Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents
পিতৃকুলপতিগণ ও ভাববাদীগণ - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First
    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents

    ফরৌণ আবারও তার হৃদয় কঠিন করেন

    উত্তর হল, “আমরা আমাদের শিশু ও বৃদ্ধদিগকে, আমাদের পুত্রকন্যাগণকে এবং গোমেষাদির পালও সঙ্গে লইয়া যাইব, কেননা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আমাদের উৎসব করিতে হইবে।” PPBeng 191.3

    রাজা ক্রোধে অন্ধ হলেন। তিনি চিৎকার করে উঠলেন, “তাহা হইবে না; তোমাদের পুরুষেরা গিয়া সদাপ্রভুর সেবা করুক; কারণ তোমরা ত ইহাই চাহিতেছ। পরে তাঁহারা ফরৌণের সম্মুখ হইতে দূরীকৃত হইলেন।” ফরৌণ এমন ভাব করলেন যে, তাদের ছোট ছোট সন্তানদের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত যত্নশীল ও সতর্ক, কিন্তু তার আসল উদ্দেশ্য ছিল মহিলা ও শিশুদের জিম্মি হিসাবে আটকে রাখা । যেন ওরা ফিরে আসে। PPBeng 191.4

    এখন মোশি তার লাঠি দেশের উপরে প্রসারিত করলেন, এবং পূর্ব্বীয় বাতাসে পঙ্গপাল এসে উপস্থিত হল। “তাহা অত্যন্ত ভয়ানক হইল; তদ্রূপ পঙ্গপাল পূর্বে কখনও হয় নাই, এবং পরেও কখনও হইবে না।” তারা সমস্ত আকাশ ছেয়ে ফেল্‌ল এবং পূরা দেশ অন্ধকার হয়ে গেল, এবং সবুজ যা কিছুই অবশিষ্ট ছিল, তারা তা খেয়ে ফেল । PPBeng 191.5

    ফরৌণ দ্রুত ভাববাদীকে ডেকে পাঠালেন, এবং বলেন, “আমি তোমাদের সদাপ্রভু ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ও তোমাদের বিরুদ্ধে পাপ করিয়াছি।... আমা হইতে এই কালস্বরূপকে দূর করিবার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে বিনতি কর।” তারা তাই করলেন, এবং এক প্রবল পশ্চিমা বায়ূ পঙ্গপালকে লোহিত সাগরের দিকে উড়ায়ে নিয়ে গেল। তথাপি রাজা তার একগুয়েমীতে বহাল থাকলেন । PPBeng 191.6

    মিশরের লোকেরা নৈরাশ্য ও হতাশায় পড়েছিল, এবং ভবিষ্যতের ভয়ে ভীত হয়ে উঠেছিল। জাতি ফরৌণকে তাদের দেবতার প্রতিনিধিরূপে পূজা করত; কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করল যে তিনি এমন একজনকে অমান্য করছেন যিনি প্রকৃতির সকল শক্তিকে তাঁর ইচ্ছা পালনে বাধ্য করতে সক্ষম। যিহূদী দাসেরা তাদের মুক্তির বিষয়ে আরো আস্থাশীল হয়ে উঠছিল। সমস্ত মিসর দেশে এই গুপ্ত ভয় ছেয়ে গিয়েছিল যে দাসত্বে আবদ্ধ জাতি এবার বিদ্রোহ করবে ও তাদের প্রতি অন্যায়ের প্রতিশোধ নিবে। সকলের মুখে একটিই প্রশ্ন ছিল, এর পর কি হবে? PPBeng 192.1

    সহসা দেশ অন্ধকারে ছেয়ে গেল, এমন ঘন অন্ধকার যে, “সমস্ত মিসর দেশে গাঢ় অন্ধকার হইল।” শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টকর হয়ে উঠল। “তিন দিন পর্যন্ত কেহ কাহারও মুখ দেখতে পাইল না, এবং কেহ নিজ জায়গা হইতে উঠিল না; কিন্তু ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তাহাদের বাসস্থানে আলো ছিল। মিস্ত্রীয়দের নিকট চন্দ্র ও সূর্য্য সেবার বস্তু ছিল। এই রহস্যজনক অন্ধকারে লোকজন ও তাদের দেবতারা একত্রে আঘাত পেলেন (সংযোজনের ২নং দ্রষ্টব্য দেখুন)। কিন্তু যদিও এটি ভয়ঙ্কর ছিল, তথাপি এই বিচার ঈশ্বরের সহানুভূতি ও ধ্বংস করতে অনীহার সাক্ষ্য। আঘাতগুলির মধ্যে শেষ ও ভয়ঙ্করতম আঘাত আনার আগে ঈশ্বর লোকদের চিন্তা করার ও অনুতাপ করার সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন । PPBeng 192.2

    গভীর অন্ধকারের তৃতীয় দিনে ফরৌণ মোশিকে ডেকে অনুমতি দিলেন যে যদি মেষ ও পশুপাল রেখে যাওয়া হয় তবে লোকরা যেতে পারে। কিন্তু দৃঢ় চিত্ত যিহুদী উত্তর দিলেন যে, “একটি খুরও অবশিষ্ট থাকিবে না ।” রাজার ক্রোধ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জ্বলে উঠল। তিনি চিৎকার করে উঠলেন, “আমার সম্মুখ হইতে দূর হও; সাবধান, আমার মুখ আর কখনও দেখিও না; কেননা যে দিন আমার মুখ দেখিবে, সেই দিন মরিবে।” PPBeng 192.3

    উত্তর হল, “ভালই বলিয়াছেন, আমি আপনার মুখ আর কখনও দেখিব না।” মোশি মিসর দেশে, ফরৌণের কর্মচারীদের নিকট, এবং লোকজনের নজরে এক মহৎ ব্যক্তি ছিলেন। রাজা তার কোন ক্ষতি করতে সাহস পেলেন না, কেননা লোকেরা জানত যে মহাবিপদ হতে রক্ষা করার ক্ষমতা একমাত্র তার কাছেই আছে। তারা ইচ্ছা করছিল যে ইস্রায়েলরা যেন মিসর ছেড়ে চলে যেতে পারে । শুধু রাজা ও ধর্মীয় যাজকেরা মোশির শেষ দাবী মানতে অস্বীকার করেন । PPBeng 192.4

    Larger font
    Smaller font
    Copy
    Print
    Contents