Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents
ভাববাদিগণের এবং রাজগণের কাহিনী - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First
    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents

    ১৯—একজন শান্তির ভাববাদী

    কোন কোন ক্ষেত্রে ইলীশায়ের কাজ ছিল এলিয়ের কাজ অপেক্ষা একেবারেই ভিন্ন। এলিয়ের কাছে দণ্ডাদেশ এবং বিচারের বার্তা প্রদান করা হয়েছিল; তার কন্ঠস্বর ছিল নির্ভীক অনুযোগপূর্ণ, রাজা এবং প্রজাদের তাদের কুপথ হতে ফিরে আসার আহ্বান পূর্বক। ইলীশায়ের কার্য ছিল একটি আরও অধিক শান্তিপূর্ণ; এলিয় যে কাজ আরম্ভ করেছিলেন, ইলীশায়কে তা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী করতে হবে; লোকদের সদাপ্রভুর পথ শিক্ষা দিতে হবে। তার অনুপ্রেরণাকে এমনভাবে বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে। যেন তিনি লোকদের সাথে ব্যক্তিগত সংস্পর্শে আসছেন, ভাববাদিগণের পুত্রগণ কর্তৃক পরিবেষ্টিত, তার অলৌকিক কার্য এবং তার পরিচর্যা কার্য দ্বারা নিরাময় এবং আনন্দ আনয়ন করছে। PKBeng 195.1

    ইলীশায়, লোকটি ছিলেন একজন শান্ত প্রকৃতির এবং দয়ালু মনোভাব বিশিষ্ট; কিন্তু বৈথেলের পথে দেখা যায় তিনি কঠোরও ছিলেন, যখন অধার্মিক, দুষ্ট যুবকগণ নগর হতে বের হয়ে এসে তাকে পরিহাস করেছিল । এই যুবকগণ এলিয়ের স্বর্গারোহণ সম্পর্কে শুনেছিল, এবং তারা এই গুরুগম্ভীর ঘটনাটি ঠাট্টা বিদ্রুপের বিষয় করেছিল এবং ইলীশায়কে বলেছিল, “রে টাকপড়া, উঠে আয়; রে টাকপড়া, উঠে আয়।” তাদের এই বিদ্রুপবাক্য শুনে ভাববাদী পিছন ফিরলেন আর সর্বশক্তিমানের অনুপ্রেরণায় তিনি তাদের ওপরে একটি অভিশাপ বাণী উচ্চারণ করলেন। ঈশ্বরের কাছ থেকে ভয়াবহ বিচার নেমে এল। “আর বন হইতে দুইটী ভল্লুকী আসিয়া তাহাদের মধ্যে বেয়াল্লিশ জনকে ছিড়িয়া ফেলিল।” ২ রাজাবলি ২:২৩, ২৪ । PKBeng 195.2

    যদি ইলীশায় উপহাসকারীদের তার দৃষ্টিগোচরে না আনতেন তাহলে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক তিনি উপহাসের পাত্র হতেন এবং তারা তাকে তীব্র গালাগালি করত, এবং একটি চরম জাতীয় সংকটের সময়ে তার শিক্ষা দান এবং পরিত্রাণের কার্য চরমভাবে পরাজয় বরণ করত। তার পরিত্রাণের কার্য সারা জীবনের সম্মান দাবী করার জন্য ভয়াবহ কৃচ্ছ্রতার একটি ঘটনাই ছিল যথেষ্ট। পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত তিনি বৈথেলের বাইরে ও ভেতরে এবং দেশের এদিক সেদিক নগরে নগরে গিয়েছেন, বেকার, অশিক্ষিত, অসচ্চরিত্রের যুবকদের মধ্যদিয়ে চলাফেরা করেছেন; কিন্তু কেউই তাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেনি অথবা পরাৎপরের ভাববাদীরূপে তার যোগ্যতাকে সামান্য জ্ঞান করেনি । PKBeng 196.1

    দয়ারও সীমা থাকবে। অধিকার সম্পন্ন ব্যক্তিকে একটি দৃঢ় কঠোরতা বজায় রাখতে হবে নচেৎ তাকে উপহাস এবং অবজ্ঞা ও ঘৃণার পাত্র হতে হবে। পিতামাতা ও অভিভাবক যুবক যুবতীদের প্রতি প্রদর্শিত ঐ রূপ দরদ বা প্রেম পরায়ণতা, মিষ্টকথা এবং আনুকূল্য, একটি চরম মন্দতা, যা তাদের ওপরে আসতে পারে। প্রতিটি পরিবারে, দৃঢ়তা, সু-সিদ্ধান্ত, ইতিবাচক মনোভাব অপরিহার্য । PKBeng 196.2

    যুবকেরা যে ইলীশায়ের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছিল, সেখানে শ্রদ্ধার ঘাটতি ছিল, তা সাধারণভাবে স্বীকার করতে হবে। প্রত্যেক শিশুকে ঈশ্বরের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা শিক্ষা দিতে হবে। কখনও তাঁর নাম হালকা অথবা চিন্তাহীন ভাবে উচ্চারণ করা উচিত নয়। দূতগণ যখন তাঁর নাম উচ্চারণ করেন তখন তাঁরা তাঁদের মুখমণ্ডল আচ্ছাদন করেন। পতিত এবং পাপপূর্ণ মানব হিসেবে আমাদের আরও কতই না শ্রদ্ধার সাথে তাঁর নাম উচ্চারণ করা উচিত! PKBeng 196.3

    ঈশ্বরের প্রতিনিধিগণের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে- যেমন, পুরোহিতগণ, শিক্ষকশিক্ষয়িত্রীগণ এবং অভিভাবকগণ, যারা তাঁর স্থানে কথা বলার জন্য এবং কার্য করার জন্য আহৃত হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অর্থ ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন |PKBeng 196.4

    শিষ্টাচারও কিন্তু আত্মার একটি মাধুর্য এবং সকলেরই এর অনুশীলন করা উচিত। স্বভাবকে কোমল করার শক্তি এর রয়েছে, যা ব্যতিরেকে স্বভাব কঠিন এবং কর্কশ হয়। যারা মুখে খ্রীষ্টের অনুসরণকারী বলে স্বীকার করে এবং একই সময়ে রুক্ষ, নির্দয়, অশিষ্ট, তারা যীশুর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। সন্দেহাতীতভাবে যারা সরল ও অকপট তাদের ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা যায় না; তথাপি তাদের সরলতা এবং ন্যায়পরায়ণতা দয়া এবং শিষ্টাচারের অভাবের প্রতিকার করবে না । PKBeng 197.1

    দয়ার আত্মা, যা ইলীশায়কে, ইস্রায়েলে অনেকের জীবনে একটি শক্তিশালী প্রভাব বিস্তারে সক্ষম করেছিল, তা শূনেমে বসবাসকারী একটি পরিবারের সাথে তার বন্ধুত্ব সম্পর্কের কাহিনীতে প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্যের মধ্য দিয়ে এদিক সেদিক ভ্রমণের মধ্যে একদিন ইলীশায় শূনেমে যান। তথায় এক ধনবতী মহিলা ছিলেন; তিনি আগ্রহ সহকারে তাঁকে ভোজনের নিমন্ত্রণ করলেন। পরে যতবার তিনি ঐ পথ দিয়ে যেতেন, ততবার আহার করণার্থে সেই স্থানে যেতেন। ঐ গৃহের মহিলা বুঝতে পারলেন যে, ইলীশায় ছিলেন, ঈশ্বরের একজন পবিত্র লোক, এবং তিনি তার স্বামীকে বললেন: “আমরা প্রাচীরের উপরে একটি ক্ষুদ্র কুঠরী নির্মাণ করি এবং তাহার মধ্যে তাহার নিমত্ত একখানি খাট, একখানি মেজ, একখানি আসন ও একটি পিলসুজ রাখি; তিনি আমাদের এখানে আসিলে সেই স্থানে থাকিবেন।” এই নির্জন আবাসে ইলীশায় প্রায়ই আসতেন, এই নীরব শান্তিপূর্ণ স্থানের জন্য তিনি কৃতজ্ঞ ছিলেন। এই স্ত্রীলোকটির দয়া প্রদর্শনের কারণে ঈশ্বর নিশ্চিন্ত ছিলেন না। তার গৃহটি ছিল সন্তানহীন; আর তখন সদাপ্রভু একটি পুত্র উপহারের মাধ্যমে তার আতিথেয়তার পুরস্কার দিলেন। PKBeng 197.2

    কয়েক বছর অতিবাহিত হল। শিশুটি এখন শস্য কর্তনকারীদের সঙ্গে বাইরে ক্ষেত্রে যেতে পারে। একদিন সে মধ্যাহ্ন কালীন রৌদ্রে পীড়িত হল, “আমার মাথা! আমার মাথা!” সে তার পিতাকে বললো । তখন পিতা একটি বালককে দিয়ে বালকটিকে তার মাতার কাছে পাঠিয়ে দিলেন; “পরে সে তাহাকে তুলিয়া মাতার কাছে আনিলে বালকটি মধ্যাহ্নকাল পর্যন্ত তাহার ক্রোড়ে বসিয়া থাকিল, পরে মরিয়া গেল । তখন মাতা উপরে গিয়া ঈশ্বরের লোকের খাটে তাহাকে শয়ন করাইলেন, পরে দ্বার রুদ্ধ করিয়া বাহিরে আসিলেন ।” PKBeng 197.3

    দুঃখ ভারাক্রান্ত অবস্থায় শূনেমীয়া স্ত্রীলোকটি, সাহায্যের জন্য ইলীশায়ের কাছে গেলেন। তখন ভাববাদী ছিলেন কর্মিল পর্বতে, এবং স্ত্রীলোকটি তৎক্ষণাৎ তার ভৃত্যের সাথে বের হলেন। “তখন ঈশ্বরের লোক তাহাকে দূর হইতে দেখিয়া আপন চাকর গেহশিকে বলিলেন, ‘দেখ, ঐ সেই শূনেমীয়া, একবার দৌড়াইয়া গিয়া উহার সহিত সাক্ষাৎ কর, আর জিজ্ঞাসা কর, আপনার মঙ্গল? আপনার স্বামীর মঙ্গল? বালকটির মঙ্গল?’ ভৃত্য কথা মত কাজ করিল, কিন্তু স্ত্রীলোকটি ইলীশায়ের নিকট না যাওয়া পর্যন্ত তাহার দুঃখের কথা বলিলেন না। তাহার মহা ক্ষতির কথা শুনিয়া, ইলীশায় গেহশিকে বলিলেন, ‘কটি বন্ধন কর আমার এই যষ্টি লইয়া প্রস্থান কর; কারও সাথে সাক্ষাৎ হইলে তাহাকে মঙ্গলবাদ করিও না এবং কেহ মঙ্গলবাদ করিলে, তাহাকে উত্তর দিও না; পরে বালকটির মুখে আমার এই যষ্টি রাখিও।” PKBeng 198.1

    কিন্তু ইলীশায় স্বয়ং না আসা পর্যন্ত মাতা সন্তুষ্ট হলেন না । “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য এবং আপনার জীবিত প্রাণের দিব্য, আমি আপনাকে ছাড়ি না” তিনি বললেন। “তখন ইলীশায় উঠিয়া তাহার পশ্চাতে পশ্চাতে চলিলেন। ইতোমধ্যে গেহসি তাঁহাদের অগ্রে গিয়া বালকটির মুখে ঐ যষ্টি রাখিল, তথাপি কোন শব্দ হইল না, অবধানের কোন লক্ষণও পাওয়া গেল না। অতএব গেহসি তাহার সাথে সাক্ষাৎ করিতে গিয়া, তাঁহাকে বলিল, ‘বালকটি জাগে নাই ।” PKBeng 198.2

    তাহারা সেই গৃহে আসিলে, ইলীশায় ভিতরে গিয়া দেখিলেন, বালকটি মৃত, আর তাহাদের দুই জনকে বাহিরে রাখিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করিলেন। আর (খাটে) উঠিয়া বালকটির উপরে শয়ন করিলেন; তিনি তাহার মুখের উপরে আপন মুখ, চক্ষুর উপরে চক্ষু করতলের উপরে করতল দিয়া তাহার উপরে আপনি লম্বমান হইলেন; তাহাতে বালকটির গাত্র উত্তাপযুক্ত হইতে লাগিল। পরে তিনি ফিরিয়া আসিয়া গৃহ মধ্যে একবার এদিক একবার ওদিক করিলেন, আবার উঠিয়া তাহার উপরে লম্বমান হইলেন; তাহতে বালকটি সাতবার হুঁচি দিল ও চক্ষু মেলিল।” PKBeng 198.3

    গেহসিকে ডেকে ইলীশায় মা’কে তাঁর কাছে আনালেন । “স্ত্রীলোকটি তার কাছে এলেন। ইলীশায় বললেন, “আপনার পুত্রকে তুলিয়া নিন।” তখন সে স্ত্রীলোক কাছে গিয়ে তাঁর পদতলে পড়ে ভূমিতে প্রণিপাত করলেন, এবং আপন পুত্রকে তুলে নিয়ে বাইরে গেলেন।” PKBeng 199.1

    এই রূপই ছিল এই স্ত্রীলোকটির বিশ্বাস। মহান জীবনদাতা, খ্ৰীষ্ট তার পুত্রকে তার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। একইভাবে তাঁর বিশ্বস্ত লোকবৃন্দ পুরস্কৃত হবে, যখন তাঁর আগমনে মৃত্যু তার হূল হারাবে এবং বিজয়ের দাবি হেতু কবরও বঞ্চিত হবে। অতঃপর তিনি তাঁর দাসগণ, তাঁর সন্ত নিগণকে, সন্তানদের কাছে ফিরিয়ে দেবেন, যাদের মৃত্যু কর্তৃক তাদের কাছ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “রামায় শব্দ শুনা যাইতেছে, হাহাকার ও তীব্র রোদন; রাহেল আপন সন্তানদের জন্য রোদন করিতেছে, সে আপন সন্তানদের বিষয়ে প্রবোধ কথা মানে না, কেননা তাহারা নাই।” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমার রোদনের শব্দ ও চক্ষের জল নিবৃত্ত কর; কেননা তোমার কার্যের পুরস্কার দত্ত হইবে... আর তাহারা শত্রুর দেশ হইতে ফিরিয়া আসিবে। তোমার শেষ কালের বিষয়ে প্রত্যাশা আছে, ইহা সদাপ্রভু বলেন; হাঁ, তোমার সন্তানগণ আপনাদের অঞ্চলে ফিরিয়া আসিবে।” যিরমিয় ৩১:১৫-১৭। PKBeng 199.2

    যীশু অসীম প্রত্যাশার একটি বার্তাসহ মৃতদের জন্য আমাদের দুঃখে সান্ত্বনা প্রদান করেন। “পাতালের হাত হইতে আমি তাহাদিগকে উদ্ধার করিব, মৃত্যু হইতে আমি তাহাদিগকে মুক্ত করিব। হে মৃত্যু তোমার মহামারী সকল কোথায়? হে পাতাল, তোমার সংহার কোথায়?” হোশেয় ১৩:১৪। “আমি মরিয়াছিলাম, আর দেখ, আমি যুগ পর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত; আর মৃত্যু ও পাতালের চাবি আমার হাতে আছে।” প্রকাশিত ১:১৮। “কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ; প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তুরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে। পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ করিবার জন্য একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব।” ১ থীষলনীকীয় ৪:১৬, ১৭। PKBeng 199.3

    মানবজাতির একজন ত্রাণকর্তার নিদর্শনারূপ ইলীশায়, মনুষ্যদের মাঝে তার পরিচর্যাকাজের মধ্যে শিক্ষাদানের সাথে আরোগ্য দানও করেছিলেন। তার সুদীর্ঘ এবং ফলপ্রসূ শ্রমের মধ্যদিয়ে বিশ্বস্ত এবং ক্লান্তি হীন ইলীশায় ভাববাদিগণের স্কুলের দ্বারা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাদান কার্যের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির চেষ্টা করেছিলেন। ঈশ্বরের দূরদর্শীতার মাধ্যমে, সমবেত আগ্রহী যুবকদলের মধ্যে তার শিক্ষার বাণীসমূহ, পবিত্র আত্মার গভীর অনুপ্রেরণার দ্বারা দৃঢ়ীকৃত হয়েছিল, এবং সময়ে সময়ে যিহোবার একজন দাসরূপে তার ক্ষমতার নির্ভুলতা প্রমাণিত হয়েছিল। PKBeng 200.1

    গিলগলে স্থাপিত স্কুলে তার কোন এক সাক্ষাতের সময়ে তিনি বিষাক্ত তরকারী সুস্বাদু করেছিলেন। “সেই সময়ে দেশে দুর্ভিক্ষ ছিল। তখন শিষ্য-ভাববাদিগণ তাঁহার সামনে বসিয়াছিল; তিনি আপন চাকরকে আজ্ঞা দিলেন, ‘বড় হাঁড়ী চড়াইয়া এই শিষ্য-ভাববাদিগণের জন্য ব্যঞ্জন পাক কর।’ তখন তাহাদের একজন তরকারী সংগ্রহ করিতে মাঠে গেল, এবং বন শসার লতা দেখিতে পাইয়া তাহার বুনোফলে বস্ত্র পূর্ণ করিয়া আনিল, পরে তাহা কুটিয়া পাকের হাঁড়িতে দিল; কিন্তু সেগুলো কি তাহা তাহারা জানিল না। পরে লোকদের ভোজনার্থে তাহা ঢালিলে, তাহারা সেই ব্যঞ্জন খাইতে গিয়া চীৎকার করিয়া বলিল, “হে ঈশ্বরের লোক, হাঁড়ির মধ্যে মৃত্যু’; আর তাহা খাইতে পারিল না। তখন তিনি বলিলেন তবে কিছু ময়দা আন। পরে তিনি তাহা ফেলিয়া কহিলেন, ‘লোকদের জন্য ঢালিয়া দেও, তারা ভোজন করুক।’ তাহাতে হাঁড়ীতে কিছুই মন্দ থাকিল না । PKBeng 200.2

    দেশে তখনও দুর্ভীক্ষ ছিল, গিলগলে ইলীশায় “বালশালিসা হইতে এক ব্যক্তি কর্তৃক আনীত একটি উপহার দ্বারা একশত লোককে ভোজন করাইলেন। আশু পক্ক শস্যের রুটি, যবের কুড়িখানা রুটি ও ছালায় করিয়া শস্যের তাজা শীষ আনিল।” সেখানে অনেক অনাহারী লোক ছিল । যখন উপহার আসল, আর তিনি বললেন, “ইহা লোকদিগকে দেও, তাহারা ভোজন করুক।’ তখন তাহার পরিচারক বলিল, ‘আমি কি একশত লোককে ইহা পরিবেশন করিব’? কিন্তু তিনি বলিলেন, ‘ইহা লোকদিগকে দেও তাহারা ভোজন করুক; কেননা সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তাহারা ভোজন করিবে ও উদ্বৃত্ত রাখিবে।’ অতএব সে তাহাদের সামনে তাহা স্থাপন করিল, আর সদাপ্রভুর বাক্যানুসারে তাহারা ভোজন করিল, আর উদ্বৃত্ত রহিল ।” PKBeng 200.3

    তাঁর বার্তাবাহকের মাধ্যমে ক্ষুধার্তদের পরিতৃপ্ত করতে খ্রীষ্টের পক্ষে এটি কিরূপই না সৌজন্যমূলক একটি কাজ! ঐ সময় হতে পুনঃ পুনঃ সর্বদা প্রকাশ্যে না হলেও প্রভু যীশু মানব অভাব সমূহের যোগান দিয়েছেন। যদি আমাদের বিশুদ্ধ আত্মা থাকে, তাহলে, আমরা মনুষ্য সন্ত কানদের সাথে ঈশ্বরের সহানুভূতি সম্পন্ন আচরণ অপেক্ষা আরও অধিক তাৎক্ষণিক ভাবে উপলব্ধি করতে পারব । PKBeng 201.1

    এটি ঈশ্বরের কিঞ্চিৎ অনুগ্রহ যা সর্ব প্রয়োজন সাধন করে। ঈশ্বরের হাত তা শতগুণে বৃদ্ধি করে। PKBeng 201.2

    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents