবং ঈষেবল কর্তৃক উত্তেজিত হয়ে হৃদয়ে মন্দ নির্দেশে পরিপূর্ণ হয়ে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে স্বার্থপরতার আত্মা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেন। তিনি তার ইচ্ছার প্রতিরোধ করতে পারতেন না, তিনি যা ইচ্ছা করতেন, তাই সঠিক বলে বিবেচনা করতেন। PKBeng 168.2

    আহাবের মধ্যে এই কর্তৃত্বকারী আচরণ, যা তার উত্তরশূরীগণের অধীন রাজ্যগুলোর ভাগ্যকে এত সর্বনাশাভাবে প্রভাবিত করেছিল, যা একটি ঘটনায় রূপ দিয়েছিল, আর এলিয় তখনও ইস্রায়েলে একজন ভাববাদী ছিলেন। রাজার প্রাসাদের অদূরে যিস্ত্রীয়েলীয় নাবোতের একটি দ্রাক্ষাক্ষেত্র ছিল। আহাব তা তার অধিকারভূক্ত করতে চাইলেন। তিনি হয় এটি ক্রয় করবেন, নতুবা অন্য একখন্ড জমির বিনিময়ে লাভ করবেন। “তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্র আমাকে দাও” তিনি নাবৎকে বললেন, “আমি ইহা সব্জির ক্ষেত্র করিব, কারণ ইহা আমার বাটীর নিকটবর্তী; ইহার পরিবর্তে তোমাকে আরও উত্তম একখানি দ্রাক্ষাক্ষেত্র দিব, কিম্বা যদি তোমার বিহিত বোধ হয়, তবে তাহার মূল্য রৌপ্য মুদ্রা তোমাকে দিব।” PKBeng 168.3

    নাব তার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করলেন কেননা এটি ছিল তার পৈতৃক অধিকারভূক্ত আর তিনি এটি দিতে অস্বীকার করলেন। “আমি যে আপন পৈতৃক অধিকার আপনাকে দিই, সদাপ্রভু ইহা নিবারণ করুন।” লেবীয় নিয়ম অনুসারে কোন জমি বিক্রয় অথবা অদল-বদলের স্থায়ীভাবে হস্তান্তরিত হতে পারত না; ইস্রায়েল সন্তানগণ প্রত্যেকে “আপন আপন পিতৃবংশের অধিকারভুক্ত থাকিবে।” গণনাপুস্তক ৩৬:৭। PKBeng 169.1

    নাবোতের অস্বীকৃতি স্বার্থপর সম্রাটকে অসুস্থ করে তুলল। “যিম্ব্রিয়েলীয় নাবোতের উক্ত কথায় আহাব বিষণ্ন ও রুষ্ট হইয়া আপন গৃহে আসিলেন, এবং শয্যাতে পড়িয়া রহিলেন, মুখ ফিরিয়া থাকিলেন, খাদ্য গ্রহণ করিলেন না।” PKBeng 169.2

    ঈষেবল অতিসত্বর বিষয়গুলো জানতে পারলেন, এবং ঘৃণা পরবশ হলেন, যে, কেউ রাজার অনুরোধ অগ্রাহ্য করবে, তিনি আহাবকে এই নিশ্চয়তা দিলেন যে, তাকে আর দুঃখ প্রকাশ করতে হবে না। “এখন তুমিই না ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করিতেছ?” ঈষেবল বললো, “উঠ, আহার কর, তোমার চিত্ত প্রফুল্ল হউক; আমি যিম্ব্রিয়েলীয় নাবোতের দ্রাক্ষাক্ষেত্র তোমাকে দিব।” PKBeng 169.3

    বাঞ্ছিত বিষয়ের ব্যাপারে তার স্ত্রী কি করতে পারবেন, সে ব্যাপারে আহাব গুরুত্ব প্রদান করলেন না, এবং ঈষেবল তৎক্ষণাৎ আহাবের দুষ্ট পরিকল্পনা কার্যকরি করার জন্য অগ্রসর হলেন। তিনি রাজপত্র লিখলেন, তার মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কণ করে শহরের প্রাচীনবর্গ এবং নগরের প্রধান লোকদের কাছে এই কথা লিখে লোক পাঠালেন “তোমরা উপবাস ঘোষণা কর, ও লোকদের মধ্যে নাবোৎকে উচ্চস্থানে বসাও। আর পাষণ্ড দুই জন পুরুষকে তাহার সামনে বসাইয়া দেও। তাহারা তাহার বিরুদ্ধে এই সাক্ষ্য দিক যে, ‘তুমি ঈশ্বরকে ও রাজাকে জলাঞ্জলি দিয়াছ।’ পরে তাহাকে বাহিরে লইয়া গিয়া প্রস্তরাঘাতে বধ কর।” PKBeng 169.4

    আদেশ পালন করা হল। “পরে তাহার নগরস্থ লোকেরা, প্রাচীন ও প্রধানবর্গ ঈষেবলের প্রেরিত আজ্ঞানুসারে তাহার প্রেরিত পত্রের লিখনানুসারে কর্ম করিল।” অতঃপর, ঈষেবল রাজার কাছে গিয়ে বললো, “উঠ, দ্রাক্ষাক্ষেত্র অধিকার কর।” তাতে আহাব, ঘটনা এবং পরিণাম না জেনে, অন্ধের ন্যায় তার পরামর্শ অনুযায়ী অন্যায় লালসা বশতঃ দ্রাক্ষাক্ষেত্র অধিকার করতে গেলেন । PKBeng 169.5

    প্রতারণা এবং রক্তপাতের মাধ্যমে সম্পদ লাভ হেতু তিনি তিরস্কার মুক্ত থাকতে পারলেন না। আর তিশ্বীয় এলিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল, “উঠ, শমরিয়া-নিবাসী ইস্রায়েল রাজ আহাবের সাথে সাক্ষাৎ করিতে যাও; দেখ, সে নাবোতের দ্রাক্ষাক্ষেত্রে রহিয়াছে, সে তা অধিকার করিতে গিয়াছে, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তুমি কি নরহত্যা করিয়াছ, আবার (পরের) অধিকার কি হরণ করিয়াছ?” আর সদাপ্রভু এলিয়কে আরও নির্দেশ প্রদান করলেন যেন আহাবের উপরে এক ভয়াবহ বিচার ঘোষণা করা হয় । PKBeng 170.1

    ভাববাদী ঐশ্বরিক নির্দেশ মান্য করার জন্য ত্বরা করলেন। অপরাধী শাসনকর্তা দ্রাক্ষাক্ষেত্রে গিয়েই সম্মুখাসম্মুখি হয়ে যিহোবার বার্তাবাহকের সাথে সাক্ষাৎ করলেন, ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বললেন, “হে আমার শত্রু, তুমি কি আমাকে পাইয়াছ?” PKBeng 170.2

    ইতঃস্তত না করে সদাপ্রভুর বার্তাবাহক উত্তর দিলেন, “তোমাকে পাইয়াছি; কারণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ তুমি তাহা করিবার জন্য আপনাকে বিক্রয় করিয়াছ। দেখ, আমি তোমার উপরে অমঙ্গল উপস্থিত করিব ও তোমাকে নিঃশেষে ঝাঁটি দিব।” কোন দয়া প্রদর্শন করা হবে না। আহাবের কূল সমূলে ধ্বংস করা হবে, “নাবাটের পুত্র যারবিয়ামের কূলের সমান ও অহসিয়ের পুত্র আশার কূলের সমান করিব,” সদাপ্রভু তাঁর দাসের মাধ্যমে ঘোষণা করলেন, “ইহার কারণ তোমার সেই অসন্তোষজনক আচার ব্যবহার, যদ্বারা তুমি আমাকে অসন্তুষ্ট করিয়াছ আর ইস্রায়েলকে পাপী করিয়াছ।” PKBeng 170.3

    আর ঈষেবলের বিষয়ে সদাপ্রভু বললেন, “কুকুরেরা যিথ্রিয়েলের দূর্গপ্রাচীরের কাছে ঈষেবলকে খাইবে। আহাবের যে কেহ নগরে মরিবে কুকুরেরা তাহাকে খাইবে; এবং যে কেহ মাঠে মরিবে, আকাশের পক্ষীরা তাহাকে খাইবে।” রাজা এই ভয়াবহ বার্তা শুনে, “আপন বস্ত্র ছিঁড়িলেন, এবং গায়ে চট বাঁধিয়া উপবাস করিলেন, চটে শয়ন করিলেন, এবং ধীরে ধীরে বেড়াইলেন । PKBeng 170.4

    পরে তিশ্বীয় এলিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল, “আহাব আমার সাক্ষাতে আপনাকে অবনত করিয়াছে, ইহা কি তুমি দেখিয়াছ? সে আমার সাক্ষাতে আপনাকে অবনত করিয়াছে, এই জন্য আমি তাহার জীবনকালে সেই অমঙ্গল ঘটাইব না, কিন্তু তাহার পুত্রের জীবনকালে তাহার কূলের উপরে সেই অমঙ্গল উপস্থিত করিব।” PKBeng 171.1

    তৃতীয় বছরে রাজা আহাব সিরিয় লোকদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন। তার উত্তরশূরী অহসিয়, “সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ তাহাই করিতেন, আপন পিতার পথে ও আপন মাতার পথে, এবং ...যারবিয়ামের পথে চলিতেন। তিনি বালের সেবা করিতেন, তাহার কাছে প্ৰণিপাত করিতেন, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করিতেন, যেমনি তাহার পিতা আহাব করিতেন।” ১ রাজাবলি ২২:৫২, ৫৩। কিন্তু বিদ্রোহী রাজার পাপের কারণ বিচার সন্নিকট। মোয়াবের সাথে দুর্ঘটনামূলক যুদ্ধ এবং অতঃপর একটি দুর্ঘটনা যদ্বারা তার জীবন বিপদাপন্ন হল, তার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের ক্রোধও যুক্ত হল । PKBeng 171.2

    “তার উপরিস্থ সিঁড়ির দ্বার দিয়ে” পড়ে গিয়ে রাজা অহসীয়, ভীষণভাবে আহত হলেন এবং সম্ভাব্য পরিণাম হেতু ভীত হয়ে ইক্রোণের দেবতা বাল সবুরকে জিজ্ঞেস করার জন্য কয়েকজন দূত পাঠালেন যে, তিনি সুস্থ হবেন কি-না। ইক্রোণের দেবতা তার পুরোহিতগণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ঘটনাবলি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে। এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য বহু সংখ্যক গেল; কিন্তু ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারিত হল, তথ্য প্রদান করা হল, যা অন্ধকারের অধিপতির কাছ হতে বের হয়েছিল। PKBeng 171.3

    অহসীয়ের ভূত্যগণের ঈশ্বরের একজন লোকের সাথে সাক্ষাৎ হল, যিনি তাদেরকে এই বার্তাসহ রাজার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। “ইস্রায়েলের মধ্যে ঈশ্বর নাই যে, তোমরা ইক্রোণের দেবতা বাল-সবুবের কাছে জিজ্ঞাসা করিতে যাইতেছ? অতএব, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তুমি যে খাটে উঠিয়া শুইয়াছ, তাহা হইতে আর নামিবে না, মরিবেই মরিবে।” বার্তা প্রদান করে ভাববাদী চলে গেলেন । PKBeng 171.4

    বিস্ময়-বিহ্বল ভৃত্যগণ দ্রুত রাজার কাছে ফিরে গিয়ে ঈশ্বরের লোকের কথাগুলো তাকে বলল । রাজা জিজ্ঞেস করলেন, “সে কি প্রকার লোক?” তারা উত্তর করল, “তিনি লোমশ পুরুষ এবং তাঁহার কটিদেশে চর্ম পটুকা বদ্ধ ।” অহসীয় বললেন, “সে তিশবীয় এলিয়।” তিনি জানতেন যে, আগন্তুক যার সাথে তার বার্তাবাহকগণের সাক্ষাৎ হয়েছে, তিনি যদি নিশ্চয়ই এলিয় হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই তার কাছ থেকে নরক ভোগের বাণী উচ্চারিত হবে। যদি সম্ভব হয়, এই বিচারের হুমকি প্রত্যাহত করার মানসে তিনি ভাববাদীকে ডেকে পাঠালেন। PKBeng 172.1

    ভাববাদীকে ভয় দেখাবার জন্য রাজা দুবার করে একদল সৈন্য পাঠালেন আর দুবারই তাদের উপরে ঈশ্বরের বিচারের ক্রোধ পতিত হল । সৈন্যদের তৃতীয় দলটি ঈশ্বরের সামনে নত হল; এবং সেনাপতি, সদাপ্রভুর বার্তাবাহকের দিকে অগ্রসর হয়ে, এলিয়ের সামনে হাঁটু পেতে বিনয় পূর্বক বললেন, “হে ঈশ্বরের লোক, আমি বিনয় করি, আমার প্রাণ এবং আপনার এই পঞ্চাশ জন দাসের প্রাণ আপনার দৃষ্টিতে বহুমূল্য হউক।” PKBeng 172.2

    তখন সদাপ্রভুর দূত এলিয়কে বললেন, “ইহাদের সহিত নামিয়া যাও, ইহাদিগকে ভয় করিও না।” পরে এলিয় উঠে তার সাথে রাজার কাছে নেমে গেলেন । আর তিনি তাকে বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ‘তুমি ইক্রোণের দেবতা বালসবুরের নিকট জিজ্ঞাসা করিতে দূতগণকে পাঠাইয়াছিলে; ইহার কারণ কি এই যে, ইস্রায়েলের মধ্যে এমন ঈশ্বর নাই যাঁহার নিকট বাক্য জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে? অতএব, তুমি যে খাটে উঠিয়া শুইয়াছ, তাহা হইতে আর নামিবে না, মরিবেই মরিবে।” PKBeng 172.3

    তার পিতার রাজত্বকালে, অহসীয় পরাৎপরের আশ্চর্য কাজ স্বচক্ষে দেখেছিলেন। তিনি সাংঘাতিক প্রমাণসমূহ লক্ষ্য করেছিলেন যে, ঈশ্বর ভ্রষ্ট ইস্রায়েলকে উপায় বা পথ করে দিয়েছিলেন যার মাধ্যমে তিনি তাদেরকে সম্মান প্রদর্শন করেন, যারা তাঁর ব্যবস্থার আরোপিত শর্তের দাবী পৃথক করে রাখে। অহসীয় এমনভাবে কার্য করেছিলেন যেন এই ভয়াবহ বাস্ত বতাসমূহ ছিল কেবল গল্প মাত্র। সদাপ্রভুর সামনে নত না হয়ে বালের অনুসরণ করেছিলেন এবং অবশেষে তিনি এর উপরে, তার অতীব কর্তব্যহীনতার দাম্ভীকতার কাজ করতে সাহসী হয়েছিলেন। বিদ্রোহী, আর অনুতপ্ত হতে অনিচ্ছুক অহসীয় “এলিয়ের নিকট কথিত সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে মৃত্যুবরণ করিলেন। ” PKBeng 172.4

    অহসীয় রাজার পাপ এবং তার শাস্তির ইতিহাসের মধ্যে একটি সতর্কবাণী রয়েছে যা অবজ্ঞা করতে পারে না। মনুষ্য অদ্য পৌত্তলিক দেবগণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না, তথাপি সহস্র লোক ইস্রায়েলের রাজার ন্যায় শয়তানের মূর্তি পূজা করছে। অদ্য পৃথিবীতে প্রতিমা পূজার আত্মা প্রচলিত, যদিওবা, বিজ্ঞান এবং শিক্ষার প্রভাবে এটি ধর্মানুষ্ঠানরূপে ধরে নেয়া হয়েছে; যা আরও বিশোধিত এবং তা, যখন অহসীয় ইক্রোণের যে দেবতার অন্বেষণ করেছিলেন, তদপেক্ষা অধিক আকর্ষণীয়। প্রতিদিন এর দুঃখদায়ক চিত্র দৃষ্ট হচ্ছে যে, ভাববাণীর নিশ্চিত বাণীর প্রতি বিশ্বাস হ্রাস পাচ্ছে এবং এর পরিবর্তে কুসংস্কার এবং শয়তানি যাদুক্রিয়া অনেকের মন বন্দী করছে। PKBeng 173.1

    অদ্য প্রতিমা পূজার গূঢ় রহস্য, গোপন যোগাযোগ এবং প্রেততত্ত্ববিদদের বৈঠক, গোপনীয়তা এবং অলৌকিক কাজ, ভৌতিক আত্মার মধ্য দিয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে। এসকল মাধ্যমের দৃষ্টিগোচর, হাজার হাজার লোকের দ্বারা তারা একান্ত গৃহীত হচ্ছে যারা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে ঈশ্বরের বাক্য হতে জ্যোতি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ভৌতিক আত্মাগণ বিশ্বাসীগণ পুরাকালের যাদুকরদের ঘৃণার বাণীর সাথে কথা বলতে পারে, কিন্তু মহান্ প্রতারকবর্গ অট্টহাসি দেয় এবং তারা একটি ভিন্ন আঙ্গিকে তার কলাকৌশলের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করে। PKBeng 173.2

    অনেকে রয়েছে যারা প্রেতাত্মার মাধ্যম সম্পর্কে আলোকের চিন্তায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে, কিন্তু কেউ কেউ আত্মার আরও মনোমুগ্ধকর রূপ দ্বারা আকর্ষিত হয়ে থাকে। অন্যান্য লোকেরা খ্রীষ্টিয় বিজ্ঞানের শিক্ষামালা এবং দিব্যজ্ঞানের অতীন্দ্রিয়তা এবং অন্যান্য পূর্বদেশীয় ধর্ম দ্বারা পথভ্রষ্ট হয়। চা প্রায় সব ধরণের আত্মিকবাদের প্রেরিতগণ দাবী করেন যে, তাদের আরোগ্যদানের ক্ষমতা রয়েছে। তারা বিদ্যুৎ চুম্বক, তথা-কথিত “সমবেদী নিরাময়সমূহ” অথবা মানুষের মনের অভ্যন্তরিণ গুপ্ত শক্তির সঙ্গেও আত্মিকবাদ শক্তির ব্যবহার করে। আর অল্প অল্প সংখ্যক লোক নয়, এমন কি এই খ্রীষ্টান যুগে যারা জীবন্ত ঈশ্বরের শক্তিতে এবং সুশিক্ষিত এবং সুদক্ষ চিকিৎসকদের কাছে না গিয়ে, ঐ ধরণের নিরাময় দানকারীদের কাছে যায়। মাতা রোগ-শয্যায় তার শিশুটির প্রতি লক্ষ্য করে বলেন, “আমি আর পারছি না। এমন কোন চিকিৎসক নেই যিনি আমার শিশুটিকে বাঁচাতে পারেন?” কেউ তাকে আলোর দৃষ্টি-সম্পন্ন বা সম্মোহনী শক্তির আরোগ্য দানকারীর কথা বললে, সে তার প্রিয় শিশুটিকে তার দায়িত্বে সমর্পণ করল, মনে হচ্ছিল সে তাকে শয়তানের হাতেই ছেড়ে দিল, যেন সে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। অনেক অনেক ক্ষেত্রে শিশুটির জীবন একটি শয়তানের শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকে যা ছিন্ন করা অসম্ভব। PKBeng 173.3

    শিশুরা অহসীয়ের অধার্মিকতায় ঈশ্বরের অসন্তোষের কারণ ছিল। ইস্রায়েলের লোকদের অন্তঃকরণ জয় করার এবং তাদেরকে তাঁতে বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত করার জন্য তিনি কি-না করেছেন? যুগ যুগ ব্যাপী তিনি তাঁর প্রজাদের প্রতি অপূর্ব দয়া ও প্রেম প্রদর্শন করে আসছিলেন। প্রথম হতেই তিনি দেখেছিলেন যে “মনুষ্য সন্তানগণে তাঁহার আনন্দ হইত।” (হিতোপদেশ ৮:৩১)। যারা তাঁকে সরলতায় অন্বেষণ করেছিল তাদের প্রতি তিনি একটি অতীব সুপ্রাপ্য সহায় ছিলেন। তথাপি এখন ইস্রায়েলের রাজা, ঈশ্বরের কাছ থেকে ফিরে গিয়ে সাহায্যের জন্য তাঁর লোকদের জঘন্য শত্রুর কাছে গেলেন, পৌত্তলিকদের কাছে ঘোষণা করলেন যে, তিনি স্বর্গের ঈশ্বর অপেক্ষা তাদের প্রতিমাদের উপরে অধিক বিশ্বাসী ছিলেন। একই রূপে নরনারীগণ তাঁকে অসম্মান করে যখন তারা শক্তি ও জ্ঞানের উৎসের কাছ হতে দূরে গিয়ে অন্ধকারের অধিপতির কাছ হতে শক্তি ও জ্ঞান যাচঞা করে। যদি অহসীয়ের কর্ম হেতু ঈশ্বরের ক্রোধ প্রজ্জ্বলিত হয়, তবে তিনি তাদের কিরূপ দৃষ্টিতে দেখবেন যারা এখন শ্রেষ্ঠতর আলো পেয়েও একই পথে চলছে। PKBeng 174.1

    যারা শয়তানের মায়াবিদ্যার কাছে নিজেদের সমর্পণ করে, তারা মনে করতে পারে যে, তারা মহা-সুবিধা লাভ করেছে; কিন্তু এটি কি প্রমাণ করে যে, তাদের চলার পথ জ্ঞানপূর্ণ ও নিরাপদ হবে? দীর্ঘ জীবনে জীবন লাভ হবে কি? অস্থায়ী সুবিধা লাভে কি উপকার? ঈশ্বরের ইচ্ছা তুচ্ছ করার পরিণাম কি হবে? এরূপ সমুদয় স্পষ্ট প্রতীয়মান লাভ অবশেষে অপূরণীয় ক্ষতিই প্রমাণ করবে। আমরা মন্দ পরিণাম হতে অব্যহতি পেতে একটি প্রাচীর ভাঙ্গতে পারি না যা ঈশ্বর তার প্রজাদেরকে শয়তানের শক্তি হতে রক্ষার জন্য গেঁথেছেন। PKBeng 175.1

    অহসীয়ের যেমন কোন পুত্র ছিল না, তার ভ্রাতা যিহোরাম ছিলেন তার উত্তরশূরী যিনি বার বছর পর্যন্ত দশ বংশের উপরে রাজত্ব করলেন। এই বছর সমূহের মধ্য দিয়ে তার মাতা, ঈষেবল তখনও জীবিত ছিলেন, এবং তিনি জাতির ব্যাপারে প্রভাব খাটাতে লাগলেন। তখনও অনেকে পৌত্তলিক রীতিনীতি পালন করছিল। যিহোরাম স্বয়ং “সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তিনি তাহাই করিতেন; তথাপি আপন পিতা মাতার মত ছিলেন ‘না; কেননা তিনি আপন পিতার নির্মিত বালের স্তম্ভ দূর করিয়াছিলেন । কিন্তু নবাটের পুত্র যারবিয়াম ইস্রায়েলকে যে সকল পাপের দ্বারা পাপ করাইয়াছিলেন, তাহার সেই সকল পাপে তিনি আসক্ত থাকিলেন, তাহা হইতে ফিরিলেন না।” ২ রাজাবলি ৩:২,৩। PKBeng 175.2

    ইস্রায়েলের উপরে যিহোরামের রাজত্বকালে যিহোশাফট মৃত্যুবরণ করেন, এবং যিহোশাফটের পুত্র, যার নামও ছিল যিহোরাম, যিহূদার রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন। আহাবের ও ঈষেবলের কন্যার সাথে তার বিবাহের মাধ্যমে যিহূদার যিহোরাম ইস্রায়েলের রাজার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত হলেন; এবং তার শাসনের মধ্যে তিনি বালের অনুসরণ করলেন, আহাবের কূল যেমনি করত। “আর তিনি যিহুদার অনেক পর্বতে উচ্চস্থলী প্রস্তুত করিলেন, এবং যিরূশালেম নিবাসীদিগকে ব্যভিচার করাইলেন, ও যিহূদাকে বিপথগামী করিলেন।” PKBeng 175.3

    যিহুদা রাজকে তার ভয়াবহ ধর্ম ভ্রষ্টতা বহাল রাখবার জন্য অতিরিক্ত থাকবার অনুমতি প্রদান করা হয়নি। এলিয় ভাববাদী এখনও স্বর্গারোহণ করেননি, আর তিনি নীরব থাকতে পারলেন না, যখন, যিহূদা রাজ্য একই পথ অনুসরণ করছিল, যা উত্তর রাজ্যকে ধ্বংসের মুখে আনয়ন করেছিল। ভাববাদী যিহূদার যিহোরামের কাছে পত্র পাঠালেন, যার মধ্যে দুষ্ট রাজা ভয়াবহ বাণী পাঠ করলেন: “তোমার পিতা দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ‘তুমি আপন পিতা যিহোশাফটের পথে ও যিহূদারাজ আসার পথে গমন করনি; কিন্তু ইস্রায়েলের রাজাদের পথে গমন করিতেছ, এবং আহাব কূলের ক্রিয়ানুসারে যিহুদাকে ও যিরূশালেম নিবাসীদিগকে ব্যভিচার করাইয়াছ; আর তোমা হইতে উত্তম যে তোমার পিতৃকূলজাত ভ্রাতৃগণ, তাহাদিগকে বধ করিয়াছ। এই কারণ দেখ, সদাপ্রভু তোমার প্রজাদিগকে, তোমার সন্তানদিগকে, তোমার ভার্যাদিগকে ও তোমার সমস্ত সম্পত্তি মহা আঘাতে আহত করিবেন।” PKBeng 175.4

    এই ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতায় “সদাপ্রভু যিহোরামের বিরুদ্ধে পলেষ্টীয়দের মন ও কুশীয়দের নিকটস্থ আরবীয়দের মন উত্তেজিত করিলেন; এবং তাহারা যিহূদার বিরুদ্ধে আসিয়া প্রাচীর ভাঙ্গিয়া রাজার বাটীতে প্রাপ্ত সকল সম্পত্তি; এবং তাহার পুত্রদিগকে ও তাহার ভার্যাদিগকে লইয়া গেল; কনিষ্ঠ পুত্র যিহোয়াহস ব্যতীত তাহার একটি পুত্রও অবশিষ্ট থাকিল না । PKBeng 176.1

    “এসকল ঘটনার পরে সদাপ্রভু তাহাকে অন্ত্রের অপ্রতিকার্য পীড়া দ্বারা আঘাত করিলেন। তাহাতে কালক্রমে দুই বছরের শেষে... তিনি উকট পীড়ায় মারা পড়িলেন । PKBeng 176.2

    “আর তাহার পুত্র অহসিয় তাহার পদে রাজা হইলেন।” ১২-১৯ পদ; রাজাবলি ৮:২৪। PKBeng 176.3

    আহাবের পুত্র যিহোরাম তখনও ইস্রায়েলের রাজ্যে রাজত্ব করছিলেন, যখন তার পৌত্রী, অহসীয় যিহূদার সিংহাসনে আরোহণ করলেন। অহসীয় কেবল মাত্র এক বছরকাল শাসন করলেন, এবং এই সময় ব্যাপী, তার মাতা অথলিয়া তাকে অসদাচরণ করতে মন্ত্রণা দিলেন, “তাই তিনিও আহাব কূলের পথে চলিতেন’। আহাব কূল যেমন করিত, তেমনি সদাপ্রভুর সাক্ষাতে যাহা মন্দ তিনি তাহাই করিতেন।” ২ বংশাবলী ২২:৩, ৪; ২রাজাবলি ৮:২৭। তার ঠাকুরমা, ঈষেবল, তখনও জীবিত, আর সে তার কাকা ইস্রায়েলের যিহোরামের সাথে দৃঢ় মিত্রতায় আবদ্ধ হল । PKBeng 176.4

    যিহূদার অহসীয় অতি সত্বর একটি বিয়োগান্তক নাটকের সম্মুখীন হলেন। আহাবের কূলের টিকে থাকা সদস্যবৃন্দ প্রকৃত পক্ষেই “পিতার মৃত্যুর পরে তাহারাই তাহার বিনাশজনক মন্ত্রী হইল।” ২ বংশাবলি ২২:৩, ৪। অহসীয় যখন যিম্ব্রিয়েলে তার কাকার সাথে সাক্ষা করছিলেন, তখন ঐশ্বরিক নির্দেশে ইলিশায়কে ভাববাদীর এক জন পুত্রকে, ইস্রায়েল রাজ যেহূকে অভিষেক করার জন্য রামো গিলিয়দে পাঠালেন। যিহূদা এবং ইস্রায়েলের যৌথ বাহিনী ঐ সময়ে রামোৎ গিলিয়দে সিরিয়দের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযানে নিয়োজিত ছিল। যিহোরাম যুদ্ধে আহত হয়ে যিষিয়েলে ফিরে গেলেন এবং যেহূকে রাজকীয় সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রেখে গেলেন । PKBeng 177.1

    যেহূকে অভিষেক করে ইলিশায়ের বার্তাবাহক ঘোষণা করলেন, “আমি সদাপ্রভুর প্রজাবৃন্দের উপরে, ইস্রায়েলের উপরে তোমাকে রাজপদে অভিষেক করিলাম।” আর তিনি গাম্ভীর্যপূর্ণভাবে স্বর্গ হতে একটি বিশেষ আদেশে যেহূকে দায়িত্ব অর্পণ করে বললেন, “তুমি আপন প্রভু আহাবের কুলকে আঘাত করিবে,” সদাপ্রভু তাঁর বার্তাবাহকের মাধ্যমে আরও বললেন, “এবং আমি আপন দাস ভাববাদীদের রক্তের প্রতিশোধ ও সদাপ্রভুর সকল দাসের রক্তের প্রতিশোধ ঈষেবলের হস্ত হইতে লইব । বস্তুতঃ আহাবের সমুদয় কূল বিনষ্ট হইবে।” ২রাজাবলি ৯:৬-৮ । PKBeng 177.2

    সৈন্যবাহিনী কর্তৃক রাজারূপে ঘোষণার পরে যেহূ যিথ্রিয়েলে ত্বরা করলেন; যারা স্বেচ্ছায় পাপ কাজে লিপ্ত হয়েছিল এবং অন্য লোকদেরকে পাপকাজে ইন্ধন যুগিয়েছিল তিনি তাদের হত্যা করতে আরম্ভ করলেন । ইস্রায়েলের যিহোরাম, যিহুদার অহসীয় এবং রাণীমাতা ঈষেবল “যিম্ব্রিয়েলে আহাব কুলের যতলোক অবশিষ্ট ছিল, যে তাহাদিগকে তাহার সমস্ত লোককে, তার বন্ধু-বান্ধবীদিগকে ও তাহার যাজকদিগকে বধ করিলেন, ” বালের সমস্ত ভাববাদীকে তার সমস্ত প্রজাকে ও সমস্ত যাজককে যারা শমরিয়ার কাছে বালের উপাসনার কেন্দ্রস্থলে বসবাস করত, সকলে খড়্গগাঘাতে হত হল। প্রতিমা মূর্তি ভেঙ্গে পুড়িয়ে ফেলা হল, এবং বালের মন্দির ধ্বংসাবশেষ হয়ে রইল। “এইরূপে যেহু ইস্রায়েলের মধ্য হইতে বালকে উচ্ছিন্ন করিলেন।” ২রাজাবলি ১০:১১, ১৯, ২৮। PKBeng 177.3

    এই সার্বজনীন হত্যাকন্ডের সংবাদ ঈষেবলের কন্যা অথলিয়ার কর্ণ গোচর হল, তখনও সে যিহূদার রাজ্যের একটি অধ্যক্ষার পদ অধিকার করেছিল । সে যখন দেখল তার পুত্র, যিহূদার রাজার মৃত্যু হয়েছে, তখন সে উঠে যিহুদা-কূলের সমস্ত রাজবংশ বিনষ্ট করল। এই হত্যাযজ্ঞের সিংহাসন অধিকারের যোগ্য দায়ূদের বংশধরগণের সকলেই হত হল, কেবলমাত্র যোয়াশ রক্ষা পেল, যাকে মহাযাজক যিহোয়াদার স্ত্রী মন্দিরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। ছয় বছর পর্যন্ত শিশুটিকে মন্দিরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, “তখন অথলিয়া দেশের উপরে রাজত্ব করছিল।” ২ বংশাবলি ২২:১০, ১২। PKBeng 178.1

    এই সময়ের শেষে, “লেবীয়েরা এবং সমস্ত যিহূদা” (২ বংশাবলি ২৩:৮) শিশু যোয়াশের রাজপদে অভিষেক এবং তাদের রাজা রূপে ঘোষণার সময়ে মহাযাজক যিহোয়াদার সাথে যোগ দিলেন। “আর তাহারা করতালি দিয়া বলিলেন, ‘রাজা, চিরজীবি হউন।” ২ রাজাবলি ১১:১২। PKBeng 178.2

    “আর লোকেরা দৌড়াদৌড়ি করিয়া রাজার প্রশংসা করিলেন অথলিয়া সেই কোলাহল শুনিয়া সদাপ্রভুর মন্দিরে লোকদের কাছে আসিলেন।” ২ বংশাবলি ২৩:১২। “আর দৃষ্টিপাত করিল, আর দেখ, প্রবেশ-স্থানে রাজা আপন মঞ্চের উপরে দাঁড়াইয়া আছেন, এবং সেনাপতিগণ ও তূরীবাদকগণ রাজার নিকট আছে, এবং দেশের সমস্ত লোক আনন্দ করিতেছে ও তুরী বাজাইতেছে।” PKBeng 178.3

    তখন অথলিয়া নিজের বস্ত্র ছিঁড়ে বলল, “রাজদ্রোহ! রাজদ্রোহ!” ২রাজাবলি ১১:১৪। কিন্তু যিহোয়াদা যাজক সৈন্যদলের উপরে নিযুক্ত শতপতিদেরকে আজ্ঞা করে বললেন, যেন অথলিয়া এবং তার অনুগামীদের মন্দির হতে একটি বধ্যভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাদের বধ করা হবে। PKBeng 178.4

    এরূপে আহাবের কূলের শেষ ব্যক্তি বিনষ্ট হল । যে ভয়াবহ দুষ্টতা, যা, ঈষেবলের সাথে তার কুটুম্বিতার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছিল, তা বংশধরগণের বিনাশের সময়কাল পর্যন্ত চলেছিল, তার বিনাশ ঘটল । এমন কি যিহূদা দেশে, যেখানে কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সত্য ঈশ্বরের আরাধনা হয়নি, অথলিয়া সেখানে অনেককে বিপথগামী করেছিল, সেই অথলিয়া রাণীর হত্যার কেবলই পরে “দেশের সমস্ত লোক বালের গৃহে গিয়া তাহা ভাঙ্গিয়া ফেলিল, এবং তাহার যজ্ঞবেদী ও প্রতিমা সকল একবারে চূর্ণ করিয়া ফেলিল ও বেদী সকলের সামনে বালের যাজক মত্তনকে বধ করিল। ” ১৮ পদ। PKBeng 179.1

    একটি সংস্কার কার্য সাধিত হল। যারা যোয়াশকে রাজা বলে ঘোষণায় অংশ গ্রহণ করেছিল, তারা গুরুগম্ভীরভাবে চুক্তিবদ্ধ হল “যেন তাহারা সদাপ্রভুর প্রজা হয়।” আর এখন ঈষেবলের কন্যার মন্দ প্রভাব যিহূদা রাজ্য হতে দূরীভূত হল, এবং বালের পুরোহিতগণকে হত্যা করা হল, এবং তাদের মন্দিরসকল ধ্বংস করা হল, আর “দেশের সমস্ত লোক আনন্দ করিল, এবং নগর সুস্থির হইল । ২ বংশাবলি ২৩:১৬, ২১। PKBeng 179.2

    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents